আজ থেকে ২ দিন পর, মিয়ানমার সাড়ে ৩ হাজার রোহিংগাকে ফেরত নেয়ার কথা; তাদেরকে নেয়া হবে, এক ধরণের ক্যাম্পে, যেটা অনেকটা চীনের উইঘুর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, যুদ্ধবন্দী রাখার মত ফেসিলিটি; এগুলো চীনের মডেল। চীন উইঘুরদের অনেক মানুষকে এই ধরণের ক্যাম্প আটক করে ফেলেছে। ২০১৭ সালে, রোহিংগাদের তাড়িয়ে দেয়ার পেছনে চীন যুক্ত আছে। মিয়ানমার ৬০ বছর মিলিটারী শাসনে থাকার ফলে, ইহা বিশ্ব থেকে একেবারে পেছনে পড়ে গিয়েছিলো, সেই সুযোগটা চীন কাজে লাগায়েছে, মিলিটারীর লোকদের ডলারের নীচে চাপা দিয়ে, মিয়ানমারকে অনেকটা দখল করে নিয়েছে চীন; মিলিটারী যখন রোহিংগাদের নির্মুল করতে চেয়েছে, চীন নিজের তিব্বত ও উইঘুর মডেলকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে সাহায্য করেছে মিয়ানমারের মিলিটারীকে।
রোহিংগাদের সব দু:খের মুল কারণ বার্মার মিলিটারী; ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষের কারণে রাখাইন ভিক্ষুরা মিলিটারীর সাথে যোগ দিয়েছে; তবে, রোহিংগাদের রাখাইন থেকে পুরোপুরি নির্মুল করার পেছেনে চীনের লম্বা হাত কাজ করছে এখন। চীন ইহাকে মুলত: অর্থনৈতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নিলেও, তাদের উইঘুরদের প্রতি ক্ষোভও এখানে কিছুটা যোগ হয়েছে। চীনারা পৃথিবী থেকে আদিম, অলস, শান্তিপ্রিয়, নিরীহ এক জাতি, তিব্বতীয়দের নাম মোটামুটি মুছে দিয়েছে; এখন তারা উইঘুর জাতিটাকে মুছে ছিচ্ছে সবার সামনে।
রাখাইন হচ্ছে নারী আধিপত্যের সমাজ; নারী আধিপত্যের সমাজে ভালো দিক হলো, পুরুষেরা সহজ, সরল থাকে, কোন ব্যাপারে তেমন মাথা ঘামাতে হয় না, কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। ফলে, রাখাইনরা কোন সময় ভয়ংকর জল্লাদ হিসেবে পরিচিত ছিলো না। নারী আধিপত্যের সমাজে কারো স্ত্রী মাঝে মাঝে অন্যের সাথে ঘুমালেও বেশীর ভাগ পুরুষ ইহাকে সহজভাবে নেয়; এগুলো নিয়েও পুরুষেরা মল্লযুদ্ধে নামে না। আরাকানের পুরুষেরা এখনো বিশ্বমানের পুরুষ নয়, ৩৫ বছরের উপরে যাদের বয়স হয়েছে, তাদের কারো পরিস্কার, পরিপাটি, সুন্দর দাঁত নেই: ময়লা, বিশ্রী, নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁতের মানুষের কোন ব্যক্তিত্ব ও বক্তব্য থাকে না। ফলে, সাধারণ রাখাইনরা রোহিংগাদের আসল প্রতিপক্ষ নয়।
ভিক্ষুরা চায়, চীন রাখাইন দখলের জন্য যে টাকা পয়সা দিচ্ছে, সেটা যেন শুধু রাখাইনরা পায়, রোহিংগারা না পায়। মিলিটারী কিছু ভিক্ষুকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে; ভিক্ষুরা স্হানীদের হয়ে চীন সরকারের লোকদের সাথে কাজও করছে রাখাইনে।
চীন আরাকানের পাকিওপিউ'তে যে পোর্ট করেছে, সেটা দিয়ে বিশাল ট্যাংকারে করে তেল আনছে, তেলের পাইপ লাইন গেছে রাখাইন হয়ে; এখন চীন ক্রমেই পোর্টের আশেপাশের এলাকাগুলোতে শিল্পান্চল গড়ছে; এগুলোতে রাখাইনরা কাজ করছে; চীনা ব্যবসায়ীরা চাহে না যে, শিল্পান্চলে রাখাইন-রোহিংগা গোলযোগ থাকুক; সর্বোপরি, চীনারা চাহে না যে, রোহিংগা অস্ত্রধারীরা কোনভাবে চীনাদের ব্যবসা এলাকায় গোলযোগের সৃষ্টি করুক; রাখাইনরা চীনাদের ও মিলিটারীর জন্য আশির্বাদ।