সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে অন্যান্য দল কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া কি? এমন সব প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদ কোনো জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে কমিশন কার্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যান। এ সময় তাকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, কামারুজ্জমানসহ অন্যান্য জামায়াত নেতারা ঘিরে রাখেন।
এর আগে কমিশন কার্যালয়ের সংলাপ থেকে বেরিয়ে এসে আলী আহসান মুজাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি দল আছে। ভারতে আছে, ইউরোপে আছে, আমেরিকায় আছে...বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি আছে। এ জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যেনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ না করা হয়, কমিশনকে আমরা সে কথা বলেছি।...
ফ্লাশব্যাক (এক) : গত ২৫ অক্টোবর, ২০০৭ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপ শেষে 'দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই' এমন মন্তব্য করেছিলেন এই মুজাহিদই। সে সময় ১৯৭১ এ জামাযাতের ভূমিকা কি ছিলো, তা অনুসন্ধান করারও পরামর্শ দেন।
ফ্লাশব্যাক (দুই) : বদর দিবসে বায়তুল মোকাররমের জনসভায় মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তান এছলামী ছাত্রসংঘ পৃথিবীতে হিন্দুস্তানের কোনো মানচিত্র স্বীকার করে না। এছলামী ছাত্র সংঘ ও আলবদর বাহিনীর কাফেলা দিল্লীতে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সংঘের একটি কর্মীও বিশ্রাম গ্রহণ করিবে না।...(দৈনিক আজাদ, ৮ নভেম্বর ১৯৭১)।...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৭