নাতি: নানাজোই, ও নানা-
নানা: কিগোনে হাঁকরাছিস? কি কোহবি ভকাইত কোর্যা কহা।
নাতি: হাঁজি নানা; হাঁরঘে দ্যাশ স্বাধীন করা কয় বছর হ্যোলো?
নানা: এট্যা জানার লাগ্যা তোর ধড়ফড়ানি কেনে। তুইকি কুনঠি বক্তিম্যা দিবি নাকি?
নাতি: নাজি নানা এমনি কোহছি।
নানা: তা ধর কমবেশী চল্লিশ বছর হ্যোলো।
নাতি: হাঁজি নানা-চল্লিশ বছর আগে কি কি স্বাধীন হ্যোয়াছিল?
নানা: দ্যাখোতো খ্যাপাগালার মতন কথা। গোটা দ্যাশ স্বাধীন হোয়্যাছিলো।
নাতি : হাঁর মোনে হ্যোছে, হাঁরঘে দ্যাশের খালি মাটি খানটা স্বাধীন হোয়্যাছিলো।
নানা: ফের খ্যাপার মতন কথা।
নাতি: শুনো নানা। হামি বড় নানার কাছে শূন্যাছি যে, লদ্দির সোঁতের মতন লহু বোহ্যা বেলে দ্যাশ স্বাধীন হোয়্যাছিলো।
নানা: ঠিকই শুন্যাছিস।
নাতি: ত্যাহলে কহো। দ্যাশের যে ব্যাপার স্যাপার চলছে, তাতে মনে হ্যোছে সব কিছু আল্হাদা আল্হাদাভাবে স্বাধীন হোয়্যাছে।
নানা: তোর মনে ফের এট্যা কেনে হ্যোলে বে?
নাতি: স্বাধীন মানেতো মুক্ত, তাই লইজি নানা?
নানা: হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধ কোর্যা হামরা স্বাধীন হোয়্যাছি।
নাতি: ত্যাহলে কহো দ্যাশ স্বাধীনের মতন স্বাধীনভাবে সব জাগাতে মুক্ত কায় কারবার চলছে।
নানা: কেনে বে, একটু খুল্যা কহাতো?
নাতি: দ্যাশ স্বাধীন হওয়া ৪০ বছর পার হোয়্যাছে। এখনও হাঁরঘে অভাব অনটন ঘুচেনি। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তি আস্যাছে কি? তুমিই কহো।
নানা: তাইতো রে ভাই।
নাতি: তখন বেলে দূর দ্যাশ থাক্যা হাঁরাকে শাসন শোষণ কোরতোক। এখনতো স্বাধীন দ্যাশ। ত্যাহলে শাসন শোষণ কি কোম্যাছে। যখন যে মতায় আসছে তারাই হাঁরাকে যাঁতাকলে পিসছে।
নানা: তোর মাথার ভিতর এগল্যা ফের কে ঢুঁকাইলো বে?
নাতি: কেহ ঢুঁকাইনি। দ্যাখো নানা, সব জাগাতে ঘুষ দুর্নীতি বাঢ়্যাগেছে। মুখে সভারই বড় বড় বুলি কিন্তু য্যামনকার ত্যামনই।
নানা: তুই যে খুব রাজনীতিবিদ হোয়্যা গেছিসবে?
নাতি: ওইসব বিদ-ফিদ হামি লই। চোখে যা দেখছি তাই কহছি। এখন তুমি কহো- দ্যাশ স্বাধীন কোর্যা কি পায়্যাছো? খানিক মাটি আর লাল সবুজ পতাকা ছাড়া আর...?
নানা: তা হাঁরে ভাই, হাঁরাতো গরীব মানুষ, হাঁরা কি করবো কহা।
নাতি: কি আর কোরব্যা, বছর বছর স্বাধীনতা দিবস আসবে। বড় বড় ভাষণ শুনব্যা আর বাড়ী চোল্যা আইসব্যা। যুতি হুস বুদ্ধি না হয়- তেবে তখনও যেমন গুঁতকন খায়্যাছো, এখনও খ্যাতেই থ্যাকব্যা।
লিখেছেন-চাঁপাই গম্ভীরা দলের নানা মাহবুবুল আলম। (চাঁপাইনবাবগন্জ নিউজ)