জয় পরাজয় মানুষের জীবনেরই অংশ। তবে জয়ের আনন্দই আলাদা। নিউজিল্যান্ডের সাথে বাংলার ছেলেদের বিজয়টা সব সময়ই আনন্দের। বাংলাওয়াশের স্মৃতিটা মনে করিয়ে দেয়।
তবে বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষই দেশকে জেতায় তার পরও আমরা নিজেদের বিজয়ী ভাবতে পারি না ।
বাংলার কৃষকরা বন্যা, খরাকে অতিক্রম করে ফসল ফলায়। তারা বিজয় অর্জন করে দেশের জন্য।
বাংলার শ্রমিকরা নিজেদের রক্ত দিয়ে উপার্জন করে বৈদেশিক মুদ্রা। বিদেশের কর্মরত হাজারো মানুষ দেশকে সমৃদ্ধ করে প্রতিদিন। ব্যবসায়ীরা কম বেশি অবদান রাখে দেশের অর্থনীতি নির্মানে। কিন্তু কাদের কারণে যেন দেশটি পিছিয়ে যায় তারপরও।
বিরাজনীতি বা রাজনীতির পক্ষে বা বিপক্ষে থাকাটা রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তারপরও একথা শতভাগ সত্য না হলেও শতভাগ মানুষ বিশ্বাস করে দেশকে পরাজিত করার পিছনে রাজনীতিবিদদের দায়টাই বেশি। বর্তমানে অবশ্য তথ্য আইনে এমন কথা বলা ঝুকিপূর্ণ। কারণ রাজনীতিকরা মনে করে দেশটা কেবল মাত্র তাদেরই এবং ভাল মন্দ বলার অধিকার তাদেরই।
বিগত সময়ে একজন এমপি আমাদের তার নতুন গাড়ীটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন- গাড়ীটি কেমন হলো- আমি বেরসিকভাবে উত্তর দিয়েছিলেম- করমুক্ত গাড়ী- যত বর্ণিলই হোকনা কেন আমি তা পছন্দ করি না। হাসতে হাসতে সেই এমপি বলেছিলেন- কেন সহ্য হয় না বুঝি। আমি খুব বিনয়ের সাথে বলেছিলাম- ব্যক্তিগতভাবে আমি যে পরিমাণ টাকা ট্যাক্স দেই আপনিতো সেটাও দেন না- আবার শুল্কমুক্ত গাড়ীর সুবিধাটি আপনার জন্যই প্রযোজ্য। যার ট্যাক্স দেওয়ার টাকা থাকে না- তার গাড়ী কেনার টাকা আসে কোথা থেকে সেটাও জানা দরকার।
সে প্রসঙ্গ যাক। আজ নিউজিল্যান্ড এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিতেছে- কিন্তু এই বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না- কারণ দুই রাজনীতিক জোটের মেধাহীন কূটতর্ক পুরো দেশকে বার বার লজ্জিত করছে। নিজেরাই লজ্জা পাচ্ছি এই ভেবে যে এদের কারো কাছেই আমাদের ভবিষ্যত আবার জমা রাখতে হবে (আবার তারা তালুক পেয়ে যাবেন।) সেক্ষেত্রে এই বিজয়ের আনন্দটি আড়াল হয়ে যায়- ভবিষ্যত অনিশ্ছয়তার আশংকায়। আমাদের মতো মধ্যস্তরের সাধারণ মানুষ যেটা বোঝেন- এত মেধাবী রাজনীতিকরা এটা বুঝবেন না তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪