আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে ভোটে; তবে, এই বিজয় বিশুদ্ধ বিজয় নয়, এতে বিশুদ্ধ কোন বাংগালী নির্বাচিত হয়ে আসেনি, যিনি জাতিকে নেতৃত্ব দেবেন; এবারের ভোটে, যারা নির্বাচিত হয়েছেন, ও যারা নির্বাচিত হয়নি, এরা কেহই জাতির কাছে বিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে প্রহযোগ্য নয়; প্রতিটি প্রার্থীই ছিল বিতর্কিত; বাংলার মানুষ এদের সবার পরাজয় চাওয়ার কথা; এবং বেশীর ভাগই পরাজিত হয়েছে; যারা জয়ী হয়েছে, মত প্রকাশের সুযোগ পেলে, মানুষ আজকেও ওদের পরাজয় চাইবে; বেশীরভাগ মানুষ যাদের পরাজয় চেয়েছে, তাদের বিজয় , ও বিজয়-উৎসব নিশ্চয় ভীতিকর ব্যাপার!
আওয়ামী লীগ ২৫৭ সীটে জয়ী হয়েছে; মনে হয়, তারা ভাবতে পারেনি এত বেশী লোক জয়ী হবে! সেটাই হয়তো উৎসবের মুল কারণ! এই বিজয়ে একটা বিষয় সবার কাছে পরিস্কার, যারা এবার জয়ী হয়েছে, তাদের এত বেশী ভোটে জয়ী হওয়ার কথা ছিলো না; এসব বিজয়ীরা নিজ এলাকায় কি এতই জনপ্রিয় যে, এরা এতো ভোট পাবার কথা? আওয়ামী লীগের লোকেরা ভোট দিয়েছেন সত্য, কিন্তু একটা সংসদীয় এলাকায় আওয়ামী লীগের ভোটের পরিমাণ শতকরা কি পরিমাণ?
ঠিক আছে, আওয়ামী লীগকে জনসাধারণ ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন, তা'হলে তো উৎসব জনতার! আজকের বিজয় উৎসবে কি সাধারণ জনতা যাচ্ছে, নাকি যারা জয়ী হয়েছে, তারা নিজেদের লোকদের জন্য উৎসবের ব্যবস্হা করেছে? আমি এই ধরণের উৎসবে জনতার সম্পৃক্ততা দেখছি না; জনতাকে বাদ দিয়ে উৎসব করলে, এতে জনতা ভীত হওয়ার কারণ আছে, ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ আছে!
১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ এর থেকে বড় বিজয় পেয়েছিলো, তখন আজকের মতো এতো অপ্রিয় ও ভীতিকর মানুষ নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না; তখন আওয়ামী লীগ এই ধরণের বিজয় উৎসব করেনি; এখন আওয়ামী লীগ বিজয় উৎসব করছে; আওয়ামী লীগ বদলে গেছে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮