ব্যাপারটা খুবই লজ্জাজনক যে প্রাইভেট ভার্সিটির ভ্যাটবিরোধি আন্দোলনে শিক্ষকদের উপর গুলি চালানো হয়েছে এবং একজন শিক্ষক রক্তাক্ত হয়েছেন!
অর্থমন্ত্রী কি করছেন তা শিক্ষকদের জ্ঞ্যানহীন মস্তিষ্কে যেখানে ঢুকছে না সেখানে আমরা ছাত্ররা কি? উনার মতে শিক্ষক, যারা আমাদের শিখায় তারা যদি জ্ঞ্যানহীন হয় তাহলে আমার প্রশ্ন প্রতিবছর যারা পাশ করে বের হচ্ছে তারা কি?
অর্থমন্ত্রী নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন! উনার মুখে একথা কিভাবে মানায়?
সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে শিক্ষকতা সবচেয়ে নীচের পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কোথাও গতি হচ্ছেনা তাকেই শুধু দেখা যায় শিক্ষকতা করতে। বিশেষ করে স্কুল,কলেজ লেভেলে। ভার্সিটি লেভেলে পাবলিক ভার্সিটির টিচারদের যা একটু সম্মান আছে, প্রাইভেট বা কলেজের টিচারদের তাও নেই । আর থাকলেও ইন্সটিটিউট এর ভিতরে, ইন্সটিটিউট এর বাইরে সে পাবলিক বা প্রাইভেট যেখানের সশিক্ষক হন না কেনো একটা মুদির দোকানীর সমান সম্মান নেই। কেউ রে রে করলেও মানুন বা না মানুন এটাই সত্য। বেতনের কথা নাই বা বললাম! বেতনের কথা বলতে গেলে অর্থমন্ত্রীর কথা সত্য মেনে নিতেই হয়। কেননা কোয়ালিফিকেশন অনুযায়ী তারা যা বেতন পায় সে বেতনে একমাত্র জ্ঞ্যানহীন মানুষেই চাকরী করবে। শিক্ষকদের সম্মান কতটুকু নীচে নেমে গেছে ভাবুন,BCS ক্যাডার শিক্ষক কলেজে জয়েন করার পর তাকে আবার প্রাইভেট পড়াতে হয়।
একজন শিক্ষক একশজন মন্ত্রী গড়ে তুলতে পারে কিন্তু একশজন মন্ত্রী কি একজন আদর্শ শিক্ষক গড়ে তুলতে পারবে? প্রশ্ন থেকেই যায়।
এবার আসি করের কথায়! বাজেট হয় জনগণের জন্য,সরকারের জন্য নয়। এখন সেই বাজেট যদি সাধারণ মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয় তাহলে বাজেটের মূল্য কই থাকলো?
আর সেই বাজেট প্রত্যাহারের জন্য জনগণকে রাস্তায় নামতে হয়,বিশেষ করে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের, তারপর তাদের জ্ঞ্যানহীন গালি খেতে হয়, পুলিশের গুলি খেতে হয় তাহলে দিনশেষে লজ্জাটা কার হওয়া উচিৎ?
অবশ্য এসব কথা অর্থমন্ত্রীর জ্ঞ্যানী মাথায় নাও ঢুকতে পারে।আফটার অল, পাবলিক ডিমান্ড মেনে চলে তো মন্ত্রীর গদি ঠিক রাখা যায় না!!