somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা ৬ ষ্ঠ পর্ব B-))

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


B-))
B-))
B-))

ঘটনার সময় আমি পড়ি কেলাস সিক্সে।নয়া নয়া হাই ইসকুলে উঠছি তাই ভাব ও ব্যাপক। B-))
কথা বার্তা, চলাফেরা সব চেন্জ কইরা ফালাইসি।কেউ ২ বার ডাক না দিলে কথা কই না।জুনিয়র পোলাপাইনের লগে আর খেলি ও না।খালি জুনিয়র মাইয়াগো লগে হালকা বাত চিত হয় আর কি ।;)
ভাতেরে কই রাইছ, স্যান্ডেল বাদ দিয়া সু , ইন করা ছাড়া প্যান্ট পড়ি না। ।মাঝে মাঝে বইনের পাওয়ার ছারা চশমা চুরি কইরা লইয়া যাই স্কুলে। কে্উ জিগাইলে কই পাওয়ার ১০,৫ আর হুদাই একটু পর পর শার্ট দিয়া চশমাডা মুছি।আর পোলাপাইন আমার দিকে তাকাইয়া মনে মনে ভাবে আহারে আমার চইখ আল্লাহ যে কেন নস্ট করলো না। লুংগি পড়লেও ইন কইরা পড়ি।পারলে তো পানজাবী ও ইন কইরা পড়ি এমন অবস্থা।যাই হোক আমার একটা প্রিয় প্যান্ট আছিলো সাদা রংয়ের।এমন ও বহুত দিন গেছে যখন ঐ প্যান্ট টা হালকা ভিজা থাকা সত্বেও ঐটারে ইস্তারী কইরা পড়ছি কিন্তু অন্য প্যান্ট পড়ি নাই।এমন কি আম্মার মাইর ও খাইছি।এমন না যে প্যান্ট আর নাই।কিন্তু কেন জানি ঐডাই ভালো লাগতো।তেনা না প্যাচাইয়া কাহিনী তে আসি।একদিন আমার এক মাইয়া বান্ধবি আমারে হের জন্মদিনের দাওয়াত দিলো।দাওয়াত পাইলে যে আমার কেমুন খুশ লাগে আফনেরা তো জানেন ই আমি আম্মারে কইলাম কি গিফট দিমু?
আম্মা কয় একটা পুতুল কিন্না দেই।
আমি কই পুতুলের চুল যেন বাব কাট হয়।
আম্মা কয় কেন?
আমি কইলাম পলির চুল ও তো বব কাট।:P
আমার বইনে চামের উপর কয় ইসকুলে কি পড়তে যাস না মাইয়াগো চুল দেখতে যাস? X((
আমি কইলাম তোর চুল বাচাইতে চাইলে ভাগ।X(
যাক আম্মা আমারে লইয়া গিয়া একটা পুতুল কিনলো।আমার যদিও লাইক হয় নাই ( আমি চাইছিলাম বব কাট আর গালে তিল ওয়ালা, কিন্তু আম্মারে শরমে তিলের কথা কইতে পারি নাই। )
দাওয়াতের সময় আমার আফার কাছে গিয়া কইলাম আফা তোর মেকাপ দিয়া আমারে একটু সাজাইয়া দিবি? ;)
হে কয় কেন? বিয়া করতে যাইতাছো ভাই?
রাগে আইয়া নিজী গালে তিব্বট স্নো আর পাউডার দিয়া হমানে ডল্লাম।মাথায় দিলাম আম্মার গন্ধরাজ কেশ তেল।B-)
আম্মা কয় করছ কি? ভালো তেল দে।
আমি কইলাম অফ যাও, এইডার গেরান ভালা।আমার সাদা প্যান্ট টা পরতে গিয়া দেহি নিচ দিয়া জায়গা বরাবর ছিড়া।:((
বুঝলাম বইনের অভিশাপ লাগছে।কারন একটু আগে হের লেডিস ঘড়ি চুরি কইরা পকেট এ রাখছি।বাইরে গিয়া পরমু বইলা।
আম্মারে গিয়া কইলাম সিলাইয়া দেও।
আম্মা কয় পারুম না।ভালো প্যান্ট পড়,আমি তো রাজি না।
আম্মা মানে না তো মানেই না।
আমার বইনরে কইলাম তুই সিলাইয়া দে।
হেও রাজি না।হে ঘড়ি খোজায় ব্যাস্ত।
কইলাম কালকে তোরে আচার কিন্না দিমু।
বইনে রাজি হইলো।কুনোমতে সিলাইয়া দিলো।হেও ভালা পারেনা।
যাক আমি বগলে গিফট লইয়া যাত্রা করলাম।গিয়া দেখি আমার ক্লাসের অনেক মাইয়া আইছে।আমি ভাবে গিফট আর টেবিল এ রাখি না কারন আমার বান্ধবিরে দেখাইতে হইবো না যে আমি গিফট আনছি ? :P
ও আইলে এমন ভাবে গিফট টা টেবিল এ রাখলাম যেনো আমি একলাই গিফট আনছি।কেক কাটার সময় ঠেইল্লা মাইয়ার লগে খারাইলাম যাতে ছবিতে থাকি।B-)
পারলে মাইয়ার বাপ মারে ঠেলা মারি এমন অবস্থা।যাক কেক কাটা শেষে সবাই বইয়া গেলাম।একটু পরে মিউজিক আরম্ভ হইলে মাইয়াগো লগে নাইচ শুরু করলাম।নাইচ শেষে খাওনের পালা।আমার প্রিয় মুহুর্ত।নগদে বইয়া পরলাম।যেইনা আল্লাহর নাম লইয়া খাওন ইস্টারট দিছি দেহি আমার বিপরিতে বওয়া মাইয়ারা ফিকফিকাইয়া হাসে।আমি কই আগে খাইয়া লই পরে কাহিনি বুঝুম নে।হেগো হাসি দেহি থামেই না।আমি তো মনে মনে কই যাক আমার মাথার কেশতেল, হাতের লেডিস ঘড়ি, পাউডার এর টেকা উসুল।
খাওয়া শেষে আমার বান্ধবিরে জিগাই কি পলি ওরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে কেনো?
মাইয়া কয় তুমি যে কি না? তুমি ছিড়া প্যান্ট পরে আসছো কেন?
আমি হাত জায়গা মতো নিয়া দেখি আমার প্যান্টের বেড়িবাধ খুইল্লা গেসে।তার মানে এতখ্খন সবাই মিল্লা ফিরি তে আমার নান্টু ঘটক রে দেখছে ...নিশ্চয় বেরেক ড্যান্স মারাইতে গিয়ে এই আকামডা হইছে। ভাইবা আমার অবস্থা তখন কেরাসিন।
শরমে কইলাম আমি আসি পলি।পরে দেখা হবে।:((
আর মাইয়ারা কি হাসি।মনে হয় যেন সবগুলির বিয়া লাগছে।বাসায় আইয়া নগদে বইনের পিডে বওয়াইয়া দিলাম ২ কিল।আর যায় কই।বইন ও জান দিয়া আম্মাগো কইয়া দিল গইর আর চিক্কুর ( আব্বা বাসায় আছিলো না নাইলে আব্বাগো কইয়া ও কানতো , আমরে ডাবল মাইর খাওয়ানোর লাইগা) আম্মা দউরাইয়া আইলো।
আমি কইলাম হে কি প্যান্ট সিলাইছে যে ঐখানে গিয়া আমার প্রেস্টিজের খতনা কইরা দিছে ?
আম্মা গেলো গা।
আমি তো কই বাইচ্ছা গেছি।মাইর খামু না।একটু পর একটা লুংগি দিয়া কয় প্যান্ট খুইলা দে।
আমি তো মনে মনে খুশি। মনে করছি সিলাইয়া দিবো ভালো কইরা।আর আমার ফাজিল বইনে অহনো চিক্কুর দিয়া কানতেসে আর কইতাছে ওরে মারলা না কেন ?
ওমা আম্মা দেখি এক হাতে একটা লাইটার লইয়া আইছে। আমার প্যান্টা লইয়া ঠাস কইরা দিলো আগুন লাগাইয়া।আমার মনে হইলো আগুন আমার প্যান্টে না আগুন লাগাইছে আমার বুকে।হা্য়রে আমার এখন কি হবেরে কইয়া মাডিতে কাডা মুরগীর মতো গইর শুরু করলাম।যে আমার বইন এ কানতাছিলো হে চউখের পানি না মুইছাই হাসা শুরু করলো।আর আমার কান্দনে পুরা আকাশ বাতাস ভারী হইয়া গেলো।গাছের পশু পাখির ভাষা আমি বুঝি না বাট আমি শিউর তারাও ঐদিন আমরা দু:খে কানছিলো। :(


আর আমিও বুঝলাম এইভাবেই বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষ গুলা হারাইয়া যায়।

আমার লেখা এই সিরিজের বাকি পর্ব গুলো পড়তে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিন্কে।এগুলো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব কাহিনি । আপনাদের মতামত জানালে খুশী হবো।






১ম পর্ব

২য় পর্ব

৩য় পর্ব

পর্ব ৪

৫ ম পর্ব





সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১০
৫০টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×