আমি এ তল্লাটে একেবারেই নতুন। সাত দিন পর্যবেক্ষনে রাখার কথা ব’লে সামু কতৃপক্ষ তিনসাতে একুশ দিন পরে আমাকে মন্তব্য করার দুঃসাহস দিয়ে দিল। ব্লগের বহরে পড়ে আছি অনেক দিন হ’য়ে গ্যলো। কোনোএকটা পোস্ট পড়ে মন্তব্য ক’রতে ইচ্ছে হ’লে দেখি সে এক জটিল কেচ্ছা। তখনই মনে হ’লো রেজিস্ট্রেশানটা ক’রে ফ্যালা যাক।
কিছুদিন যাবত নিয়মিত ঢু মারছি ব্লগে। প’ড়ছি নানান কিছিমের পোস্ট, অনেক চিন্তা-চেতনার সংস্পর্শে আসা হচ্ছে। এখানে যারা লেখেন তাঁরা সবাই বেশ ভালো লেখাপড়া জানা (পুঁথিগত বিদ্যের কথা ব’লছি না)। অনেক জানেন, বোঝেন।
অনেকে অনেক বিষয়ে লিখছেন। এর মধ্যে কেউ আবার ইসলাম প্রচারে নেমেছেন। কেউ আবার কয়েকধাপ এগিয়ে। কেউ কল্কি অবতারকেই মুহাম্মদ বানিয়ে ছাড়ছেন, কেউ ব’লছেন, প্রসেসর সবধরণের নির্দেশকে বাইনারী (১.০) অপারেটারে ট্রান্সফার ক’রে এক্সিকিউট করে সেটাও ১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া কোরাণ-শরীফে বলা আছে । কেউ আবার লিখছেন সৃষ্টিকর্তার অনস্তিত্ব প্রমান করার জন্যে।
আমি যতদুর বুঝি, মানুষের মেধা-মনন, জ্ঞান-গরিমা, চিন্তাসীমা বাড়ছে দিন দিন। এখন সবকিছুই প্রমাননির্ভর হ’য়ে দাঁড়িয়েছে। সেকারণেই ধর্মের বা ধর্মগ্রন্থের গ্লানি ধরা প’ড়ছে সবার চোখে। ধর্ম প্রবর্তনের সময়ের উপর(আদিমতা) গ্লানি অনেকখানি নির্ভর করে। এজন্যেই গ্রীকধর্ম, রোমানধর্ম, হিন্দুধর্ম, ইহুদীধর্ম, খ্রীষ্টানধর্মের গ্লানি ইসলাম ধর্মের থেকে বেশি। যারা অবিশ্বাসী হন, তারা বেশ জেনেবুঝে তারপরই হন। তবে এমূহূর্তে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব কোনকিছুই প্রমান করা সম্ভব না। তাই আস্তিক বভাইদের (ব্লগার ভাই) বলি, নাস্তিকদের ভার সৃষ্টিকর্তার উপরই ছেড়ে দিন আর নাস্তিক বভাইরা, ভবিষ্যত সম্ভবত আপনাদেরই পক্ষে।
কম্পিউটার আর ইন্টারনেট ভিত্তিক অনেক লেখা প’ড়লাম। প’ড়লাম সাম্প্রতিক বিষয়াবলীর উপর অনেক পোস্ট। বেশ শিক্ষনীয়। জানলাম, বুঝলাম, শিখলাম অনেক। আরো দারুণ কিছু লেখা আর মজার মজার অনেক কমেন্ট প’ড়লাম। অনেক ভালো লাগছে এতো এতো লেখা প’ড়ে।
আজই আমার প্রথম পাতায় প্রথম পোস্ট। আগে কয়েকটা কবিতা পোস্ট করেছিলাম। সাদাত ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ। আমার কবিতায় প্রথম কমেন্ট করার জন্যে। উপরে অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী কথা লিখে ফেললাম। নির্বোধের কড়চা মনে ক’রে না প’ড়লে লেখক দায়ী নয়।
ব্লগের সবাই খুব ভালো থাকবেন আর অনেক অনেক লিখবেন।