somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গরমে আরাম...... (মুন'স থিওরি) :P:P:P

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসলাম বহু দিন পর। যাই হোক, শুরুতেই সবাইকে গ্রীষ্মের আগুন গরম শুভেচ্ছা জানাই..... ;);) :P:P B-)

এই গরমে ঘরে বসেই খুব সহজে সেইরাম আরাম পাওয়ার জন্য আমি নিজে কিছু থিওরি আবিষ্কার করেছি। আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। আশা করি আপনারাও উপকৃত হবেন.... :P:P:P

১*** ধরুন দুপুর বেলা আপনি বাসায় আছেন। ঘরে, বাইরে প্রচন্ড গরম, একবারে অস্থির অবস্থা...!!! এমতাবস্থায় আপনি আপনার বেডরুমের সব বাতি নিভিয়ে দিন। জানালা খোলা রেখেই জানালার পর্দা টেনে দিন। এই গরমের সময় ঘরে ভারী পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো, হালকা রঙের পাতলা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করাটা ভালো। এবার কাউকে দিয়ে অথবা নিজেই আপনার বেডরুমের ফ্লোরটা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছিয়ে নিন। এবার ফুল স্পিডে সিলিং ফ্যানটা ছাড়ুন। এবার পাতলা একটা টাওয়েল ঠান্ডা পানিতে চুবান এবং কিছুটা পানি চিপে নিন, পুরোপুরি পানি ঝরাবেন না। ফ্লোরের পানি যখন প্রায় শুকিয়ে আসবে অর্থাৎ ফ্লোরে একটু একটু পানি থাকবে, তখন একটা নরম তুলতুলে বালিস নিয়ে ফ্লোরে বসুন। বালিসটার ওপরে ঐ টাওয়েলটা সমান করে বিছিয়ে দিন। এবার সেটা মাথার নিচে দিয়ে চোখ বন্ধ করে সরাসরি ফ্যানের নিচে সোজা হয়ে শুরু পড়ুন। কিছুক্ষনের মধ্যেই মনে হবে আরামের চোটে আপনি বেহেস্তে পৌছে গেছেন। এমনকি ঘুমিয়েও যেতে পারেন....... :P:P

২*** এই থিউরি ফলো করার জন্য প্রথমেই দোকানে গিয়ে একটা গোলাপ জলের বোতল কিনে আনুন। বাসায় এসে ফ্রিজের আইস কেসটা বের করুন এবং প্রতিটি খোপে খোপে ভালোভাবে গোলাপজল দিয়ে পূর্ন করুন। এবার এটা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। প্রত্যেকদিন যখন সারাদিনের কাজ সেরে, রোদে পুড়ে বাসায় ফিরবেন তখন এই গোলাপজলের বরফ আপনাকে দারুন স্বস্তি দিতে পারবে। ধরুন বাইরে থেকে বাসায় এসেছেন এবং গরমে আপনার একদম নাজেহাল অবস্থা। এবার এক টুকরো গোলাপজলের বরফ আর এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে বেসিনের সামনে চলে যান। বরফের টুকরোটি পুরো মুখে আস্তে আস্তে ঘষুন। এতে করে চামড়ার জমে থাকা ময়লা গুলোও উঠে আসবে। ৫/১০ মিনিট এভাবে ঘষার পর ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে দিতে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এবার ফ্যানের নিচে গিয়ে দাঁড়ালেই দেখবেন কেমন আরাম লাগে.....

৩*** এটা মূলত ছেলেদের জন্য এবং যেসব মেয়েদের চুল আমার মত ছোট ছোট, তাদের জন্য। ধরুন সারাদিন প্রচন্ড গরম থাকার পরও রাতে ভীষন ভ্যাপসা গরম। এমনকি মাঝরাতেও খুব গরম লাগছে। এমতাবস্থায় ভীষন অসস্তি লাগার কথা। সোজা বাথরুমে চলে যান। এবার হ্যান্ডশাওয়ারটা হাতে নিয়ে বেসিনের সামনে মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দাঁড়ান। প্রায় আধা ফিট বা তারও ওপর থেকে মাথার ওপর হ্যান্ডশাওয়ারটি ধরুন এবং পানি ছাড়ুন। অন্য হাত দিয়ে চুলের ভেতর আস্তে আস্তে বিলি কাটুন। হ্যান্ডশাওয়ারের বদলে মগ দিয়েও পানি দিতে পারেন। ১০/১৫ মিনিট পানি ঢালার পর রুমে এসে রিল্যাক্সলি ফ্যানের নিচে বসুন এবং ধীরে ধীরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন। সেসময় প্রশান্তিতে আপনার সারা শরীর ভরে যাবে.....

৪*** এটা তাদের জন্য, যাদের হাতে অফুরন্ত সময় এবং যারা হাজার কাজের ফাঁকে অবসরের জন্য ১,২ দিন ম্যানেজ করতে পারবেন। সকাল সকাল ৮টা, ৯টার দিকে গোসল করে রেডি হয়ে সোজা চটবাড়ি চলে যান। সেখানে বট গাছটার নিচে বসলে আর আশপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে কিছুক্ষনের মধ্যেই মন ভালো হয়ে যাবে। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, এখানে সারাক্ষনই ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে, বাতাস থামেই না। ঐখানে গিয়ে একবার বসলে আপনার আর উঠে আসতে ইচ্ছা করবে না.........


আপাতত এই কয়টা থিওরি দিলাম। আশা করি আপনাদের কাজে আসবে :P:P:P
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×