১৮ দল ৭২ ঘন্টার হরতাল দিয়েছে। এই হরতাল দেওয়ার বিষয়টি আসলেই যথেষ্ট কম। আওয়ামী লীগের তুলনায় এই হরতাল যথেস্ট অপ্রতুল। আওয়ামী লীগ একা যত হরতাল দিল ১৮ দল মিলেও তত হরতালের আশে পাশে যেতে পারলো না কেন এটা দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের পতন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক হরতাল দেওয়া উচিত ছিল বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোটের। আওয়ামী লীগ লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরেছে- বিএনপি দা বল্লম দিয়ে একটাও মারতে পারলো না? এটা ঠিক নয়। দল হিসাবে এটা বিএনপির ব্যর্থতা।
দুএকজন আগুনে পুরে মারা গেছে বা বোমের আঘাতে ঝলসে গেছে সেটাও বিএনপি করে নাই করেছে জামাত। তাহলে বিএনপি কি করলো_?
হরতালে বোমাবাজি নিয়ে নাকি সাজানো নাটক হয়। সাংবাদিক ডেকে বোমা ফাটিয়ে ছবি তুলে হাওয়া।
এই হাওয়া হাওয়া খেলার জন্য বিএনপি নাকি। ছি: ১৮ দল ক্ষমতায় যেতে পারবে না যদি এই হাওয়া হাওয়া খেলে। তাদের আরো সক্রিয় খেলা খেলতে হবে।
সারা দেশকে বানাতে হবে রণাঙ্গন,
প্রতিটি দিনকেই বানাতে হবে ২১ আগষ্ট।
প্রতিটি লাশের নাম হবে মনির।
প্রতিটি বোমার নাম হবে হেফাজত।
রাস্তার সব গাছ কেটে ফেলা হবে।
মসজিদ মন্দির তালা লাগাতে হবে। আল্লাহ বলেছেন সব যায়গায় নামাজ হয়। এমনকি জুতো পায়েও নামা জ হয়।
অতএব জেহাদ।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার মতো- রাষ্ট্রক্ষমতা বিএনপি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মতো- রাষ্টীয় ইমাম জামাত
এ পর্থেই সমাধান।
আসুল কোটি কোটি সাওয়াব হাসিল করি। আমরণ হরতাল করি।
হরতালে আমরা বিরানী খাবো না। ইস্ত্রী করা পান্জাবী চাপাবো না।
বিড়িও খাবো না-- সঙ্গমও করবো না।
মহিলা সদস্যদের হাতে বাদামও খাবো না।
নাইটিঙ্গেল বারেও যাবো না
সর্বাত্মক হরতাল। যাবজ্জীবন হরতাল। আমৃত্যু হরতাল।
লেখাপড়ার দরকার নেই। ক্ষমতায় গেলে অটোপ্রমোশন দেবো- ক্যান আওয়ামী লীগ দেয় নাই? আমরা দিলে অসুবিধা কি?
ব্যবসা বানিজ্যে অসুবিধা নাই- কন্ট্রাক্ট দিয়ে পুষিয়ে দেবো- ক্যান কাদের সিদ্দিকীরে দেই নাই- মনে নাই সে কথা?
তাই
সর্বাত্মক হরতাল। যাবজ্জীবন হরতাল। আমৃত্যু হরতাল।
পাবলিক জনগণ তাদের মলমূত্র ত্যাগের মতো আমাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য এটুকু আত্মত্যাগ করবেই সন্দেহ নাই।