যেখানে প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ
কোপানোকে আমরা ধর্মের দোহাই
দিয়ে সমর্থন করি সেখানে দশ বারো
জন বখাটে মিলে পহেলা বৈশাখে
ঘুরতে বের হওয়া একটা নারীকে
বিবস্ত্র করবে এবং আমরা ইনিয়ে
বিনিয়ে সেই নারীর ই দোষ খোজবো
এটাই তো স্বাভাবিক।
নারীরা ঠিকমতো পর্দা করেনা,গতর
সামলিয়ে চলাফেরা করেনা, এমন তো
হবেই।এতে দোষের কিছু নেই।
জিন্স টপস পড়লে নারীকে আবেদনময়ী
লাগে,আমাদের কি দোষ!
সালোয়ার কামিজ পড়লে ওড়না
থাকেনা,আমাদের কি দোষ!
ওড়না থাকলেও বুকে থাকেনা,থাকে
গলায়।
আমাদের কি দোষ!
ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পড়লে নাভি
দেখা যায়, আমাদের কি দোষ!
বোরকা পড়লে শরীরের শেইপ বুঝা
যায়,আমাদের কি দোষ!
আমাদের কোন দোষ নেই।আমাদের
অনুভূতির দন্ড অল্পতেই দাঁড়িয়ে যায় এই
আর কি!একজন পর্ণস্টারকে সেলেব্রিটি
হিসেবে গ্রহণ করতে আমাদের সমস্যা হয়
না,আবার ঠিক সময়ে অনুভুতিতে ঠিক ই
আঘাত লাগে। এতোই আঘাত লাগে
যে প্রকাশ্য রাস্তায় হামলে পড়তে হয়।
*আগেরকার মহিলারা নিজেদের
দৈনন্দিন কাজ কর্মের সুবিধার্থে
শাড়ির নিচে ব্লাউজ পড়া ছাড়াই
চলাফেরা করতো। তখন যে কেন
দলবেঁধে মানুষ নারীকে ধর্ষণ
করেনি,এটাই মাথায় ধরেনা।নাকি
আগেরকার মানুষজন অসুস্থ ছিল!
*পাশ্চাত্যে নারীরা নিশ্চয় আমাদের
নারীদের মত এত পর্দানশীন নয়।
মোটামুটি খোলামেলা ই বলা চলে।কই
সেখানে তো এত এত ধর্ষণ,শ্লীলতাহা
নির খবর পাওয়া যায় না।তাহলে
ওখানকার পুরুষদের ও বোধহয় সমস্যা
আছে।
(?)
# প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ কোপানো বা
নারীর শ্লীলতাহানি যাই বলি না
কেন আমজনতা নিরাপদ দূরত্বে থেকে
পকেট থেকে স্মার্ট ফোন বের করে
পিক তোলবে।কেউ কেউ বিপদের গন্ধ
পেয়ে যত দ্রুত সম্ভব কেটে পড়বে।
সাংবাদিক সমাজ হাতে ক্যামেরা
নিয়ে ঠেলাঠেলি করবে একে অন্যের
আগে কাভারেজ করার জন্য।
আর পুলিশবাহিনী বাংলা ছবির
প্রাচীন
ঐতিহ্য ধরে রেখে ঘটনা শেষ হয়ে
যাওয়ার পর এসে বলবে"হ্যানডস আপ,আইন
নিজের হাতে তুলে নিবেন না'।
# কয়েকদিন আগে এক ব্লগারকে হত্যা
করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই জন
হিজড়া বা শিখন্ডী খুনীদের ধরে
পুলিশের হাতে সোপর্দ করে,যদিও
সেখানে অনেকেই ছিল।আর পুলিশ
কখনো ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে
আসামী ধরেছে এরকম আমরা খুব কম ই
শুনি।
!সরকার এত এত টাকা পুলিশবাহিনীর
পিছনে খরচ না করে যদি হিজড়াদের
পিছনে খরচ করতো তাহলে আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি বোধকরি আজকের চেয়ে
ভাল থাকতো!