somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা ১৩ তম পর্ব B-))

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

B-))
:-B
:P


নবীজি কইছিলেন বিদ্যার্জনের জন্য সুদূর চীনে যাও।
আমি কইলাম খাদক মানুষ ,চাইনিজ গো সাপ ,ব্যাং , কিরমি খাইয়া জীবনের একমাত্র লাইফ টা তেনা তেনা করতে রাজী না।:((
তাই মেলা কিচ্ছা কাহিনি কইরা সাইপ্রাসের ভিসা লইলাম.( আসলে হুনছি ই্উরোপের মাইয়ারা ইসকু বিসকু হ্য়)।:P

যাউক গা আওনের আগে এক পরিচিত বড় ভাই তার ভাইয়ের লাইগা একটা প্যাকেট দিলো।তো আমার ব্যাগের অবস্থা হইলো রবি ঠাকুরের ছোট তরীর লাহান।"খালি নাই আর খালি নাই সব ঠেলেছি ভরে" দশা।তো ঐ প্যাকেট টা ছিড়ে ঢুকাইতে গেছি দেখি ১০০ টা ......( যারা জানতে চান কি ছিলো কমেন্টস বক্সে মেইল আইডি দিয়েন।বেহুদা ব্যান খাইতে রাজী না;))

পুরাই বোকচু....হয়া গেলাম,শিউর জীবনে কাউরে বাশ একটু কম মারছিলাম তাই বাইচা গেলাম ।কেউ দেহনের আগেই ডাস্টবিনে ফালাইয়া আইলাম আর মনে মনে কইলাম যাক কুত্তা সমাজের লাইগা ফিরি জন্ম নিয়নত্রনের ব্যাবস্থা কইরা সাদেক হোসেন বুড়ার কুত্তা নিধনের কিছু টাকা বাচাইয়া দিলাম। B-)) B-))

বিমান বন্দরে আইয়া দেহি আমার বন্ধুরা এতিমের লাহান লাইন বাইন্ধা খাড়ায়া আছে।আর হারামিরা কি কয় হুনেন X(
১ম জন। দোস্তরে একলগে কতো সিংগারা,আলুপুরি,বিরানি খাইছি তুই গেলে গা কেডায় বিল দিবো?:-*

২য় জন । আমার বিড়ির বিল কেডা দিবো?:-/

৩য় জন ; আমার প্রেম পত্র কেডায় লেখবো?
:|
৪র্থ জন একলগে কি করতাম কি কইছিলো, ঐডা কইলে ব্যান খামু।(জানতে চাইলে মেইল আইডি দিয়েন)

যাক হমুনদির বাই গো বিদায় দিয়া আোনের পর ভিতের হান্দাইলাম আর আমার ব্যাগ লইয়া বাধলো কেচাল,আমার মাল :Pমানে ব্যাগ নাকি ১০ মাসের গর্ভবতির মতো হইয়া গেছে।ঐদিকে বিমান ছাড়ার টাইম হয়া গেছে।

তাই ১৭০ ডলার জরিমান দিয়া তাড়াতাড়ি ইমিগ্রেশনে গেলাম।হালার পুতে নাকের ভিতর আংগুল হান্দাইয়া লোম্বা ছিড়ে আর আমার লগে চুদুর বুদুর আলাপ জুইড়া দিলো,আমার নাম ? বাপের নাম? বাড়ি কই? বাপে কি করে? বাড়িত গাই গরু কয়ডা, গাভিন হইছে কিনা? ছাগুরে খাসি করাইছি কিনা? মুরগি আন্ডা পারে কিনা আরো কতো চংবং..X((
.শেষে কয় তোমার বইনের বিয়া হইছে নাকি? হাতে টাইম ও নাই তাই না পাইরা কইলাম ভাই লাভ নাই আমার বইনের বিয়া হয়া গেছে আর আফনের যদি আরো কিছু জানার থাকে অহনি বাইরে যান আমার বাপে খাড়ায়া আছে।আর আমি ....কের ভাইগনা।হালায় নগদে কয় তুমি আগে কইবা না তুমার মামার নাম... যাক আবাল ডারে পার কইরা বিমানের দিকে হাটা দিলাম। /:)


বিমান গাড়িত উইঠা বইছি ।আমার সামনের সিটে বইছে এক চাচা তিনি গ্রীস যাইতাছেন শ্রমিক হিসেবে, আমার লগে আগেই কথা হইছে। ।বিমান ছাড়ার ৩০ মিনিট পরে হে বিমান বালারে হাতের ইশারা কইরা ডাকে
ঐ বেডি..হুনছো গো বেডি ..
বিমান বালা তো দাত ভেটকি মাছের লাহান বাইর কইরা ম্যাজিক টুথ পা্উডারের এড দিতাছে এমুন ভাবে কইলো ,
মে আই হেলপ ইউ? :>
চাচা আমারে কয় বাজান আমারে বেয়াই ডাহে কেরে? B:-)
আমি কইলাম চাচা বেয়াই না ,ছেমড়ি জিগাইতাছে কিছু লাগবো নি?
চাচা আমার না কইয়াই হেরে ফাল পাইরা কয়,
গিভ লেপ ( কম্বল আর ইংরেজি তে লেপ মানে কোল) B:-/
বিমান বালা তো নলা হয়া গেলো B:-)
কয় প্লিজ কাম এগেইন
চাচা কয় লেপ..কম্বল.নো কম্বল?
আমি বিমান বালারে তরজমা কইরা দিলে হেও হাইসা একটা কম্বল আইনা দিলো। B-)

দুবাই বিমান বন্দরে চেকিং কইরা বাইরমু ( আমার দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা ছিলো আগেই) এমুন সময় আরেক বাংগালির লগে দেখা ।হেরে চেকিং এর সময় শো ইউর পাসপোর্ট কইতেই হে পাসপো্র্ট হাতে শুইয়া পড়লো, আমি হেরে টাইনা তুইলা কইলাম করেন কি? হে কয় বাই আমারে যে শুইতে কইলো চেক করবো? আমার ভাইয়ে আমারে কইচে হেরা যা কইবো তাই করতে নাইলে দেশে ফিরত পাঠাইয়া দিতে পারে।আমি জমি জমা বেইচা নকল সার্টিফিকেট দিয়া আইছি।/:)

(আমার চোখে পানি চলে আসলো,সামান্য কটা টাকার জন্য বাংলাদেশের সহজ সরল মানুষ গুলো কি কষ্ট ই না করে, অথচ আমদের রাজনীতিবিদরা এমন অমানুষ না হলে আজ অন্য দেশের মানুষ আমার দেশে কাজ করতো ।)

দুবাই থেকে বিমান উইঠাই আমার মাথা ডা চক্কর মাইরা উঠলো :-< (আমার মতো বাংলা সিনেমা দেইখা যাগো অভ্যাস হেরা মনে মনে কইতাছেন " অই বাইচ্চা অইব..অই..অই..পেপু পেপু.. !:#P !:#P ) হেগোরে কই অফ যান ,মাথা ঘোরান দেওনের কারন অইলো আমার লগের সিটে পরির লাহান এক মাইয়া বওয়া।
আমি তো কই আইজকা ঈদের উপরে শুক্কুরবার।:Pবিমান ছাড়তেই দেহি মাইয়া ড্রিনকস শুরু কইরা দিছে, আমারেও কইছিলো আমি খাই নাই কই আম্মা মাব্বো।/:)আমার মায়ে যদি দেহে ইসকার্ট আর টপস পড়া মাইয়ার লগে বইয়া মাল গিলতাছি আমার পশ্চাদদেশে বেকহামের লাহান ফিরি কিক লইবো।আধা ঘন্টা যাইতে না যাইতেই দেহি মাইয়া টাল অইয়া আমারে বালিশ ভাইবা আমার উপরে ঘুম। |-) কি আর করা পুরাডা রাস্তা চউক্ষের পাতা আর এক করতে পারলাম না।সাইপ্রাস নাইমা দেহি আমার শখের শার্টখান লুলে লুলে লুলান্বিত কইরা ফালাইছে।:((

সবাই ভালো থাকবেন।ইনশাআল্লাহ এপ্রিলে দেশে আসছি।দেখা হয়েও যেতে পারে।;)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৪
৭৪টি মন্তব্য ৭৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×