পেশোয়ার থেকে সামন্য দুরে অবস্হিত কবি বাচা খান ইউনিভার্সিটিতে হত্যাকান্ড চালায়েছে তালেবান জাতীয় সন্ত্রাসীরা, এতে ২১ জন নিহত হয়েছে; আহতদের অনেকই পরে প্রাণ হারাবে।
পাকিস্তানী সেনা বাহিনী সন্ত্রাসের চাষ করে; তারা সন্ত্রাসের চাষের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখে; কে প্রেসিডেন্ট, কে প্রাইম মিনস্টার থাকবে, সেটা সেনা বাহিনী ঠিক করে।
পাকিস্তানী জন সাধারণও চায় যে, সেনা বাহিনী দেশ চালাক; তারা শুধু চায়, তাদের পরিবারের কেহ যেন সেনা বাহিনীতে কমপক্ষে সেপাহী হিসেবে চাকুরী পায়; আর যারা তথাকথিত এলিট, তাদের ছেলেরা অফিসার হয়।
সিন্ধু ব্যতিত, পাকিস্তানের বাকী এলাকার লোকজন যুদ্ধবাজ ও টাউট; এই জাতীকে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলানোর জন্য যে ধরণের সরকার ও প্রশাসন দরকার, পাকিস্তান তা কখনো পায়নি; ফলে, মানুষ অনেকটা এনারখিজমের মাঝে বাস করে।
পাকিস্তানের যে সম্পদ আছে, তা দিয়ে ১৮ কোটী মানুষ ভালোভাবে থাকতে পারতো; কিন্তু মিলিটারী ও সরকার মিলে জনগণকে অধিকার বন্চিত করে রাখে।
পাকিস্তানী ব্যুরোক্রেটরা গরীবদের পড়তে দেয়নি, বা কমপক্ষে মাদ্রাসায় যেতে বাধ্য করছে; বাংলাদেশেও একই প্রথা বজায় রেখেছে সরকার।
পাকিস্তান যে পরিমান সম্পদ আফাগানিস্তান, কাশ্মীর, সেসনিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে ব্যয় করে, তা দিয়ে দেশের সবাইকে 'ফ্রি' পড়াতে পারতো।
মনে হয়, এখন বাংলাদেশ প্রজরক্ট লাভের ঘরে গেছে; এখন জাল টাকা ও মাদক ব্যবসা করছে বাংলাদেশ হয়ে; তারা আমাদের দেশে ভালো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
জেনারেল জিয়ার পদক্ষেপ আমাদের দেশের একাংশ মানুষকে পাকিস্তানী মনোভাবের করে তুলেছে; আমরা যুদ্ধ করে, পাকিস্তানকে প্রত্যাখান করে এসেছিলাম; কিন্তু জিয়া আমাদেরকে আবার সেই পথে নিয়ে গেছে; উনার মৃত্যুর পর, উনার সামরিক ও বেসামরিক শিষ্যরা আমাদেরকে সেই পথে টেনেছে ২৬ বছর, এখনো চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।