somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসা দিবস এবং

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"ভ্যালেন্টাইন্স ডে" এই শব্দটা নিয়া পরথম কৌতুহল হইছিলো ২০০১ সালে, তখন কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ছিলাম। প্রতিদিনকার মতন ইউনিফর্ম পইরা ক্লাশে গেছি। যাইয়া দেখি কেমুন যেনো একটা উতসব উতসব ব্যাপার। অনেকের হাতেই লাল গোলাপ। কি হয়তাছে কিছুই বুঝতাছিনা আবার কাউরে জিগাইতেও পারতাছিনা। তো একজনরে একটু জিগাইলাম,আজকা কি? সবাই এমুন গুলাপ লইয়া ঘুরতাছে ক্যান। হে কয়, ঐ ব্যাডা আজকা ব্যালেন্স ডাই ডে। এইডাও জানস না। আমিও ভাব ধইরা কইলাম, ওহ ভুইলাই গেছিলাম। হ আজকা তো...... ( আমি তখনো ক্লিয়ার না শব্দটা নিয়া)। পরে চিন্তা কইরা আবিষ্কার করলাম আমার দোস্ত ইংলিশে একটু দূর্বল। দোস্ত বোধহয় ব্যালেন্স ডাইট কয়তে চাইছিলো। আমি তখন শিউর যে ১৪ই ফেব্রুয়ারী হচ্ছে ব্যালেন্স ডাইট ডে, হয়তো সুষম খাওয়া টাওয়া দিবস জাতীয় কিছু একটা...কিন্তু সুষম খাওয়ার সাথে গোলাপ ফুলের কি সম্পর্ক তা বুইঝা উঠতে পারছিলামনা। আর কাউরে জিগায় নাই। আমিও ভাব ধইরা থাকলাম যে আমিও সব বুঝি। কিন্তু শব্দটার উচ্চারন করতামনা। আমার এখন মনে হচ্ছে তখন আমার বন্ধুবান্ধব কেউই জানতোনা। সবাই আমার মত ভাব ধইরা ফাপর মারতো। যাই হোক, এখন সঠিক শব্দ, উচ্চারন, ইতিহাস সবই জানি। দিবসটা যেনো সার্বজনীন হয়ে উঠে এই প্রত্যাশাই...... সবাইকে শুভেচ্ছা...... :)


আসলে যেটার জন্য অনেকদিন পর ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগে বসলাম। গত ১২ই ফেব্রুয়ারী প্রজন্ম চত্বর থেকে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর ঘোষনা আসে। ওইদিন আমি সহ বেশ কয়েকজন বিসিএস ক্যাডার রা অফিশিয়াল ট্রেনিং এর জন্য ঢাকে থেকে বেশ দূরে গিয়েছিলাম। কাজ শেষ করতে করতে সাড়ে তিনটা বেজে যায়। তারপর শুরু হয় দুপুরের খাওয়া। ঐ ট্রেনিং এ তিনজন যুগ্ম সচিব স্যার, একজন ডিসি স্যার ছিলেন। আরো অন্যান্য সরকারী দপ্তরের গুরুত্বপুর্ন কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধি ছিলেন। খাওয়ার এক পর্যায়ে ৪টার একটু আগে আমি দাড়ানোর কর্মসূচীর কথা বলি। মিথ্যা বলবোনা, বলতে একটু ভয়ই পাচ্ছিলাম। কারন অনেক বড় বড় স্যার রা ছিলেন। কিন্তু অবাক হলাম,আমি কর্মসূচীটার কথা বলার সাথেই সাথেই সবাই খুব উত্তেজিত হয়ে পরলো। উহু,ভুল বুইজেননা। সবাই পারলে তখনি দাঁড়িয়ে যায়। তারপর খাওয়ার মাঝেই আমরা সবাই তিন মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×