somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেলিং ( পর্ব- ১ ঃ পরিচিতি ও বর্তমান অবস্থা )

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমাদের দেশে সবচেয়ে সমস্যা গুলোর একটা আবর্জনার অব্যবস্থাপনা। রাস্তার পাশে, বাড়ির সামনে, পুকুরের ধাঁরে সব জায়গায় আমরা শুধু দেখি আবর্জনা আর আবর্জনা। কিছু কিছু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তো নাক ধরে যেতে হয়। আর ধরুন ঠিক ডাস্টবিন এর সামনে পরা অবস্থায় জ্যামটা পড়লো তাহলে আর কথাই নাই। বুঝেন ঠ্যালা।
এই আবর্জনা আমাদের নগর জীবনের দুর্ভোগের একটি অন্যতম কারন। রাজধানী ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখন প্রায় অচল, বুড়িগঙ্গা এখন এক বিষাক্ত কালো নদী। দেশের সবগুলো ব্যস্ত শহর ওর তার পাশে বয়ে চলা নদীর আজ এক ভয়াবহ অবস্থা। এর থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই প্রয়োজন। আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেলিং-ই এই সমস্যার সমাধান

আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ঃ





আবর্জনা ব্যবস্থাপনা বলতে এমন এক সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে বুঝায় যার আধারে আবর্জনাকে গ্রহণ, স্থানান্তর করা হয় এবং আবর্জনার ব্যবহারযোগ্য উপাদানগুলো পৃথক করা হয় ।

রিজাইকেলিং ঃ



আবর্জনার উপাদানকে ব্যবহারযোগ্য করার পদ্ধতিই হল রিসাইকেলিং।
আবর্জনা আমাদের কাছে অব্যবহারযোগ্য কিছু। এটাই স্বাভাবিক। কারন আমরা ময়লার ডাব্বায় এগুলো ফালাই এ জন্যই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বের করেছে আবর্জনা আসলে অব্যবহারযোগ্য না। ৯৫ ভাগের বেশি উপাদান আমরা পুনরায় ব্যবহার করতে পারি। হোক সেটা কালিভরা কাগজ, বউয়ের সাথে ঝগড়া করে ভাঙ্গা প্লেট বা বদহজমের পরিনামে আসা মল।

আমাদের দেশের আবর্জনার প্রায় ৬২ ভাগ আমাদের গৃহস্থলের তরিতরকারি-খাবারের অতিরিক্ত অংশ ইত্যাদি, কাগজ ও কাগজজাত সামগ্রি ৯ ভাগ , প্লাস্টিক পদার্থ ২০ ভাগ, ধাতব পদার্থ ৩ ভাগ, কাচ ও সিরামিক ০.২৫ ভাগ, কাচ ১ ভাগ ও অন্যান্য প্রায় ৪ ভাগ।
আবর্জনার প্রায় ৫৫ ভাগই তরল। তরল উপাদান গন্ধ বেশি ছরায় তাই এগুলো দ্রুত জনবহুল জায়গা থেকে নিরসন না করলে অনেক সমস্যা হয়, যা আমরা রোজই টের পাই।


আমরা আবর্জনার কিছু সমস্যাগুলোর কারনে খুব বিরক্ত। ব্যতিক্রমধর্মীভাবে তার কিছু তুলে ধরা হল হল ঃ
জনগণের ক্ষেত্রে,



১) আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন সচেতনতা নেই। আলসেমির কারনে আমরা জানলা নিয়েও ময়লা ফালাই।

২) আমাদের বাসার পাশে কোন পুকুর বা ছোট জলাশয় থাকলে আমরা ক্রমেই তাঁকে ডোবায় পরিণত করি। এক ঋণাত্মক উদ্ভাবন বটে।

৩) পার্কে, পাবলিক প্লেসে যখন হাতে বাদাম থাকে তখন খোসা পায়ের নিচেই ফালাই। ঐ স্থানে ডাস্টবিন থাকুক বা না থাকুক। মাঝে মাঝে মনে হয় সিমেন্টের পেঙ্গুইনে কেন যে “আমাকে ব্যবহার করুন” লেখা থাকে আমরা জানিই না।
ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে,

৪) তাদের ধারনা ডাস্টবিন জনবহুল স্থানে রাখলে হয়তো ভাল। জনগন দুর্গন্ধ গ্রহণ করবে, রোগবালাই বাড়বে। আয়ু কমবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে থাকবে। চরম থিয়রি।

৫) ব্যবস্থাপনার ধারনা বাসা থেকে রোজ রোজ আবর্জনা নেয়ার কি দরকার। তাদের তো ঠ্যাকা পরে নাই। যার ঘর পরিস্কার রাখার নিজের উদ্যোগে নিয়ে আসুক ।



৬) কারখানার মালিকদের ধারনা হয়তো তাদের মিলস থেকে আসা বর্জ্য হয়তো নদীর মাছ সুস্বাদু খাবার মনে করে খেয়ে ফেলবে। অথবা জলাশয়গুলো অনেক আরও বিশুদ্ধ হবে। রঙ্গিন করতে চায় তারা আমাদের নদীগুলোকে। “এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি,কালো নদীর পানির যেদেশ- আমার জন্মভুমি” এমন ধারনা থাকলেই মনে হয় তারা এমন করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×