ইতিহাস
১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সাপ্তাহিক বিচিত্রার পাতায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করে টোকাই চরিত্রটি। বাংলাদেশে 'টোকাই'ই প্রথম কার্টুন চরিত্র। রনবী এরকম একটি কার্টুন চরিত্র তৈরির কথা প্রথম কল্পনা করেন ষাটের দশকে। যুক্তরাষ্ট্রের কার্টুনিস্ট সুল্জ-এর 'চার্লি ব্রাউন' চরিত্রটি দেখে অনুপ্রাণিত হোন তিনি। আর স্বপ্ন দেখেন এমন একটি চরিত্র তৈরি করবেন, যার মুখে তুলে দেবেন চট-জলদি মন্তব্য, অপ্রিয় সত্য, অথবা তীব্র আর গতানুগতিকতার বাইরের কোনো আলাদা পর্যবেক্ষণ। আর এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম টোকাই চরিত্রটির, যে এক পথশিশু, 'চার্লি ব্রাউন' থেকে অনেকখানি আলাদা।
চরিত্র
টোকাই চরিত্রটি একটি পথশিশু, যার বয়স দশ বছরের কম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার উর্ধাঙ্গ অনাবৃত থাকে আর নিম্নাঙ্গ ঢাকা থাকে লুঙ্গি দিয়ে। তার বাসস্থান আস্তাকুঁড়ের কাছাকাছি, কিংবা ফুটপাতে, কিংবা পতিত বড় পাইপের ভিতরে।
প্রতীকতা
রনবি'র টোকাই চরিত্রটি বাস্তবের এমন কিছু পথশিশুর প্রতিনিধিত্ব করে, যারা, মানুষের ফেলে দেয়া আবর্জনা, কুড়িয়ে নিয়ে যায বা টুকিয়ে নিয়ে যায়। বাস্তবের সেসব পথশিশুকে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে টোকাই'র বাসস্থান হলো আস্তাকুঁড়ে বা ডাস্টবিনের কাছাকাছি, ফুটপাত, কিংবা পতিত বড় পাইপ, যা তার বাস্তুহীনতাকে প্রতীকায়িত করে। তার পোষাক বলতে একমাত্র লুঙ্গি, যা তার দারিদ্রকে প্রতীকায়িত করে।
অন্য অর্থে টোকাই প্রতীকতাবর্জিত একটি চরিত্র, যে প্রায় বাস্তবই তুলে ধরে। এঅর্থে টোকাই চরিত্রে প্রতীকতা খোঁজার অবকাশ নেই।
সূত্র:উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮