somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Super Bowl - XLIV

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ লেখাটি যখন লিখছি ঠিক তখন একই সাথে আমেরিকান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল খেলাটিও উপভোগ করছি। ভাবছি এ নিয়ে কিছু একটা লিখে ফেলি। আমার বিশ্বাস আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে আমেরিকান ফুটবল খেলাটি আসলে কি সে সর্ম্পকে। বাংলাদেশ কিংবা সারা বিশ্বে ফুটবল বলতে যে খেলাটি আমরা বুঝি বা চিনি তার চেয়ে যথেষ্ট অন্যরকম একটি খেলা হলো এ আমেরিকান ফুটবল। অনেকটা রাগবীর মতনই তবে নিয়ম কানুনগুলো রাগবীর চেয়ে একটু অন্যরকম। আর খুবই ধস্তাধস্তি থাকে বলে এখেলায় খেলোয়াড়রা হেলমেট সহ নানান বডিশীল্ড পড়ে থাকেন।
আমার মনে আছে অনেক বছর আগে যখন প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর আগমন ঘটে বাংলাদেশে, তখন স্টার স্পোর্টস একসময় এখেলাটি দেখানো শুরু করে। দর্শকদেরকে খেলার নিয়ম কানুনও বোঝানার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা চালানো হয়। তবে তারপরেও খেলাটি সে সময় এশিয়ার দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় না হওয়াতে পরের সিজনেই স্টারস্পোর্টস আমেরিকান ফুটবল দেখানো বন্ধ করে দেই। জানিনা এখন বাংলাদেশে প্রদর্শিত কোন স্যাটালাইট চ্যানেলে আর এ খেলা দেখানো হয় কিনা। আমার কাছেও খেলাটি মোটেও মজাদার মনে হয়নি সে সময়।

পরবর্তীতে আমেরিকাতে আসার পরে দেখলাম এখেলা এদেশে কতটাই যে জনপ্রিয়। উইকএন্ড আসলেই সবাই ফুটবল (আমেরিকান ফুটবল) নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইউকএন্ড জুড়ে থাকে হয় কলেজ ফুটবল (আন্ত কলেজ লীগ বলা যেতে পারে) আর ন্যাশনাল ফুটবল (জাতীয় লীগ)। প্রথম দিকে এখেলার প্রতি কোন আকর্ষণই আমার ছিল না। নিয়মকানুনও বুঝতাম না। শুধু মনে হতো ধস্তাধস্তির একটি খেলা এটি। কিন্তু একসময় দেখতে দেখতে (অনেকটা বাধ্য হয়েই দেখতে হয়েছিল প্রথমদিকে) আস্তে আস্তে খেলাটির নিয়ম বুঝতে পারি আর তারপর আস্তে আস্তে আমি নিজেই খেলাটির ভক্ত হয়ে পড়ি। আর খেলাটি যখন ভালো লাগতে শুরু করল তখন আস্তে আস্তে একটি দলকে প্রিয় দল বানিয়ে ফেললাম (না খেলার উপর ভালো বলে প্রিয় দল বানানো নয়, বরং যে স্টেটে থাকতাম সে স্টেটের প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসাবে ডালাস কাউবয়কে পছন্দের দল বানালাম।) তবে কপাল খারাপ। যদিও অতীতে ডালাস কাউবয় অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ন্যাশনাল ফুটবল লীগে, তবে শেষবার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বহু বছর আগে (১৯৯৬ সালে)। আমি তাদের ভক্ত হবার পরে একবারো তাদেরকে জিততে দেখেনি।

মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। আমেরিকার এ ন্যাশনাল ফুটবল লীগের ফাইনাল খেলাটিকে মূলত সুপারবওল বলা হয়ে থাকে। এটি হলো আমেরিকার সবচেয়ে বড় স্পোর্টস ইভেন্টস। আর প্রতিবছর টিভির সবচেয়ে বেশী দর্শক এ ইভেন্টটি দেখে থাকে। আর এজন্যই টিভিতে সুপার বওল দেখানোর সময় যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়, সেগুলো খুবই এক্সপেনসিভ হয়ে থাকে। আর ফলস্রুতিতে বিজ্ঞাপননির্মাতারা খুবই ব্যয়বহুল করে একদম নতুন বানানো বিজ্ঞাপনগুলো এ দিনই প্রচার করে থাকে। যাইহোক, আমি আপাতত খেলাটি উপভোগ করি। আজকে ৪৪তম সুপারবওলের এ ফাইনালে খেলছে ইন্ডিয়ানা স্টেটের ইন্ডিয়ানাপলিস কোলট্স আর লুইজিয়িনা স্টেটের নিউ অরলিন্স সেইন্টস। এ মুহু্‌তে খেলা চলছে আর কোলট্স এগিয়ে আছে। যাবার আগে এটিই বলব, খেলাটি আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং। খেলাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের লিংক গুলো দেখা পারেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Superbowl
http://www.nfl.com/
২০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×