কারণ, তারা পড়ালেখা কম করে, তাদের চিন্তাশক্তি ও জ্ঞান খুবই সীমিত, তারা জানে না পৃথিবীতে কি ঘটছে! ঢাকায় এখন ছাত্রদের হাফ-ভাড়া নিয়ে ভয়ংকর অবস্হা চলছে, গালাগালি, মারামারি! বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ছাত্রদের খরচ কমিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে বড় বড় ব্যবস্হাগুলো হলো: (১) ফ্রি পড়ালেখা (২) স্কলারশীপ ও ষ্টাইপেন্ড (৩) ষ্টুডেন্ট লোন (৪) বই থেকে শুরু করে কম্প্যুটার অবধি কমমুল্যে কেনার ক্ষমতা (৫) যাতায়াতে কম ভাড়া ও গাড়ী কেনার সুবিধা।
** আন্দোলন করার দরকার ফ্রি পড়ালেখা করার ও গরীব ছাত্রদের ফ্রি খাবারের অধিকারের জন্য
বাংলাদেশের ছাত্ররা কোনদিনও "ফ্রি পড়ালেখার" আন্দোলন করেনি, কমদামে কম্প্যুটার ও বইয়ের জন্য আন্দোলন করেনি, কমদামে খাবারের জন্য আন্দোলন করেনি। শুধু ২টি চাওয়া-পাওয়া: হাফ-ভাড়ায় যাতায়াত ও আমাদের যুগে কম পয়সায় সিনেমা চাওয়া; কার কাছে চাইতে হবে, সেটাও তারা জানে না।
আমেরিকার সব ছাত্রছাত্রী চাইলে গাড়ী কিনতে পারে, ব্যাংকগুলো এত বেশী সুবিধা দেয় যে, ছাত্রছাত্রীদের গাড়ী অনেক চাকুরীজীবিদের চেয়েও নতুন থাকে। এগুলো ব্যাংক দিচ্ছে না, গাড়ী কোম্পানীও দিচ্ছে না, সবকিছুর মুলে ফেডারেল গর্ভমেন্ট, ষ্টেইট, সিটি; ইহা আমাদের ফেইসবুক গ্রেজুয়েটদের মাথায় আগামী ৫০ বছরেও ঢুকবে না।
নিউইয়র্ক ও বড় সব শহরে ছাত্রদের ট্রেন ও বাস ভাড়া অনেক কম; ইহা ১৫০ বছর আগে করা হয়েছে, এখন এ'সব নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার হচ্ছে না; এগুলো সরকারের দায়িত্ব, ১৫০ বছর আগে ছাত্ররা চেয়েছিলো, সরকারগুলো ও সিটি সরকারগুলো করে দিয়েছে; এগুলো বাস বা ট্রেন কোম্পানীর ব্যাপার নয়।
আমি গ্রাম থেকে চিটাগং শহরে পড়তে গেলাম ৬০ দশকে, ছাত্রদের ভাড়া হাফ; কিন্তু শহরের বাসে নতুন সমস্যা, ছাত্ররা চুরি করে, আগের কোন এক সময়ের টিকিটকে বারবার দেখাতো কন্ডাক্টরকে; কন্ডাক্টররা এই পেশায় বহুদিন, ওরা মনে রাখতে পারতো কে কে টিকিট কিনেছে। আমি পোর্ট কলোনী থেকে বাসে কলেজে যেতাম; আগ্রাবাদ সরকারী কলোনী থেকে অনেক ছাত্র উঠতো, এদের মাঝে আমার কয়েকজন ক্লাশমেট থাকতো; এরা পুরানো টিকিট দেখাতো, কন্ডাক্টররা মাঝে মাঝে লেগে যেতো; কিন্তু ছাত্রদের সাথে পেরে উঠতো না; কন্ডাক্টর ও যাত্রীরা এসব ছাত্রদের সন্মান করতো না।
আমাদের ছাত্রদের সেই পুরানো সমস্যার সমাধান হয়নি আজ ৫৫ বছর পরও; কারণ, ছাত্ররা জানে না, হাফ ভাড়ার দায়িত্ব কার, সরকারের নাকি বাস কন্ডাক্টরদের?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫২