মুক্তিযুদ্ধ কারা করছিল? আসলে কারা ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে? "গায়ের জোরে স্বপক্ষ শক্তি" মানে কি? রাজাকার-আল বদর-আল শামস রাই কি তাইলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা? ১৯৭১ সালের মার্চ-ডিসেম্বরে যারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক-সামরিক সংগ্রামে ছিল , ১৯৭১ এর সাপেক্ষে তাগো ছাড়া আর কাউরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি কওনের কোন চান্স অন্তত ইতিহাসের রেফারেন্স থিকা নাই। কাদের সিদ্দিকি, মায়া চৌধুরী চোর-ছ্যাচ্চর যাই হোক ১৯৭১ এর ভুমিকা অনুসারে তারা মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মানে জামায়াতে ইসলামী,মুসলীম লীগ(কাইয়ুম),মুসলীম লীগ(কনভেনশন),নেজামে ইসলামী এই রাজনৈতিক দলগুলারে বুঝায়।
(চীনপন্থীরা দুই কুকুরের লড়াই কইছিল ঠিক। কিন্তু তার এক কুকুর যেহেতু পাকিস্থানী সেনাবাহিনি+জামাত-মুসলীম লীগের বাস্টার্ডরা সুতরাং তাগো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ কওয়া যায় না। তারা কোন অবস্থান থিকা আওয়ামী নেতৃত্বের বিরোধীতা করছে সেইটা বুঝতে গেলে বকরির বেরেন ফরম্যাট করা লাগবো। সবচাইতে বড় কথা জামাতের লগে রাজনৈতিক সম্পর্ক। জামাতের লগে সিরাজ শিকদার-হক-তোয়াহাদের সম্পর্ক রক্তারক্তির।এই জন্যই ১৯৯২ সালে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির লগে সর্বহারা-পূর্ববাংলারা সক্রিয় ছিল। )
মুক্তিযুদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা থিকাই হইছে। ধর্মনিরেপেক্ষ চেতনা মানতে না পারলে থাকো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী গো লগে ! অসুবিধা কি? আইনত তো সেইটা নিষিদ্ধ না! তারা ১৯৭২ থিকা ১৯৭৫ হারাম ছিল। রাজনীতির অধিকার পাইছে মেলেটারিগো কাছে। মেলেটারিরা বন্দুক দিয়া সংবিধান বদলাইছে, যেইটা আবার সুপ্রীম কোর্টে টিকে নাই। এরপর মেলেটারি আইতাছে ঘুইরা ঘুইরা। তারাই তোমার শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ সাঈদী-নিজামীগো টিকাইয়া রাখছে। সেই দিক থিকা আইনের দোহাই দিয়া তুমি অস্তিত্বের বৈধতা দাবী করতেই পারো। কিন্তু পাবলিকের গালি থিকা মুক্তি পাওনের আশা করতে পারো না। পাবলিক আম্লীগ,বিএম্পিরে গাইল দেয়,আরো দিবো কিন্তু তাতে তোমাগো জন্য বরাদ্দ করা গালির স্টকে শর্ট পড়বো না।
আবার স্মরণ করি অমি রহমান পিয়ালের মহাবাক্য :
"থাকলে এমনেই থাকতো হইবো নাইলে ফুট"