ব্লগে ‘কাউয়া’ চেনার সেরা দশ রেসিপি:
১.যাদের নামের মাঝে এক ধরণের অসভ্য,অশালীন,অশ্লীল ও অহংকারী ভাব ফুটে উঠে তাদেরকে আপনি কাউয়া বলতে পারেন। যেমন-‘ ছাগু ফাইটার’ ‘ফোরটুয়েন্টি’ ‘খারাপ মাল’ কিংবা ‘জ্ঞানবৃক্ষ’ ইত্যাদী।
২.যাদেও ভাষা, বক্তব্য ও কমেন্ট এত কুরুচিপূর্ন যা থেকে সহজেই আপনি তাদের বংশ পরিচয় নির্ণয় করতে পারেন। যেমন ‘ প্রান্তিক চাষা’ ‘দ্রাবিড় বাঙাল’ প্রমূখ।
৩. আক্রমনাত্মক আচরণ আর গালিগালাজের জন্য নোবেল প্রাইজের ব্যবস্থা থাকত তাহলে নিশ্চিতভাবে সে প্রাইজ তারাই লাভ করত।
৪.যারা যুক্তির চেয়ে শক্তি প্রয়োগে আর খারাপ ভাষায় বকুিন দিয়ে আরাম অনুভব করে।
৫.যারা প্রায়ই ছাগু ছাগু বলে চেচামেচি করে ব্লগারের কান ঝালাপালা করার চেষ্টা করে।
৬.প্রায়ই যারা ‘আল্লাহ, রাসূল (স.) এবং ইসলামের বিভিন্ন নিদর্শনকে নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়ার ধৃষ্ঠতা প্রদর্শন করে।
৭. কোরান ও হাদিসের কোন অংশের অসম্পূর্ণ অর্থ করে তা ব্লগে দিয়ে মুসলমানদের মনে সংশয় তৈরীর অপচেষ্টা করে।
৮.আপনি যদি ইসলামের পক্ষে কথা বলেন, তাদের পোস্টে মাইনাস দেন অথবা ভাল কোন পরামর্শ দেন তাহলে আপনাকে তারা শিবির, রাজাকার, পাকিস্থান প্রেমিক ইত্যাদি উপাধি দান করে। যদিও এদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। যেমন: ‘ বাংলা৭১’ ‘ কমনসেস’ প্রমূখ।
৯.যারা ইসলামী দল ও ইসলামী দলের বিভিন্ন নেতাদের কটাক্ষ করে মিথ্যা, বানোয়াট ও আজগুবি গল্প লিখতে ও তা পোস্ট করে খুব আনন্দ পায়। পারলে তাদেরকে এখনই ফাসি দিয়ে দেয়।
১০. স্বদেশী সংস্কৃতি নয়, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সংস্কৃতিই যাদের কাছে বড় এবং যাদেরকে প্রায়ই সে দেশের সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যায়।
সম্মানিত পাঠক, একটা চির সত্য কথা হচ্ছে যে, কোন খারাপ বিষয় থেকে যদি আপনি বাচতে চান, নিজের আত্মা ও মননকে পবিত্র রাখতে চান তাহলে সবার আগে তার পরিচয় আপনাকে ভাল করে জানতে হবে। না হলে সাময়িক ভাবে তাদের খপ্পর থেকে বাচতে পারলেও স্থায়ীভাবে সম্ভব নয়। তাই আসুন এই ‘ কাউয়া’দের নিদর্শন
সম্পর্কে অবগত হই, সমাজ জীবনকে পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার চেষ্টা করি। অসমাপ্ত।