আমাদের জাতির সস্তা শ্রম থেকে লাভবান হতে হবে আমাদের সস্তা শ্রমিকদের; শ্রম বিক্রয় করে যদি লাভবান না হওয়া যায়, সেই শ্রমকে নিজের ব্যবসায় ব্যবহার করে লাভবান হতে হবে আমাদের শ্রমিকদের; ভারতের আদানী পাদানীরা কেন আমাদের সস্তা শ্রম, বাজার, জমি ও এনার্জি ব্যবহার করে, লাভবান হয়ে, ডলার নিয়ে যাবে ভারতে? ভারতে ৪০ কোটী লোক আছে দরিদ্র, আদানী পাদানীরা নিজেদের সস্তা শ্রম ও এনার্জি ব্যবহার করুক নিজের দেশে।
রেডিসন হোটেলে বিনিয়োগ বিষয়ক সভা হয়েছে ২ দিন; সেখানে নাকি প্রস্তাব এসেছে ১৬ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে বিদেশীরা আগামীতে; ওরা শুধু টাকাটা নিয়ে আসবে, সাথে হয়তো মেশিনারীজ; বাকী সবকিছুই আমাদের: বাজার, শ্রম, যায়গা, বজ্য দিয়ে পরিবেশ দুষণ, সবকিছু আমাদের।
টাকা হলে তো আমরা মেশিনারীজ কিনতে পারবো; তা'হলে সমস্যা হচ্ছে টাকা; বাংলাদেশে আদানী,মাদানীদের চেয়ে অনেক বেশী টাকা পড়ে আছে; সেগুলোকে এক করতে হবে; আদানীরা যখন ১৬ কোটী ক্যাশের কথা বলবে, আসলে তারা আনবে অর্ধেক, বাকীটা নেবে স্হানীয় ব্যাংক থেকে। আর আমাদের নিজস্ব শ্রম হওয়াতে ও জমি হওয়াতে আমাদের প্রাথমিক ক্যাশের পরিমাণ আদানী পাদানীদের থেকে অনেক কমে আসবে।
আদানীরা আসবে বিষাক্ত সব কেমিক্যাল ও প্রোডাক্ট তৈরি করতে যা ভারত নিজের জমিতে অনুমতি দিচ্ছে না; আবার, তারা ভারতে উৎপাদন না করে, ওখানকার শ্রম বাজারে মন্দা ধরে রাখতে চায়, যাতে ভারতে তাদের উৎপাদন খরচ না বাড়ে। ওদিগকে আমাদের দেশে আসতে দেয়া মানে, ওদের শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় করার সুযোগ করে দেয়া। তারা আমাদের সস্তা শ্রম ব্যবহার করে, নিজেদের মানুষকেও ফাঁকি দিতে চায়।
ড: আতিয়ারকে ব্যবস্হা নিতে হবে যেন, আমাদের ১৭ কোটী মানুষ বিনিয়োগ করতে পারে; আদানী, রিলায়েন্স কোনভাবেই ১৭ কোটী বাংগালীকে থেকে ধনী হওয়ার কথা নয়; এই ছোট ভাবনাটা ড: আতিয়ারের মাথায় প্রবেশ করছে না কোন মতে, কিন্তু আমাদিগকে চেস্টা করতে হবে ড: আতিয়ারকে অংক শেখানোর।