গোয়েন্দা গল্প অপুদা এর চাবি রহস্য সমাধান এর দ্বিতীয় পর্ব।
আমরা প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা বাস যাত্রার পর আমি আর অপু দা হোটেলে পৌঁছেছিলাম। হোটেলে পৌছাতেই অপুদা মোবাইলে নেট অন করে খবরেরকাগজ পড়তে শুরু করল।রাতে আর বেরলাম না বিশ্রাম নিলাম।অপুদা দেখি পাশের দোকান থেকে কয়েকটা ম্যাগাজিন কিনে এনেছে।ও রাতে বসে বসে পড়ল।ও যখন পড়ল তখন ওর ফোনে গেম খেললাম। কিন্তু ও কিছুই বলল না। ও মাঝে মাঝে বলে কিছু কিছু গেম আছে যা খেললে ব্রেনের উপকার হয় আর ওর মোবাইলে নাকি সেইসব গেমস রয়েছে। আমি অবশ্য ওকে কোন দিন মোবাইলে গেম খেলতে দেখি নি।
পরের দিন সকালবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে গেলাম খানজাহান আলি দিঘি দেখতে।দেখে তো আমি অবাক, এত বড় দিঘি আমি জীবনে কোনদিন দেখি নাই।অপুদা বলল এই দিঘি খান জাহান সায়েব তার ভাগ্নের সাথে চ্যালেঞ্জ দিয়ে কেটেছিল তাও আবার এক রাত্রের মধ্যে।আমি বললাম এত বড় দিঘি এক রাতে কেটেছিল, বিশ্বাস করতে পারছি না।
খান জাহান আলি দিঘি দেখা শেষ করে আমরা বেরলাম ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে।দিঘির ওখান থেকে বাসে করে যেতে হয়, কিন্তু আমরা ট্যাক্সি করে গেলাম। ট্যাক্সি থেকে নেমে আমি সবকিছু খুব ভালভাবে লক্ষ করতে লাগলাম কারন অপুদা বলে দর্শনীয় যায়গায় পা রাখতেই সবকিছু খুব ভালভাবে লক্ষ করতে হয়।ভিতরে গিয়ে দেখি দিনেশ দাস। আমি মনে করলাম ইনি এখানে কেন?অপুদা তার দিকে এগিয়ে গেল এবং আলাপ করল।দিনেশ দাস হলেন কলকাতার বিখ্যাত কাপড় ব্যবসায়ী। তার কলকাতায় বিশাল নাম কাম।তার দুই ছেলে সিধু দাস আর তপেস দাস।আর তার স্ত্রী মারা গেছে, সে খবর আমরা কলকাতা থেকেই পেয়েছিলাম। অপুদা প্রথমে বলল আপনি হলেন ডি দাস তাই না। ওনি একটু সময় চাইল আর ফোনে কি যন করল,তারপর একটা পান খেল তারপর বলল,হ্যা তা তুমি আমাকে কিভাবে চেন।অপুদা বলল আপনার কলকাতায় কাপড় কল আছে না?ডি দাস বলল হ্যা।অপুদা বলল, আমি নরেন মন্ডল এর ছেলে।দিনেশ সাহেব বলল কোন নরেন ঠিক চিনলাম না? ঐ যে বারাসাত কাপড়ের শো রুম আছে।সে বলল ও,বুঝেছি তুমি ঐ নরেন মন্ডল এর ছেলে!তখন অপুদা বলল হ্যা।বাবা আপনার কথা খুব বলে বলে কাপড় ব্যবসা শিখতে হলে আপনার কাছ থেকে শিখতে হবে।অপুদা বলল আপনি এখানে একা এসেছেন। ডি দাস বলল, না স্ব পরিবারে এসেছি।অপুদা বলল আপনার এখানে কত দিন আছেন? ডি দাস বলল, ৭ দিন। ডি দাস বলল কোন হোটেলে উঠেছ?অপুদা বলল সন্ধে হোটেলে। ডি দাস বলল আমরা পাশের ঐক্যতন হোটেলে উঠেছি সময় পেলে চলে এস গল্প করা যাবে। আমার রুম নাম্বার ১১৫। অপুদা বলল হ্যা অবশ্যই। আমরা ডি দাসকে বিদায় জানিয়ে পাশের ঘোড়া দিঘির কাছে চলে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫