somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্ত জলিল কে নিয়ে আর কত তামাশা করলে আমাদের মন শান্তি পাবে!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক 'ইউ পোম গানা' নিয়ে কলেজ থেকে শুরু করে বুয়েট, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবুঝ ও অতিআগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ সমাজ, বিডি নিউজ.কম এর মত মিডিয়া, মুন্নি সাহার মত মিডিয়াকর্মী আরও ইত্যাদি ইত্যাদি (সামুর কিছু ব্লগার ও কম যাননা) আমরা আর কত অনন্ত জলিলকে পচাঁবো, তামাশা করবো!!

সমস্যা- সম্ভাবনা মিলিয়েই মানুষ। অনন্ত এর কথা বলাতে এবং উচ্চারণে সমস্যা আছে আমরা জানি, উনি নিজেও স্বীকার করছেন। আর তার এ দূবর্লতাকে আমরা তামাশার উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমাদের আধুনিক তরুণ সমাজের পিসি জুড়ে রয়েছে ইংলিশ,হিন্দী আর তামিল মুভি। আড্ডায় ৪- ৫ টা ইংলিশ বা হিন্দী মুভির নাম না বলতে পারলে ক্ষেত উপাধি পেতে হয়, নিজেকে বন্ধুদের কাছে বেমানান লাগে!

বাংলা সিনেমার উন্নয়নে কিছুটা হলেও কাজ করছেন অনন্ত এবং দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছেন।
আমরা নিজেরাতো কিছু পারছিনা, উল্টো তার দোষ ধরতে সদা ব্যাকুল। আর তাকে নিয়ে মিডিয়া যে দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছে তা দেখে হতাশ হতে হয়, অনন্ত আর হতাশ হবে কি!


শ্রদ্ধেয় আনিসুল হক উনার ফেসবুক এ লিখেছেন..

আমি অনন্ত জলিল ও বর্ষার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। শুনেছি, তাঁরা পিজাহাটে গিয়েছিলেন। তাদেরকে ‘পম গানা’ জাতীয় সংলাপ শুনতে হয়েছে। বর্ষা রেগে গিয়ে প্লেট ছুড়ে মেরেছেন। তারপর অনন্ত ‘স্যরি’ বলে না খেয়েই উঠে চলে গেছেন বর্ষাকে নিয়ে। আর উত্যক্তকারীরা তাকে গালিগালাজ করতে করতে ধাওয়া করেছেন। এটা আমি ফেইসবুকের বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি নিজে দেখিনি। কাজেই ঘটনা একটু এদিক ওদিক হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন আমি অনন্ত ও বর্ষার কাছে ক্ষমা চাইছি। কেউ কোনো রেস্টুরেন্টে বউ নিয়ে গেলো, আর আমি তাকে টিজ করলাম, এটা কোনো ভদ্রতার মধ্যেই পড়ে না।
এই অভদ্রতার দায়িত্ব অবশ্য আমার না নিলেও চলত। পাবলিক ফিগার হলে নানা ধরনের ঝক্কি পোহাতে হয়। এবং গণমাধ্যম তাদের পেছনে লাগতে পারে। সত্যি কথা বলতে কি, ডায়ানাকে পাপারাজ্জিরাই খুন করেছে।
আমি অনন্তর কোনো ছবিই দেখিনি। কিন্তু আমার দুর্ভাবনার বিষয়টা হলো, আমরা গণমাধ্যমেও তার সঙ্গে সেই রকম আচরণ করছি, যেমনটা একজন ইভ টিজার বা অ্যাডাম টিজার করে। আমাদের পত্রিকায় যখন অনন্তর সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা হলো ফান ম্যাগাজিনে, আমি বার বার করে বিভাগীয় সম্পাদক তথা সাক্ষাৎকারগ্রহীতাকে বলে দিয়েছি, ওকে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবে না। যেন আমরা আমাদের অতিথিকে অপমান না করি।
অনন্তর উচ্চারণ ভালো না, যতটা দেখলাম। তবে ইংরেজিভাষীরা ‘ঘানা’ বলতে পারে না, ‘গানা’ই বলবে, যেমন ওরা ঢাকাকে ‘ডাকা’ই বলবে, আপনি যতই বানান বদলান না কেন। ওরা গোস্ট বলে, ঘোস্ট নয়। এর বাইরেও অনন্তর উচ্চারণে এবং বাক্য গঠনে সমস্যা আছে। কিন্তু আমাদের অনেকেরই কি উচ্চারণ খারাপ নয়? আমার নিজের উচ্চারণ খুবই ত্রুটিযুক্ত। আমার সবচেয়ে প্রিয় রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের উচ্চারণে খুবই সমস্যা ছিল। এই রকম এক হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যাবে।
অনন্তর কাজ খারাপ হলে তাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না, তা বলছি না। চলচ্চিত্র এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে দর্শকেরা কথা বলবেনই। কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অপমান করার চেষ্টা করা কি ঠিক?
মানুষকে অপমান করে আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা কি না করলেই নয়? আমরা যেন যে যা করছে, তার ভালোত্বটুকুনকে সম্মান করতে, এপ্রিশিয়েট করতে শিখি। অনন্ত নিশ্চয়ই এমন কিছু করেছেন, যাতে তিনি সবার মনোযোগের কেন্দ্রে আসতে পেরেছেন। আর তার ছবির ক্লিপিংস যতটুকু সাক্ষাৎকারের ফাঁকে দেখেছি, তাতে মনে হচ্ছে, তাঁর ছবিগুলোতে যতেœর ছাপ আছে।
আমি বলি কী, আমরা যেমন, আমাদের নায়কও তেমনি হবেন। কাউকে যখন আমরা আঙুল তুলে কথা বলি, মনে রাখি যেন, একটা আঙুল, তর্জনী, তার দিকে উত্থিত হয়, ৩ টা আঙুল নিজের দিকেই তাক করা হয়ে থাকে।
মানুষকে আনন্দ দেওয়া মহত্তম কাজ। একটা মানুষ আমাদেরকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, আমরা তার ভালো দিকটাকে দেখব না?
একটা উদাহরণ কি দেব? আপনারা তো বলবেন, এই লোকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কিসের সঙ্গে কী মেলাচ্ছে? তবু বলি। রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত রচনা থেকে কলকাতার বোর্ডের পরীক্ষায় একটা অনুচ্ছেদ হুবহু তুলে দিয়ে বলা হয়েছিল, এই অনুচ্ছেদের ভুলগুলো সংশোধন করো। একটা মানুষকে কতভাবে অপমান করা যায়, তার সবই রবীন্দ্রনাথকে সইতে হয়েছিল। আর অনন্ত তো কোন ছার। আমরা রবীন্দ্রনাথকেই আঘাতের পর আঘাত হেনে ক্ষত-বিক্ষত করেছি।
আমি শুধু বলি, মানুষকে অপমান না করলেই কি নয়! একটা লোকের বেড়ানোর আনন্দ, বাইরে স্ত্রীকে নিয়ে খেতে যাওয়ার আনন্দ মাটি করে দিয়ে কি আনন্দ পাওয়া যায়?
জীবনানন্দ দাশ অবশ্য অনেক আগেই দুঃখ করে বলেছিলেন, অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই।
একজনের মুখে হাসি ফুটিয়েও কি আমরা আনন্দ পেতে পারি না?এখানে

আশা করছি অন্তত উনার লেখাটি পড়ে কিছুটা হলেও মন বড় করবেন!! সমালোচনা করতে গিয়ে মানুষকে অনুৎসাহিত করবেননা। আসুন আমরা ভালো কাজে উৎসাহ দেই, বাংলা সিনেমা নিয়ে ভাবি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×