এদানিং দেখতেছি পত্র পত্রিকা খুললেই দেশের কোথায়ও না কোথায় র্যাব, পুলিশ ডিবি সহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাউকে না কাউকে গ্রেফতার করছে ৫৭ ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে, তার ব্যাখ্যা হিসেবে পত্রিকায় আসছে, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের রাজনীতিবিদদের ছবি এডিট করা, ব্যঙ্গ করা, বঙ্গবন্ধু বা হাসিনার নামে বাজে মন্তব্য, পোস্ট বা গুজব ছড়ানোর জন্য তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, আমরা চাই আইনটি সবার ক্ষেত্রে সমান হোক।
আপনারা জানেন হাসিনাপত্র সজিব ওয়াজেদ জয় তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে খালেদা জিয়া, ড কামাল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছবি এডিট করে বাজে মন্তব্য করেছে, ড কামাল হোসেন কে একটি পাখির বাসায় বসানো হয়েছে ।
এস কে সিনহাকে একটি ভাঙা ডিমের ভিতর বসানো হয়েছে, এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাচ্ছে করে যাচ্ছে, সাবার প্রতি অনুরোধ প্রতিটি ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীপন্থীদের ফেসবুক টাইমলাইনে গিয়ে দেখুন তারা কন্ঠ নকল করে বা ভিডিওর কাটিং করে করা ভিডিও প্রকাশ করছে বিএনপি নেতাদের নামে, এবং বাদ যায়নি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানও , সে কিছুদিন পূর্বে আমরা জানি একজন মহিলালীগ নেত্রী রিক্সাওয়ালাকে থাপড় দিয়েছে আলোচিত হয়েছে, পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমাদের ছাত্রদলের তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রদল নেত্রী এলিনা আফরিন কোন এক সময় শহীদ জিয়ার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলো তা এডিট করে রিকসাওয়ালাকে মারধর করা সেই আওয়ামী মহিলার চেহরা বসিয়েছে বিএনপির বলে চালিয়ে দিয়েছে।
এই রকম লক্ষ প্রমাণ দিতে পারবো, আবার দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত ট্রল পেজ ট্রল খালেদা সহ একাধিক ব্রুস্ট করা পেজ ও আইডিতে বিএনপির বিরুদ্ধে নিয়মিত অপপ্রচার ও ভুয়া খবর ছাপানো হয়মে তাদের পৃষ্ঠপোষকে রয়েছে তথাকথিত ১০০ র উপরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল যার উদ্দেশ্যই বিএনপির বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো, নির্বাচনের আগে ফেসবুক যে ১৫ টি পেজ বন্ধ করেছে তার ১১ টিই সরকার সমর্থিত বলে তারা নিশ্চিত করছে।
এখন আমার প্রশ্ন এক আইনের ২ রকম প্রয়োগ কেন?
খালেদা জিয়া বা বিএনপির নেতাদের নামে গুজব ছড়ানো যাবে কিনা উক্ত আইনে, বা নিজপুত্রকে তথাকতিথ আইটি বিশারদ সাহেব কি আইনের উর্ধ্বে ?
নিজের বাপের ও নিজের নামে কিছু লিখলে বা নিজের ছবি এডিট করলে সরাসরি গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে রিমান্ডে নেন, নিজদলের ক্ষেত্রে তা প্রচার হয় কেমনে ?
দেশের আইনআদালতের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাশীল হবে কিভাবে যখন দেখে সব আইন প্রয়োগ হয় শুধু বিরোধী শক্তির উপর !
৫৭ ধারা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, েএবং সাইবারে যারাই ব্যক্তি চরিত্র হরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করতে হবে, আর উন্নত বিশ্বে আমরা দেখি বারাক ওবামা বা ট্রাম্পের ছবি কিংবা বিশ্বনেতাদের ছবি ব্যঙ্গ করে সেই দেশের নাগরিকরা বিক্ষোভ করে, আসলে এখানে যদি কেউ অশ্লিল কিছু না করে তবে এটা কি অপরাধের মধ্যে পড়ে কিনা? পড়লে দয়াকরে উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পলিটিকাল মিছিল বা বিক্ষোভ গুলোর ভিডিও বা ছবি দেখুন ।
এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করা যাবে না এ আবার কেমন গণতন্ত্র?
বেশীরভাগ বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও পত্র পত্রিকা ম্যগাজিনের মালিক সরকার দলীয় নেতা, এবং ৪ জন মন্ত্রীও মিডিয়ার মালিক, ২/৪ টা যারা নিরপেক্ষ আছে তাদেরও ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রয়ণ করে রাখা হয়েছে, এবং নির্বাচনের পূর্বে তাদের কে বলা হয়েছে মূর্তির মতো দাড়িয়ে থাকতে হবে মোবাইল বা কেমরা নিয়ে ভোট কেন্দ্রের ভিতর যাওয়া যাবে না, এবং নির্বাচনের দিন সাংবাদিকরা গাড়ি বা মটর বাইক নিয়ে সংবাদ কালেকশান করা যাবে না, এবং নেট বন্ধ করে দেয়া এসব আপনারা জানেন।
গণমাধ্যম যখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে কাঠের মূর্তি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের মানুষের মুখে তালা লাগাতে চায় স্বৈরাচার শাসক, তবে এই তালা বেশীদিন লাগিয়ে রাখা যাবে না।
অচিরেই সকল দলমত নির্বিশেষে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটবে এবং দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লা
- লেখক
এম বোরহান উদ্দিন রতন
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০