আমি এই ব্লগে নতুন। এর আগে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য, কিন্তু কোন এক অজানা কারনে সফল হতে পারিনি। সে যাই হোক, সবাইকে শুভেচ্ছা। শুভ ব্লগিং।
আমি পদার্থবিদ্যার ছাত্র। অবসর সময়ে বিঞ্জান বিষয়ক লেখালেখি করি টুকটাক। সেই চেষ্টা অব্যহত থাকবে। জেনিভায় সাম্প্রতিক এক পরীক্ষার সুবাদে হিগস-বোসন কণা বহুল আলোচিত বিষয়৷ তাই হিগস নিয়েই শুরু করি।
আজকে বৈঞ্জানিক কোনো লেখা লিখব না। কিন্তু একটা কনফিউসন দুর করার চেষ্টা করব। -------- কয়েকদিন আগে বেশ কিছু বাংলা সংবাদপত্র এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত একটা সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি: "ইউরোপে নিউক্লিয়ার গবেষণায় প্রথম বাংলাদেশি তনিমা "। সেখানে দাবি করা হয়েছে: "তার গবেষণার বিষয়বস্তু হিগস-বসন নামের ইলেমেন্টরি পার্টিক্যাল সনাক্তকরণ"। সাম্প্রতিক সময়ে CERN (ইউরোপীয় সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ) এর বিঞ্জানীরা নতুন একটি 'অতিপারমাণবিক' কণার সন্ধান পেয়েছেন, যেটিকে তারা হিগস বোসন সদৃশ কণা হিসেবেই দাবি করছেন। তাহলে বাংলাদেশের তনিমা কি
সনাক্তকরণ করবে?(!)
একটা কথা বলে রাখা ভাল, কেউ যদি ৩ মাসের সামার স্কুলের জন্য নির্বাচিত হয়ে নিজেকে বিঞ্জানী হিসাবে পরিচয় দেয় এবং আগে-পিছের কিছু না জেনেই বলে বেড়ায় যে সে নিউক্লিয়ার গবেষণায় প্রথম বাংলাদেশি, সেটা গাধামী ছাড়া অন্য কিছু নয়। আর জাতীয় সংবাদপত্রগুলোকেও আরো একটু দায়িত্ব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করছি।