যখন ক্লান্তি নামে ঘুমহীন দুচোখের পাতায়-
ঝাপসা হয়ে আসে স্মৃতির মায়াজাল,
কি যেন এক আবেশ গ্রাস করে নেয় চেতনার সমগ্র দৃঢ়তা;
ঘিরে আসে এক নিঃস্বীম শূন্যতা /
যেন বিশালদেহী কোন বৈ্রী দানোর বাহুডোরে-
আটকা পরে যাওয়ার অসহায়তা
নেমে আসে আঁধার, যেন অযাচিত দূর্বার কোন শক্তির বোনা কুটচাল /
নিবিড়ের মহিমার সে মায়াজালে
আটকে পড়া সত্তা যেন হয়ে যায় মূক ,
ডুক্রে কাঁদে, মাথা ঠুকে ঠুকে, আত্মবিষ্মরণে-
কেননা মস্তিস্কের মেমব্রেনে ছায়া ফেলা গুমোট অনুভূতিগুলো
যে তখন নিস্প্রাণ-অসহায় /
তবু থেকে যায় কিছু অস্পষ্ট জলকণারূপী স্মৃতিকনা,
সুপ্ত-মগ্ন করূণ ধোঁয়াটে, কিছু আবছা স্মৃতি মদিরতা /
যেন ভেসে উঠতে চায় আধো আলো আধো আঁধারে
জেগে থাকা মানষপটের কল্পলোকে /
যেন জাগতে চায়, জানিয়ে যেতে চায়,
এক ঝলকে হারানো দিনের কোন কল্পনা
হারানো শ্রাবণ মেঘের দিনের অদেখা কিছু জল্পনা,
কিংবা মন মহুয়ার রূপালী পর্দায়-
মেলে দেয়া কল্প-সারসের গোলাপী ডানা /
স্বপ্ন বিহারী মনের অবচেতন কিছু সুখানুভূতি,
আশা-নিরাশার দোলাচলে কাঁপা কাঁপা পুলকিত কি এক দ্যূতি /
মন অলিন্দে বাস করা একাকী নির্ভার কোন এক স্বপ্নিল শঙ্খচিল
তারপর একসময় ব্যাস্ততার সাথে নেশা করতে করতে
মনে হবে যেন ঘুম পাড়ানি গান শুনি-
নিত্যকার শব্দ বিস্বাদ হবে নোনা ধরবে চাকচিক্যের দেয়ালে;
প্রত্যহ গুমোট হয়ে থাকা কান্নার বরফ
অবশেষে গলবে যখনি-
বৃষ্টি এসে তখন দাঁড়াবে পাশে;
যেন নিস্তার, যেন শান্তি, যেন কোন আকুলতা;
একাকীত্বের শুকনো নদীতে ভাসবে নস্টালজিয়ার কাদাপানি /
তৃষ্ণার্ত কাক, ঊষর ভূমি থাকবে আগ্রহে মূখিয়ে
কখন বর্ষনে ভাসবে আকাশ সরণী......
একাকি পথিকের ক্লান্তিমাখা মুখে বুলাবে মমতার পরশখানি,
নির্জন রাতের শূন্যতায় কিংবা ভরা জোছনায় সিক্ত পরশমণি /
সবই যে নিঠুর মায়াহীন আর মর্মে পীড়া দেয়া অশনি
দিয়ে চলে কম্পন,
শিরায় শিরায় বইয়ে যায় শুভ্র-কমল ঢাকা এক স্ফুলিঙ্গ ধ্ধনি /
খোলে নব দুয়ার , চাওয়া আর পাওয়ার
নিকেশ যেথায় নিষ্কম্প; ছায়া ন্যায় কোন বৃত্তগামী /
সবই যেন অর্থহীন কোন অলিক কল্পনার হর্ষধ্ধনি //