somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের সফল মানব বন্ধন

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিয়া পরিষদ, গাজীপুর জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২১ জনের চাকুরীচ্যুতের প্রতিবাদে জয়দেবপুর পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।










শান্তিপূর্ন মানববন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্ধ এবং গাজীপুর জিয়া পরিষদ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ বক্তব্য রাখেন

আপনার যারা এখনো চাকুরীচ্যুতীর ঘটনাটা জানেন না তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি,

২০০৩ সালের ১৭ নভেম্বর হতে ২০০৪ সালের ০৪ জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন পদে বেশ সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমিও এ সময়ের মধ্যে নিয়োগ পাওয়া একজন। পরবর্তীতে ০৫ জানুয়ারী ২০০৪ তারিখে 'দৈনিক সংবাদ' সহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে আমরা এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সহ আরো অনেকে সে সময় নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাচাই বাচাই করে যাদের নামে সাক্ষাতকার পত্র প্রেরণ করে তারা সাক্ষাতকার বোর্ডে হাজির হন। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ আমাদের এবং আরো অনেকের নামে নিয়োগপত্র ইস্যু করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের যোগদানপত্র গ্রহণ করে ও অবেক্ষধীন সময় উল্লেখ করে আমাদের পত্র প্রেরণ করে। অবেক্ষধীন সময় শেষ হলে আমারে চাকুরী নিশ্চয়ন করা হয়।

উল্লেখ্য আমাদের এ নিয়োগকে কোড করে ২০০৪ এর ৩১ ডিসেম্বর ডাক্তার ফজলে রাব্বী মিয়া মহামান্য হাইকোটে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট একটি রুল জারী করে। পরে বিভিন্ন সময়ের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ২০০৬ সালে রিটটি খারিজ করে দিলে রিটকারী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল না করলে রিটটির চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়।তবুও বিধি বহির্ভূতভাবে দীর্ঘ সময় পর ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার বাদী না হয়েও গাজীপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক মামলাটি পুনরায় শুনানীর আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যে ডকুমেন্ট চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতকে কোন ধরনের সহযোগীতা না করে বিধি বহির্ভূত মামলার বিধি বহির্ভূত বাদীর সাথে আতাত করে নিশ্চুপ থাকে। একসময় ২০১১ এর ২৩ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালত বিবাদীর অনুপস্থিতে মামলার রায় দেন, ২০০৩ সালের ১৭ নভেম্বর হতে ২০০৪ সালের ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ অবৈধ।

এ রায়ের কপি মামলার বাদী নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রায় কার্যকর করার জন্য চাপ দেন এবং কর্তৃপক্ষ জরুরী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মামলার রায় কার্যকর করার ব্যবস্থা করেন, যদিও কয়েকজন সদস্য এতে আপত্তি জানান।

চাকুরীচ্যুতরা এ স্থগিত করার জন্য চেম্বার জজ আদালতে যান। সেখানে আইনমন্ত্রী, শিক্ষা উপদেষ্টা, এটর্নী জেনারেল এবং আকম মোজাম্মল হক তার দল বল নিয়ে হাজির হলে বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।

বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারলাম, আকম মোজাম্মেল সাহেব প্রমিজ করেন, তার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে তিনি জোট সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করতে দিবেন না। তার এ ক্রোধের কারণ কি জানেন ? যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, এই মোজাম্মেল সাহেব বিভিন্ন পরীক্ষায় বহিষ্কৃত তার মেয়েকে চাকুরীতে নিয়োগের জন্য আসলে, সে সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোজাম্মেল সাহেবের মেয়েকে যোগ্যতার অতিরিক্ত পদে নিয়োগ দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তখন থেকেই তিনি সে সময়েই প্রমিজ করেন, যে সময়ে তার মেয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী পায় নি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐ সময়ে নিয়োগ পাওয়া কাউকে চাকুরী করতে দিবেন নি।

এসব তথ্য অবশ্য একাধিক পত্রিকায় এসেছে।

তবুও যাচাই এবং বিচারের ভার পাঠক ও জ্ঞানী সমাজের নিকট চেড়ে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×