আকাশের ওই নীল নীলিমায় কি যেন সে আকিবুকি
ঘাষফড়িং এর সবুজ ডানায় কি সে নান্দনীয় এক দ্যুতি।
গেয়ে যাই গান আপন মনেতে নিরাধারে নিরালায়
ঘাষফুল গুলো কাঁপে যেথা তিরতির করে সলাজ কলিকায়
কাশবন যেথা ফেলেছে ছায়া নিবিড়ের আঙিনায়,
মহুয়ার বন নাড়িছে মাথা স্বপ্নিল মহিমায়।
যেথা গোধুলী মিশেছে গ্রাসী, নিঃসীম নীলিমায়
রামধনু যেথা বর্ণ হারায় বিধাতার তুলিকায়,
যেথা পল্লব-কূষণে সিক্ত জীর্ণতা প্রাণ ফিরে পায়-
ফাল্গুনী প্রাভাতের অমিয় স্নিগ্ধ সুধায়।
জোনাকিরা যেথা থোকায় থোকায় ছন্দ সাজায়,
মন উড়ে যায় তৃষিত হয়ে এমনি কোন এক বালুকাবেলায়-
যেথা গোধুলী শ্রান্তি বিলায়, ভুলিয়ে ব্যাথা পরশে- বীথিকায়
যেথা নীল আকাশের বুকে একটি নিঃসঙ্গ শঙ্খচিল-
উড়ে চলে ডানা মেলে নীড়ের বাসনায়।
রাতের আধারে একফালি চাঁদ স্নেহের পরশ বুলায়-
পরম আদরে মমতায়।
অবচেতন মনের একটু অমনোযোগ, এক টুকরো কল্পনা-
হয়তো এতটুকু ভুল, একটু মায়া-ভ্রম বাকিটা ছলনা
একটু অমিল, কিংবা অভিমান, আশা আর যাতনা,
যাব আমি সেথায় উড়ে-
নিকেশটা যাই হোক, দেনা আর পাওনা।
ভেঙে বেড়াজাল, লৌহ-শেকল, তিরষ্কারের আঙিনা।
হয়তো সশরীরে নয়, ছায়ান্যায় কোন অশরীরীর বেশে হয়তোবা
কিবা আসে যায়, যদি পিছু নেয় বৈরী মোহের বাসনা,
যাবই আমি, ভাসিয়ে তরী নিরাশার অজানায়
হোক না সে তা, সিক্ত মনে ব্যাথার রোদনে জনম মোহনায়-
রাঙিয়ে হেরি মম ললাট তব বিষাদ নীলিমায়।
পৌঁছব সেথা আপন ব্যাণ্জনায়, কোন মাহেণ্দ্র ক্ষনিকায়
রইলাম নাহয় বিনীদ্র রজণী নিভৃতে নিরালায় অস্ফুট প্রতীক্ষায়.....