বড্ডো থেমে থেমে চলছে ঘড়িটা
কোনরকমে দায় সেরেই উল্টে যাচ্ছে দিনপঞ্জির পাতা
সময়ের আঁস্তাকুড় ফুলে ফেঁপে উঠছে দিন দিন।
আর কতো ভার বইতে হবে আমাদের?
পুজিবাদী দেবতার ভয়ঙ্কর থাবায়
আমার নিম্নবিত্ত কবিতারা হাহাকার করে মরে
অবহেলা স’য়ে স’য়ে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে পিঠ;
আজকের প্রেতবিশ্বাসী কানুরা অনবরত
ভুল ইংরেজী চর্চায় মগ্ন হোয়ে বাঁচে,
বাঁচে প্রতিদিন, প্রতিক্ষন, পল, অনুপল।
প্লানচেটে আত্মারা নামতেই থাকে
ঠাকুরবাড়ির মরা আঙিনায়;
পুরোহিত আর মোল্লারা মন্ত্রপূত জলে
অথবা চরণামৃতে অথবা কাঁচা কঞ্চিতে
আছড় ছাড়ান মৃতপ্রায় অন্ধদের ।
এদিকে রাতভোর-করা মুঠোফোনী বয়ান অপেক্ষায়
বালিকার বুকের ভিতর ক্যামন য্যানো করে।
প্রতিক্ষার প্রহর গুনে গুনে ক্লান্ত সময়ের সভ্যতাসেবীরা
অসময়ে হ্যাঁপা হোলো বড়ো ।।