বর্তমান রোহিংগারা পুরোপুরি অশিক্ষিত, নীচুমানের জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত, অপরাধ-প্রবন জনগোষ্টী; বার্মায় রোহিংগারা ব্যতিত আরো মুসলমান আছে, তাদের সাথে সেনাবাহিনীর, কিংবা স্হানীয়দের সাথে আজ অবধি এই ধরণের খারাপ কিছু ঘটেনি। ঐতিহাসিকভাবে, রোহিংগারা স্হানীয়দের সাথে সব সময় বিপরিতমুখী অবস্হানে ছিলো; তবে, তারা এত বিশৃংখল ও অপরাধ-প্রবন ছিলো না একসময়ে। ১৯৭৯ সালে, মিলিটারী রোহিংগাদের অনাগরিক ঘোষণা করার পর, রোহিংগারা সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য নিজেদেরকে সুসংগঠিত করতে পারেনি; অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে সংযম ধারণ করে, স্হানীয়দের ও মিলিটারীর সহানুভুতি পাবার চেষ্টা করেনি; তারা হতাশা ও সমুহ-বিপদের সন্মুখীন অবস্হায় সম্পর্ণরূপে বিশৃংখল হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে, যখন রোহিংগারা চরম বিপদে, তখনও ২/৩ জন রোহিংগা মিলে, এক রাখাইন গোষ্ঠীর মেয়েকে অপহরণ করে, ধর্ষণ করে, ও হত্যা করে; সে'দিন এক বাজারে ক্ষিপ্ত রাখাইনরা ৮০ জনের বেশী নিরপরাধ রোহিংগাকে হত্যা করে। সেবারও কিছু রোহিংগা সাময়িককভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো।
এবারের ২৫ শে আগষ্টকে রোহিংগারা ২০১৭ সালের উৎখাতের 'কালো দিবস' হিসেবে পালন করেছে; কালো দিবসে যারা বক্তব্য দিয়েছে, আমি বিবিসি'তে(আমেরিকান শাখা) তাদের দেখেছি; তারা সেখানে মুলত: নিজেদের মাঝে ঐক্য ধরে রাখার কথা বলেছে, বার্মার বিপক্ষে বক্তব্য রেখেছে; এবং বার্মায় ফেরত যাওয়া নিয়ে কিছু শর্ত দিয়েছে; কিন্তু শর্তগুলো পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে চলে গেছে। বাংলাদেশে থাকা অবস্হায় রোহিংগারা বার্মা-বিরোধী বক্তব্য রাখলে, সেটা কোনভাবে তাদেরকে সাহায্য করার কথা নয়।
কালো দিবসের বক্তব্য ও তাদের শর্ত থেকে একটা বিষয় বুঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশকেই তাদের হয়ে বার্মা সরকার থেকে শর্তগুলো আদায় করতে হবে, না হয়, তারা বাংলাদেশ ছাড়বে না। তাদেরকে বাংলাদেশ ছাড়ার কথা কেহ এখনো বলেনি; কিন্তু তাদের ভাষা থেকে মনে হচ্ছে, তাদের বর্তমান অবস্হার জন্য বাংলাদেশও যেন দায়ী। তাদের বক্তব্যে, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি; তারা বলেনি, এটা সাময়িক অবস্হান, এবং মাতৃভুমিতে ফেরার প্রথম সুযোগেই তারা বন্ধুজাতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজদেশে চলে যাবে; এটা হতে পারে, তারা অশিক্ষিত হওয়ায়, তারা কথা গুছিয়ে বলতে জানে না, অথবা তাদের মানসিকতাই এই রকম। মনে হচ্ছে, পাকিস্তানে অবস্হিত রোহিংগারা ( আরসা'ও আছে হয়তো) কক্সবাজার আসা-যাওয়া করছে, রোহিংগাদের সংগঠিত করছে।
তারা যদি কথা গুছিয়ে বলতে না জানে, সেটা একটা ব্যাপার; আর তাদের মানসিকতাই যদি নীচু হয়, সামনে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে; তারা যদি মনে করে যে, বাংলাদেশকেই তাদের হয়ে সব শর্ত আদায় করতে হবে, তারা ভুল করছে। তাদেরকে নিজেদের ভুল স্বীকার করে, বিশেষ সকরে "আরসা" আক্রমণকে নিন্দা করে নরম ভাষায় কথা বলে, বার্মা সরকারের সহানুভুতি পেতে হবে; সেটা যদি কাজ না করে, কমপক্ষে বিশ্ব দেখবে যে, মানুষগুলো নম্র, ও অসহায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫