somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব পাচ)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নয়।
৩০ নভেম্বর।

সকাল সাতটা বাজে, তৃতীয় বারের মতন কর্কশ সুরে এলার্ম ঘড়িটা বেজে উঠল। টিটুন প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে এলার্ম ঘড়িটা বন্ধ করল, আড়মোড়া দিয়ে বিছানা থেকে উঠেই মুখ গোমড়া করে বসে রইল। শীতের দিনের এই এক সমস্যা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, তার উপর টিনের বাসা, ঘর ঠাণ্ডা হয়ে থাকে সবসময়। পাশের বাসার মোরগটা আজ অদ্ভুত ছন্দে ডাকছে, টিটুন মোরগ ডাকার শব্দগুলো গুনছে, টিটুনের অহেতুক এই কাজ গুলো করতে ভাল লাগে। আজ এ পর্যন্ত সাতবার ডেকেছে মোরগটা ঠিক তখনই টিটুনের মা হাতে নাস্তা নিয়ে ছেলের ঘরে ঢুকল, ঘরে ঢুকতেই দরজার পাশে রাখা চেয়ারে হোঁচট খেয়ে হাত থেকে পানির গ্লাসটা পরে গেল, পানি পরে মেঝের অনেক খানি জায়গা ভিজে গেল।

টিটুন চরম বিরক্তি নিয়ে মার দিকে তাকালো।

“পুরো ঘর নোংরা, চেয়ারটা দরজার পাশে রেখেছিস কেন?” বলে টিটুনের মা।

নাস্তাটা তিনি টেবিলের উপর রাখতে যাবেন তখন দ্বিতীয়বারের মত পানিতে আছাড় খেয়ে পুরো নাস্তার প্লেট মেঝেতে পরে গেল।

“মা দেখে চলতে পারো না?” উঁচু স্বরে বলল টিটুন।

মা নিজেকে সামলে টিটুনের দিকে তাকিয়ে বলল “কই আমাকে ধরবি তা না করে উল্টো আমার উপর রাগ দেখাচ্ছিস।“

টিটুন বিরক্তি নিয়ে ঘড়িতে দেখে সাড়ে সাতটা বাজে, আজ সকালে দিপুর সাথে দেখা করার কথা, আজকে স্কুল ল্যাবরেটরিতে গিয়ে এক্সপেরিমেন্টটা করতে হবে, তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হবে ঠিক তখন মা পিছন থেকে ডেকে বলে “কোথায় যাচ্ছিস?”

“স্কুলে যাচ্ছি মা দেখোনা?” স্কুল ব্যাগটা গোছাতে গোছাতে বলে টিটুন।

“পা পিছলে সব কিছু পরে গেল তুই আমাকে সাহায্য করবি কি এখন স্কুলে যাচ্ছিস? আজকে না ছুটি? তুই স্কুলে যাচ্ছিস কেন?” দাঁড়িয়ে দু-হাত কোমরে গুজে পিছন থেকে বললেন মা রাবেয়া।

“এমনি স্কুলে একটা কাজ আছে, আজ তাড়া আছে মা।“

“নাস্তা করে যা?“

“আজ সময় নেই।” বলে টিটুন।

বাবার রুমের দিকে যায় টিটুন, বাবার রুমে সে ডায়েরি আর ডিভাইসটা রেখেছে, সেটা ব্যাগে নিয়ে যেতে হবে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই দিপু এবং সুমি স্কুলে চলে এসেছে নিশ্চয়ই ভাবতে থাকে টিটুন। বাবার রুমের কাছে গিয়ে দেখে রুম তালা, টিতুনের বেশ রাগ হয়, গলায় ঝাঁঝ মিশিয়ে বলে “রুমে তালা কেন?”

“তোকে না বলেছি ঐ রুমে যাবি না।“ টিটুনের রুম থেকে উঁচু গলায় বলে মা।

“আমি যাবই, আমাকে চাবি দাও।“

“চাবি নেই টিটুন। যেখানে যেতে চেয়েছিলে সেখানে যা।“

চট করে রেগে যায় টিটুন, দরজায় লাথি মেড়ে বলে “তুমি জান না এই রুমে না আসলে আমার ভাল লাগে না? এখানে এলেই বাবার জিনিষগুলো দেখলে মনে হয় বাবা পাশেই আছে, বাবার ব্যবহৃত ঘড়ি, ফোন, তার বই পত্রকে অনেক আপন মনে হয়।“ চোখ ঝাপসা হয়ে আসে টিটুনের।

টিটুনের মা তাকিয়ে থাকেন ছেলের দিকে, সাইক্রিয়াস্টিক শরিফ সাহেব বলেছেন ছেলেকে বাবার স্মৃতি থেকে আপাতত একটু দূরে রাখতে, যাতে স্মৃতিগুলো ভুলে থাকে, একটু স্বাভাবিক হয়। এই ছেলের জন্য সারাক্ষণই টেনশনে থাকতে হয়, তার ব্লাড প্রেশার বেড়েছে ছেলের কথা ভাবতে ভাবতে।

“বাবা কথা শোন, তোর ভালর জন্যই বলছি।“ বলেন মা।

“আমার ভাল তোমার চাইতে হবে না। আমাকে চাবি দাও?“ খেঁকিয়ে বলে টিটুন।

টি-নেজ ছেলের সাথে পেরে উঠেন টিটুনের মা রাবেয়া, অবশেষে হাড় মেনে ছেলেকে বাবার রুমটা খুলে দেন। বাড়ীর বাইরে থেকে কে যেন টিটুনের মাকে ডাকছে, কণ্ঠ শুনে বুঝতে পারলেন বাড়ীওয়ালা এসেছে, দু মাসে ভাড়া বাকি পরেছে, নিশ্চয়ই চাইতে এসেছেন। রাবেয়া স্থানীয় এক এনজিওতে চাকরি করেন, অল্প মায়নে পায়। মাসের শেষ হাত খালি, কোন রকম বুঝিয়ে সুঝিয়ে এক মাসের ভাড়া দিবেন ভাবেন টিটুনের মা। টিটুনের বাবা পাশে থাকতে তাকে কখনওই এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি, বুকের ভিতর থেকে এক ধরনের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে তার।

টিটুন হয়ত নিজেও জানে না আজ কি ঘটতে যাচ্ছে। যখন বাসা থেকে বের হয় তখন তার পিছু নেয় ফিউচার ইন কর্পোরেশনের কালা কোর্ট পরিহিত অশ্রধারী দুজন ব্যক্তি। তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কড়া নজর দারিতে রাখতে টিটুনকে।

“কিরে দেরি করলি কেন?” প্রশ্ন করে দিপু।

দিপু স্কুলের ল্যাবরেটরির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্কুলটা যেহেতু উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা তাই এর ভিতরে মানুষ তেমন আসে না।

“এমনিতেই একটু ঝামেলা হয়েছিল বাসা থেকে বেরুনের সময়” বলে টিটুন।

“সব কিছু ঠিকমত এনেছিস?” জিজ্ঞেস করে দিপু।

টিটুনের পিঠের ব্যাগটা আরেকবার নামিয়ে চেন খুলে সব কিছু ভাল করে পরখ করে নেয় টিটুন। “হুম সব ঠিক আছে।“ দিপু দিকে তাকিয়ে বলে টিটুন।

সবার শেষে সুমি এসে উপস্থিত হয়। তাকে বেশ উত্তেজিত দেখায়, হাফাচ্ছে সে, দম নিয়ে বলে “সবাই সতর্ক থাকিস, সাবধান।“

“মানে?” ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে দিপু।

নিজেকে সামলে সুমি বলে “স্কুলের বাইরে বদরুলকে দেখলাম হকিস্টিক নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।“

দিপু ঢোক গিলে বলে “হকিস্টিক! ও নাকি কয়েকদিন ধরে হকিস্টিক নিয়ে আমাদের খুঁজছে শুনলাম!”

“সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার, আমাদের সাবধানে থাকতে হবে বদরুল থেকে, সেদিনের পর থেকে সে আমাদের উপর ভালই ক্ষেপে আছে।“ বলে টিটুন।

তারা তিনজন ল্যাবরেটরির ভিতরে ঢুকে পরল। তারপর টিটুন ব্যাগ থেকে ডায়েরিটা বের করে সুমির হাতে দিল, আর ডিভাইসটা টেবিলের উপর রেখে ভিতরের সার্কিটটা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুলতে লাগল মনোযোগ দিয়ে।

“কি করছিস?” প্রশ্ন করে সুমি।

টিটুন টেবিলের উপর ঝুঁকে সার্কিটটা ডিভাইসের ভিতর থেকে খুলতে খলতে বলে “আমি মনে হয় আমাদের ভুল ধরতে পেরেছি”

“কি ভুল?” প্রশ্ন করে দিপু।

“আমরা সরাসরি দুইশত বিশ অল্টারনেটিভ কারেন্ট দিয়ে সার্কিটটি পুরিয়ে ফেলেছিলাম, এখন আমাদের অন্যভাবে এগুতে হবে” মনোযোগ দিয়ে সার্কিটটার যেই প্রান্তে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয় সেই প্রান্তটি ভাল করে দেখতে দেখতে বলল টিটুন।

“মানে?” ফের জিজ্ঞেস করে দিপু।

“ডায়েরির ডিজাইন অনুসারে আমাদের সার্কিটে ইনপুট দিতে হবে একশত দশ ভোল্টেজ, কিন্তু আমরা দিচ্ছিলাম দুইশত বিশ। সমস্যা হচ্ছে এটাই।“ কুজে হয়ে টিটুন সার্কিট পরীক্ষা করছিল। মাথা উঁচু করে দিপুর দিকে তাকিয়ে বলে টিটুন।

সুমি ডায়েরিটা ভালভাবে নেড়ে চেরে দেখে বলল “কোথায় একশত দশ ভোল্ট?, এখানেতো কিছুই লেখা নেই, একশত দশ কোথায় পেলি?”

“শোন, সরাসরি ডায়েরিতে একশত দশ ভোল্টের কথা বলা নেই। আমেরিকার কারেন্টের ভোল্টেজ হল একশত দশ, কিন্তু আমাদের এখানে বাংলাদেশে দুইশত বিশ। যেহেতু আমার বাবা আমেরিকায় কাজ করত তাই সে এমন ভাবে সার্কিট ডিজাইন করেছে যাতে সে একশত দশ ইনপুট নেয়।“ সুমির দিকে তাকিয়ে বলে টিটুন।

“কিন্তু এটা লেখে নাই কেন?” ফের পাল্টা প্রশ্ন সুমির।

সুমির দিকে তাকিয়ে টিটুন বলে “গুড কোশ্চেন, সূর্য পূর্ব দিকে উঠে, এবং পশ্চিম দিকে অস্ত যায়, মানুষ মরণশীল এগুলো হল ইউনিভার্সাল সত্য। এগুলো সবাই জানে, এগুলো আমাদের কেউ দৈনন্দিন মনে করিয়ে দেয় না, ঠিক তেমনি আমরা যখন কোন লাইট জালাই, বা মেশিন চালাই বাংলাদেশে বসে, তখন আমরা কোন কিছু না ভেবেই দুইশত বিশ ভল্ট ইনপুট দেই, কারণ আমরা ধরে নেই এটা বাংলাদেশ এখানে দুইশত বিশ ভোল্টই হবে, এটা হল বাংলাদেশের জন্য ইউনিভার্সাল সত্য।“

বিরতি নিয়ে ফের বলে “ঠিক তেমনি আমেরিকার কারেন্ট একশত দশ এটাও ধরেই নেয়া যায়। আমার বাবা যেহেতু আমেরিকায় বসে এটা ডিজাইন করেছে তাই আলাদা করে এর ইনপুট কত ভোল্টেজ দিতে হবে সেটা উল্লেখ্য করে নাই, তবে একশত দশ না হয়ে যদি অন্য কোন ভোল্টেজ হত তাহলে নিশ্চয়ই তিনি ডায়েরিতে সেটা লিপিবদ্ধ করতেন!”

“তুই ব্যাপারটা ধরতে পারলি কিভাবে?” প্রশ্ন করে দিপু।

“আজগর স্যার সেদিন যখন বলল ইনপুট ভোল্টেজের জন্য কোন সার্কিট বার্ন বা পুরে যেতে পারে, তখনই আমার মাথায় ব্যাপারটা চলে এলো।” বলেই সুমি এবং দিপুর দিকে তাকাল টিটুন।

“এখন তাহলে আমাদের একশত দশ ভোল্টেজ লাগবে, তার মানে আমাদের ভোল্টেজ কনভার্ট করতে হবে?” বলে সুমি।

“হুম কারেক্ট। আমি একটি ট্রান্সফর্মার নিয়ে এসেছিল, এটা হল স্টেপ ডাউন ট্রান্সমিটার, এটা দুইশত বিশ ভোল্ট থেকে একশত দশ ভোল্টে কনভার্ট করবে।“ বলেই সার্কিটের সাথে ট্রান্সফরমারটি জুরে দেয় টিটুন।

ততক্ষণে সার্কিটটা টেবিলে রেখে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয় টিটুন। তারা তিনজনই প্রস্তুত এক্সপেরিমেন্টের জন্য, এই শীতের দিনেও প্রচণ্ড উত্তেজনায় ঘামছে তিনজনই।

“আজ নবেম্বরের ৩০ তারিখ, সকাল দশটা। আমাদের ডিভাইস রেডি, এখনই আমরা আমাদের এক্সপেরিমেন্ট করতে যাচ্ছি” মোবাইল ফোনে সেলফি মুডে নিজেদের ভিডিও করতে করতে বলে দিপু।

“ভিডিও বাদদেতো” বিরক্তি নিয়ে বলে সুমি। টেনশনে বুক ধড়ফড় করছে তার।

“ভিডিও করে রাখি, কাজে লাগতে পারে।“

“ভিডিও পরে করিস আগে ডিভাইসটা অন্য করা যাক” বলে টিটুন।

দিপু ভিডিও বন্ধ করে বলে “আমি অন করি।“

সুমি এবং টিটুন দুজনেই মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। টিপু অন বাটনে চাপ দিতেই ঘরঘর শব্দ বের হতে থাকে ডিভাইস থেকে, কিছুক্ষণ পরে ভয়ানক শব্দ হয় এবং একটি ঘূর্ণায়মান বৃত্তাকার ম্যাগনেটিক ওয়ার্মহোল তৈরি হয়, বৃত্তটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ এমন যেন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ অনায়াসেই ভিতর দিয়ে হেটে যেতে পারে।

সুমি ডায়েরিটা উল্টে দেখতে পায়, এরকমই একটি আলোর বৃত্ত ড্র করা আছে খাতায়, তার মানে তাদের এক্সপেরিমেন্টটি কাজ করেছে। তাদের কি এর ভিতর দিয়ে যাওয়া উচিৎ ভাবতে থাকে তিনজনই, তারা যদি এই ফোঁস ফিল্ডের ভিতরে প্রবেশ করে তাহলে কোথায় গিয়ে পৌছবে? টিটুনের বাবার ব্যাখ্যা অনুসারে ইউনিভার্সে যে কোন জায়গায় এবং যে কোন সময় পৌছতে পারে, কিন্তু কিভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা দেখার জন্য সুমি ডায়েরির পাতা উল্টাতে থাকে এলোপাথাড়ি ভাবে। ফোর্স ফিল্ডের আলো দিয়ে পুরোটি ল্যাবরেটরিটা আলোকিত হয়ে আছে।

তারা যখন ভাবছে ঠিক তখনই রুমে ঢুকে পরে ফিউচার ইন-কর্পোরেশনের সেই দুজন অস্ত্রধারী মানুষ ল্যাবরেটরির দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পরে ভিতরে। ভিতরের বৃত্তাকার আলো দেখে থমকে দাঁড়ায় দুজনই, এখানে ঠিক কি ঘটছে বুঝতে পারে না তারা। পকেট থেকে পিস্তল বের করে টিটুন, দিপু এবং সুমির দিকে তাক করে। হকচকায়ে উঠে তারা তিনজনই।

“আপনারা কারা? কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করে টিটুন।

“আমরা কারা তোমাদের এটা না জানলেও চলবে, আগে এটা বন্ধ কর।“ প্রথম জন বলে উঠে।

“আগে বলুন আপনারা কারা আমাদের কাছে কি চান?” ফের প্রশ্ন টিটুনের।

“তোমরা জান না কি ভয়ানক কাজ করছ তোমরা, এটা বন্ধ করে তাড়াতাড়ি চলে এসে, আর ডিভাইসটা দাও নইলে এই পিস্তল দেখতে পারছ?” বলে পাশের থাকা দ্বিতিয় জন।

দিপু জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বলে “আপনারা আমাদের পিছু নিয়েছেন কেন?”

“বললাম তো তাড়াতাড়ি আস নইলে একেবারে কিন্তু গুলি করে দিব বললাম” বলে উপরে এক ফাকা গুলো করে বলে দ্বিতিয় লোকটা।

লোক দুজন দাঁড়িয়ে ছিল দরজার সামনে, তখনই এই রুমে দরজা ভেঙ্গে আরো তিনজন আকর্ষিক ভাবে ডুকে পরে। দরজাটি ভেঙ্গে গিয়ে ফিউচার ইনকর্পোরেশোনের সেই দুজন অস্ত্রধারীর উপরে পরে, ধুম করে উপুর হয়ে মেঝেতে পরে যায় দুজনই। টিটুন, সুমি এবং দিপু দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেখে হকিস্টিক হাতে মারমুখী ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে বদরুল এবং তার দুই চামচা রিপন এবং শিপন। বদরুল একবার দৃষ্টি দিয়ে তাকায় বৃত্তাকার ম্যাগনেটিক ওয়ার্মহোলের দিকে আরেক বার দিপু, সুমি, টিটুনের দিকে। এখানে ঠিক কি হচ্ছে তারা কিছুই বুঝতে পারছে না।

অস্ত্রধারী সেই লোক দুজন ডিগবাজী দিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে যায়। হাতের পিস্তল তাক করে আবার বদরুল, রিপন এবং শিপনের দিকে। রিপন এবং শীপন ততক্ষণে হকিস্টিক দিয়ে দুই অস্ত্রধারীকে আঘাত করে, পিস্তলগুলো তাদের হাত থেকে ছিটকে যায় মেঝেতে।

“খেলনার পিস্তল নিয়ে মনে হয় আমাদের ভয় দেখাতে আসছে” কালো কোর্টপরা দুজনের দিকে ইঙ্গিত করে বলে শিপন।

এদিকে কালোর কোর্ট পরিহিত দুজনই কুংফু মারে রিপন এবং শিপনকে, কোক করে শব্দ হয়, চিত হয়ে পরে যায় মেঝেতে, মেঝেতে পরে কোঁকাতে থাকে রিপন এবং শিপন। তাদের হাতের হকিস্টিকটি ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পরে। তারপর প্রথমজন এগিয়ে এসে ডিগবাজী মারে বদরুলের উপর, বদরুল ডিগবাজি খেয়ে কুঁজো হয়ে যায়, তারপর লোকটি ফাল দিয়ে হাতের কনুই দিয়ে মাথার মধ্যে মারে বদরুলের, বদরুল ধপাস করে উপুড় হয়ে মেঝেতে পরে যায়। দ্বিতীয় লোকটি দৌড়ে এসে ফুটবলের-মত লাথি মারে মেঝেতে পরে থাকা বদরুলকে, বদরুল সামান্য উড়ে গিয়ে ল্যাবরেটরির টিনের দেয়ালে আছড়ে পরে, কয়েক সেকেন্ড দেয়ালে আটকে থেকে মেঝেতে পরে যায়।

বদরুল, রিপন এবং শিপনের মার খাওয়া দেখে টিটুনরা ভয়ে ঘুটি-সুটি মেরে ল্যাবরেটরির এক কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে। মারামারির সময় কখন যে টিটুনের হাতের কনুইতে হকিস্টিকের ভাঙ্গা টুকরো লাগে সেটা টেরই পায়নি, হালকা কেটে যায় তার কনুই। অশ্রধারী সেই দুজন ব্যক্তি এবার আসতে আসতে গুটি গুটি পায়ে টিটুন, দিপু এবং সুমির দিকে এগিয়ে আসে। তখন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, হঠাত কিছু একটা ছায়ামূর্তির মত সেই ওয়ার্মহোল থেকে উদয় হয়, ছায়ামূর্তিটি টিটুন, সুমি এবং দিপুকে সেই ওয়ার্মহোলের ভিতর টেনে নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।

দশ।
সকাল সাতটা বাজে, কলিং বেলের শব্দে টিটুনের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে ধড়মড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে, বুকটা ধড়ফড় করতে থাকে, সে এখন কোথায় ঠিক বুঝতে পারছে না। ধাতস্থ হতে কিছুটা সময় নিল, চারদিকে তাকিয়ে বেশ অবাক হল, নিজের রুমেই আছে এখন সে। বিছানার পাশে থাকা হাত ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে নবেম্বর ৩০ তারিখ, সকাল সাতটা বাজে, আশ্চর্য তা সাথে এগুলো কি ঘটছে, ঠিক বুঝতে পারছে না। টিটুন কি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিল তাহলে? স্বপ্ন কি এতটা বাস্তব হয় ভাবে টিটুন, গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, পানি খাওয়া দরকার।

পাশের বাসার মোরগটা আগের মতই হঠাত অদ্ভুত এক ছন্দে ডাকছে। কি আশ্চর্য তার মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে যেন একই ভাবে মোরগটি ডাকছিল। টিটুন অবচেতন মনে আবার মোরগের ডাক গুনতে থাকে, সেই একই রকম ভাবে সাতবার ডাকার পর টিটুনের মা হাতে নাস্তা নিয়ে ছেলের ঘরে ঢুকল। টিটুন অদ্ভুত ভাবে তার মার দিকে তাকিয়ে আছে, তার দরজার পাশে রাখা চেয়ারে হোঁচট খেয়ে মার হাত থেকে পানির গ্লাসটা পরে গেল আগের বারের মতই, পানি পরে মেঝের অনেক খানি জায়গা ভিজে গেল। টিটুন বুঝতে পারছে না কি ঘটতে যাচ্ছে। সে প্রচণ্ড অবাক, বিস্ময় এবং হতবাক হয়ে তাকিয়ে যাচ্ছে মার দিকে। আসলে স্বপ্ন কোনটা সে কি এখন স্বপ্ন দেখছে? নাকি কিছুক্ষণ আগে যেটা ঘটেছিল সেটা স্বপ্ন? তার মাথাটা ঘুরছে ভো ভো করে।

“পুরো ঘর নোংরা, চেয়ারটা দরগার পাশে রেখেছিস কেন?” বলে টিটুনের মা।

প্রচণ্ড বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে টিটুন, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে, টিটুন বুঝতে পারছে কি ঘটতে যাচ্ছে। তার ধারনা যদি সত্য হয় তাহলে তার মা এখনই পানিতে আছাড় খেয়ে পরে যাবে, তখনই টিটুন উঠে মাকে পিছল খাবার আগেই ধরে ফেলে।

“তুই কিভাবে বুঝলি আমি পরে যাচ্ছিলাম?” টিটুনের দিকে তাকিয়ে বলে মা।

হঠাত টিটুন নিজের হাতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই দেখতে পায় একটি কাটা দাগ, ল্যাবরেটরিতে কিছুক্ষণ আগে হকিস্টিকের আঘাতে কিছুটা ব্যথা পেয়েছিল। টিটুনের আর বুঝতে বাকি নাই সে সময় পরিভ্রমণ করে পুনরায় সকালে এসে গেছে।

“মা আজ কয় তারিখ বলতো?” জিজ্ঞেস করে টিটুন, তাকে বেশ অদ্ভুত লাগে।

“কেন?” পাল্টা প্রশ্ন মায়ের।

“আগে বলতো?” জিজ্ঞেস টিটুন।

“নভেম্বরের ৩০ তারিখ। তোকে কেমন জানি লাগছে টিটুন, ঠিক আছিস?” বলে মা।

চুপ থাকে টিটুন। তার মাথায় বেশ কিছু প্রশ্ন এসে ভিড় করে, সে কিভাবে এখানে আসল, তার যতদূর মনে পরে ল্যাবরেটরিতে কোন এক অদ্ভুত শক্তি বা মানুষ তাদের টেনে নিয়ে গেছিল, সে আসলে কে? তার উদ্দেশ্যই বা কি এবং কেন সে তাদের সেই অশ্রধারী লোকগুলোর হাত থেকে রক্ষা করল? তার বাবাকে যে অদৃশ্য শক্তি নিয়ে গেছিল, এর সাথে কি কোন সংযোগ আছে? আর অস্ত্র ধারী সেই দুজনই-বা কে? তার আর মাথাতে কিছুই আসছে না। হঠাত মনে পরে সুমি আর দিপুর কথা, তারা এখন কেমন আছে, কোথায় আছে? ভাবে টিটুন।

হঠাত টিটুনের মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়, একটি তীক্ষ্ণ সূচালো কিছু যেন তার মাথায় প্রবেশ করছে ধীরে ধীরে, সেটা তার নিউরনকে কেমন যেন উল্টেপাল্টে দিচ্ছে। সে এই অনুভূতির সাথে একেবারেই অপরিচিত, টিটুন দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়, তার মা রাবেয়া বুঝতে পারেন না ছেলের কি হল।

টিটুন চোখে মুখে পানি ঢালে, হঠাত একটি শব্দ শুনতে পায়, শব্দটা অদ্ভুত ছন্দে আসতে আসতে বাড়তে থাকে, অনেকটা পুরনো দিনের রেডিও এর মত গরগর শব্দ করে, তারপর চি চি, তারপর আবার স্বাভাবিক। শব্দের উৎস খুঁজলে চারদিকটায় একবার নজর রাখে টিটুন কিন্তু কিছুই পায় না, এতটুকু বুঝতে পারে শব্দটা তার মস্তিষ্কের ভিতর থেকে আসছে, কেউ যেন শব্দের তরঙ্গ টিউন করে তার মস্তিষ্কের সাথে এডযাষ্ট করে দিচ্ছে যাতে সে স্পষ্ট বুঝতে পারে।

“টিটুন আমি বলছি? তুই কেমন আছিস এখন?”

কণ্ঠ পরিচিত লাগে টিটুনের, ভয় পাওয়া স্বরে বলে “আমিটা কে?”

“শান্ত হ, আমি সুমি বলছি।“ বলেই থামে।

আমি কি সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছি মনে মনে ভাবে টিটুন।

“না তুই পাগল না” বলেই হাসে সুমি, যেন সে এই ব্যাপারটার সাথে আগেই পরিচিত।

আজ সকাল থেকে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে, কোনটা সত্যি আবার কোনটা মিথ্যে বুঝা মুশকিল ভাবে টিটুন। প্রচণ্ড বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের গলায় বলে “এটা কিভাবে সম্ভব?”

সবই সম্ভব টিটুন, আমাদের মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন এখন আর সাধারণ নয়, সেটা অন্য পর্যায়ে আছে, আমাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গের রিসিভার তারা কিছুটা পরিবর্তন করে দিয়েছে।

“তারা কারা? কেন করল, তাদের উদ্দেশ্যই বা কি? তাদের সাথে দেখা করে সব আলাপ করা দরকার” একনাগাড়ে বলতে থাকে টিটুন।

তার বুকটা ধড়ফড় করছে, স্টকের অক্সিজেনে ভাটা পরলে পুনরায় দম নিয়ে বলে “তাছাড়া আমরা যে সময় পরিভ্রমন করে এই যে অতীতে এলাম তাহলে এই সময়েতো আমাদের প্রত্যেকের আরেকটি ভার্সন থাকার কথা, সেই ভার্সনটি কোথায়? এটা কিভাবে সম্ভব? আমরা সময় ভ্রমন করে আবার সকালে ফিরে এসেছি কিভাবে?”

“তুই শান্ত হ, আর তোকে মুখে জোরে কথা বলতে হবে না, তুই মনে মনে কথা বললেই সেই তরঙ্গ আমার মস্তিষ্কে এসে পরবে টেলিপ্যাথির মাধম্যে” বলেই থামে সুমি।

পুনরায় বলে “তারা কে বা কারা, তারা আমাদের এ-জগতের কিনা সেটাও জানি না, আমাদের আগের ভার্সনটিরই বা কি হল কিছুই জানি না, তবে এতটুকু জানি তারা আমাদের মস্তিষ্কে কিছু একটা করেছে যাতে টেলিপ্যাথি ক্ষমতা অর্জন করি আমরা।” বলেই থামে সুমি।

“কে তারা?” ফের প্রশ্ন টিটুনের।

“জানি না।“ বলে সুমি।

“তাদের সাথে কি তোর দেখা হয়েছে?”

“না”বলে সুমি।

“কথা বলেছে?” পুনরায় জিজ্ঞেস করে টিটুন।

“কথা না ঠিক, আমি শুধু জানি আমার মস্তিষ্ক উপলব্ধি করছে কথাগুলো, মনে হচ্ছে তারা আমার সাথে কথা না বলে শুধু তথ্য পাঠাচ্ছে। আমাদের এই টেলিপ্যাথি তারা দিয়েছে এবং এর বেশী কিছু আমি জানি না।“ বলেই থামে সুমি।

পুনরায় বলে “তবে তারা বলেছে শীঘ্রই সব প্রশ্নের উওর মিলবে, আর কিছু বলতে পারব না টিটুন। আমি দুঃখিত।“

একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে টিটুন, তার কি খুশী না দুখী হওয়া উচিত বুঝতে পারছে না সে, প্রসঙ্গ পালটে বলে “তুই এত কিছু কিভাবে জানলে এত তাড়াতাড়ি?”

হাসে সুমি কিছুটা নাটকীয় করে বলে রহস্য আসে।

“নাটকীয়তা করবি না, বল বলছি?” ফের প্রশ্ন টিটুনের।

“তোকে যেমন আজ সকালে ফিরিয়ে দিয়েছে, ঠিক তেমনি আমাকে গত সপ্তাহে ফিরিয়ে দিয়েছে তারা সেই হিসেবে আমি কিছুটা অভিজ্ঞ তোর তুলনায়” বলে সুমি।

“তারমানে এই গত এক সপ্তাহে যা ঘটেছিল তুই সবই আগে থাকতে জানতে পারছিলি? “ জিজ্ঞেস করে টিটুন।

“হুম।“ বলে সুমি।

“তাহলে বলিস নি কেন?”

“তারা নিষেধ করেছে। তারা বলেছে অতীতে ফিরে গিয়ে টাইম লাইনের কোন পরিবর্তন যেন না করি, টাইম লাইনে হস্তক্ষেপ করলে এতে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে।“ বলেই থামে সুমি।

ফের বলে “তবে সেদিন দিপুকে যে বদরুল মারধর করবে এই ঘটনাটা আমি আগেই জানতাম, এর জন্যই দ্বিতীয়বার আমি মোবাইলে সেটা রেকর্ডিং করে হেড স্যারের কাছে বিচার দিয়েছিলাম।”

“তুই যে টাইম লাইনের পরিবর্তন করলি এতে তারা কিছু বলেনি?” জিজ্ঞেস করে টিটুন।

“এখনো পর্যন্ত কিছু বলেনি” বলে সুমি।

“তাদের সাথে যোগাযোগ কর, তাদের উদ্দেশ্য কি? কি চায় আমাদের কাছে? এগুলো জানা দরকার।“ বলে টিটুন।

“আমি চাইলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি না, শুধু তারা যখন চাইবে ঠিক তখনই আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারব, তারা বলেছে শীঘ্রই আমাদের সাথে দেখা করবে, সব প্রশ্নের উওর মিলবে, তবে তারা বলেছে সামনে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।” দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সুমি।

টিটুন চিন্তার সাগরে ডুব দেয় মনের ভিতর অসংখ্য প্রশ্ন উকি দিচ্ছে, এরা কারা, এদের উদ্দেশ্যই বা কি, তার বাবার হাড়িয়ে যাবার সাথে এদের কি কোন যোগসূত্র আছে? টিটুনের মনে হচ্ছে তার বাবার ব্যাপারে তারা জানে। যেভাবেই হোক তাদের সাথে দেখা করা দরকার, বাবার কথা ভাবতেই মনটা কেমন বেকুল হয়ে উঠে হয়ে টিটুনের।

একটু দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সুমি তারপর বলে “আমি জানি তুই কেন তাদের সাথে দেখা করতে চাচ্ছিস। আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর উপায় নেই।”

“হুম, দিপু কোথায়?”

“আমি তোদের কথা শুনছিলাম, এখানেই আছি” বলে দিপু।

বিঃ দ্রঃ প্রতিদিন একটি করে পর্ব দিয়ে বারটি পর্বে শেষ করে ফেলব।

আগের পর্বঃ ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব চার)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১০
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×