গতকাল কে Click This Link ব্লগীয় জরিপ চালিয়ে ছিলাম। প্রায় ৩০/৩৫ জন ব্লগার টিপাইমুখ বাঁধ এবং এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর কে না বলেছেন..। যাই হোক এই প্রতিবাদ কে সংখ্যা দিয়ে মাপা ঠিক না। তবু ও দেশের স্বার্থ পরিপন্হি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রত্যেক দেশ প্রেমিক নাগরিকের জন্য ফরজ। আমরা আমাদের জননীর জন্য যদি কিছুই করতে না পারি, নিশ্চুপ থাকি। দলীয় স্বার্থে নেতা নেত্রীর রাজনীতিক মতামতের উর্ধ্বে না উঠি, গর্জে না উঠি তাহলে আমাদের মধ্যে আর মীর জাফর, মীর মদনদের পার্থক্য কি? দেশ কে ভালোবাসতে কোন দল মত পথের প্রয়োজন হয় না। দেশের স্বার্থ বিরুদ্ধী টিপাইমুখ এবং এশিয়ান হাইওয়ের রুট-১,২(করিডোর) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য শুধু ব্লগ কে-ই আমি উপযুক্ত মনে করছি না। যেই যে অবস্হানে আছেন সেই অবস্হানে থেকে ও প্রতিবাদ করতে পারেন আপনার পাশের অন্য ভাই বোনদের সচেতন করে। হোক সেটা স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়, অফিস, কারখানা, টিভি/ পত্রিকা ভবনের সামনে, পানি এবং যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে সামনে, প্রেস ক্লাবের সামনে সর্বত্র। সংঘবদ্ধ ভাবে অথবা একা..(যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...দেশের জন্য)। আমাদের বর্তমান নেতা নেত্রীরা ব্যাক্তি স্বার্থ অথবা দলীয় স্বার্থের জন্য নিরব! শুধু কথা বলার জন্য প্রতিবাদ করছে বিবৃতি দিয়ে!!
হে জাতি তুমি অভাগা... তুমি আওয়ামীলীগ, বিএনপি বিলাপ জপে সব হারিয়েছো। তোমার সেই গর্জে উঠার তেজ নেই! তুমি টাকার কাছে বিলিয়ে দিচ্ছো বীর বাঙালীর গৌরব। তুমি দেশের স্বার্থের সাথে বিশ্বায়নের ছন্দে সাজানো মধুর হিন্দোল বিশ্বে ঝুলে সব হারিয়ে আশায় থাকার আশায় বসে আছো। তোমার বুদ্ধিজীবিরা নানা তত্ত্বের তত্ত্ব জপে ঘুমিয়ে আছে দেশতত্ত্ব ভুলে। তোমার প্রেমের নীতির খেলায় গনতন্ত্র খেলে যারা তারা আজ কবর খুড়ছে মীর জাফরের কোদাল দিয়ে।
আজকে যার চেহারা বার বার ভেসে উঠছে, যার কথা বার বার মনে পড়ছে, যার অভাব অনুভূত হচ্ছে সে বীর বাঙালী শুধু শব্দের জননেতা নয় তিনি গরীবের বন্ধু মাওলানা ভাসানী। সেই লংমার্চ, সেই ফারাক্কা, আজকের মরুভূমি, টিপাইমুখ বাঁধ, এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর সবই হচ্ছে শুধু প্রতিবাদ করার মতো একজন ভাসানী নেই!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৩২