নারীর প্রতি সহিংসতা ও সকল ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীর পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আওয়াজ উঠানোর আহবান জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় (০৮ জানুয়ারী ২০১৩) শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিক-ব্লগাররা অংশ নেন। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় মানবন্ধনের সারি।
নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও কাধে কাঁধে মিলিয়ে অংশ নেয় কর্মসূচীতে। মানববন্ধনে দাড়ানো নারী, পুরুষ সকলেই ছিলেন নীরব, চেহারায় ছিল সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ছাপ। মানববন্ধন জনসমুদ্রে পরিণত না হলেও, সকলে আহবান জানিয়েছেন অব্যাহত আন্দোলনের। যে আন্দোলনে পরাভূত হবে ভয়াল দানব ও প্রতিষ্ঠিত হবে নারীর অধিকার, মানুষের অধিকার।
মানবন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তারা নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে বলেন, সমাজে নারীদের অংশীদ্বারিত্ব কম নয়। নারী কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রী- তারা এই সমাজেরই অংশ। তাই লালসা চরিতার্থ করার আগে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা উচিত।
স¤প্রতি টাঙ্গাইল জেলায় একজন মেয়েকে গণধর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক নারী চুপ থাকেন, নিজেকে অপরাধী ভেবে বেঁচে নেন আত্মহত্যার পথ। এতে দিনের পর দিন অপরাধের সুযোগ পেয়েছে লম্পটরা। এজন্য নারীকে শক্ত হতে হবে, আওয়াজ উঠাতে হবে।
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাষ্ঠ্রীয়ভাবে এধরনের অপরাধ বন্ধ করতে শক্ত হাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচী পরবর্তী সমাবেশ পরিচালনা করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেরিন চৌধুরী। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস, কর্মসূচীর আহবায়ক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিমা আক্তার হোসেন। এছাড়াও কেমিকেল সায়েন্স এন্ড পলিমার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান আকতারুল ইসলাম, পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রধান জায়েদা শারমিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা, হালিমা আক্তার, মণি পাল, আ.ফ.ম জাকারিয়া ও মঞ্জুরুল হায়দার সুমন ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭