কখোনো কখোনো মনে হয় এই যে বেঁচে আছি.......... বেঁচে থেকে কি হবে? আসহায়ভাবে বাস্তবতা কে মেনে নিয়ে কোনো এক মায়ার টানে বেঁচেই আছি....... কেন কে জানে?
চারপাশটা খুব বেশি ফাঁকা লাগে। মনে হয় দুই দীর্ঘশ্বাষের মাঝে একবার মরে যাচ্ছি আবার বেঁচে উঠছি। মাথার এলোমেলো চিন্তাগুলো এক একটা সময় শুন্য করে দেয় মাথা টাকে .। আর কিছু ই চিন্তা করতে পারি না। নিজেকে তখন পাগল মনে হতে থাকে। মানুষের উপর থেকে বিশ্বাষ টা চলে যাচ্ছে একে বারে...মেনে নিতে পারি না। নিস্তব্ধ বিবর্ন একা আমি দাড়িয়ে থাকি .......কি করবো? কার কাছে যাবো? মনের কথা কাকে বলবো? কার কাছে দু'ফোঁটা চোখের জল ফেলবো খুঁজে পাই না। মনে হয় জীবন টা থেমে যায় না কেন???
খুব ঘুরতে ইচ্ছা হচ্ছিল আজ...... আজানায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল.......ক্লাস টা তাড়াতাড়ি শেষ হল। কিন্তু একা নিজেকে ছাপোসা জীবন থেকে বের করতে পারলাম না। যে খানে নামার ছিল নামলাম। যথারীতি বাসায় এলাম। অভিশপ্ত জীবনটাকে নিয়ে........।
৫ বছর আগে আমার মনবল ছিল ১০০% আর সহ্য ক্ষমতা ০% আর আজ ঠিক উল্টো। মানে মনবল ০% আর সহ্য ক্ষমতা ১০০% । এর পর কি হবে কে জানে?
যে আমি কবিতা ভালবাসতাম, যে আমি বৃষ্টিতে ভেজার জন্য প্রানপাত করতাম, যে আমি বছর শেষে ছুটিতে বাবার কাছে বায়না করতাম ঢাকার বাইরে ছুটি কাটাতে যাবার, যে আমি চুরি করে পর্দার আড়াল থেকে সিনেমা দেখতাম ( পড়া ফাঁকি দিয়ে) বিকেলে পরে'যাওয়া রোদ , বসন্তের দখিন হাওয়া আমার যে মন টা কে উড়িয়ে নিয়ে যেত দুরে কোথও, যে আমি জোৎস্নাপ্লাবিত রাত নির্ঘুম চাঁদ দেখতাম, যে আমি এই শহরে জন্মেও নাগরিক বাস্তবতা বুঝতে পারি না আথবা চাই নি। যে আমি আড্ডা দিতে ভালবাসতাম গভীর রাতে রাজপথে হাটার স্বপ্ন দেখতাম, রিকশার হুট ফেলে বৃষ্টিতে ভিজতাম আজ আর কোনো কিছুরই তাগিদ অনুভব করি না। ব্লগে আসি না। ডাইরী লিখি না।
মাত্র পাহাড়াদারের বাঁশির শব্দ শুনলাম। আমি তো একলা জেগেই থাকি। জানালায় দারিয়ে বাডুরের উড়ে যাওয়া দেখি। কিন্তু খোলা আকাশের তারাদের দিকে তাকিযে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখা হয় না।
প্রচন্ড একাকিত্বে বন্ধুর হাতের ছোঁয়া পাই না কন্ঠস্বর শুনি না।
আমার শুণ্য ঘরে শুন্যতা কে পুর্নতা দিতে PC র সামনে বসে কখোনো কীবোর্ড কখোনো মাউসের বাটন চাপি। ঘুড়ে বেড়াই জিমেইল , ফেসবুক, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার। বায়ান্না তাসের রঙ্গ মিলাই.... বেশ ভালোই আছি। আবার উঠে ঘিয়ে টিভির রিমোৎের বাটন চেপে ঘুরে বেড়াই বিরামহীন। সেল ফোনের বাটন চেপে text করি কোন বন্ধুকে। যেন কেউ বলে দিয়েছে বাটন চেপে খুঁজে নিতে হবে সুখ। যখন লিখছি বেশ রাত এখন ঘুমন্ত নগর। আর আমি জেগে একলা
আজ আমি বিচ্ছিন্ন একসময়ের প্রিয়মুখো গুলো থেকে। সবাই ব্যস্ত যে যার নিজের জীবনে। তবুও কত স্মৃতি, কত আনন্দ, কত না বলা কথা, কত বেদনা কত কোলাহল মুখর সময় মনের মাঝে উকি দিয়ে যায়।
খুব বলতে ইচ্ছে হয়
"দুই একটা চিঠি জানালা দিয়ে চুপচাপ এখন ভাসিয়ে দাও শুন্য....."
আমার জন্যে.....
দুই একটা চিঠি জানালা দিয়ে চুপচাপ এখন ভাসিয়ে দাও শুন্য....." আমার জন্যে.....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৪টি মন্তব্য ৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন