মধ্যরাতে সশস্ত্র হামলা। পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম। অত:পর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ল্যাপটপ থেকে টুথপেস্ট লুট করে পলায়ন। একথাগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাকাতদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও এতে নতুন করে যোগ হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নাম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা ডাকাতদেরকে ছাড়িয়ে গেছে। ডাকাতির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ‘ছিনতাইকারী’র তালিকাতেও ছাত্রলীগের নাম উঠেছে অনেক আগেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে আসা ক্ষমতাসীন সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। যারা এখন অন্যের ল্যাপটপ ডাকাতি করে প্রযুক্তিতে পা রাখছে। অন্যের মোবাইল লুট করে যোগাযোগে বিপ্লব করছে। বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাপড় পড়ে সতরও ঢাকছেন তারা। তাদের এহেন কর্মকান্ডে অদূর ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের নামের আগে ‘ডাকাত’ শব্দটিও যোগ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত ১১ জানুয়ারী যুদ্ধাপরাধীদের আবাসস্থল জামাতে ইসলামের দোসর ছাত্রসংগঠন শিবিরকে র্যাব, পুলিশের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয় ছাত্রলীগ। কিন্তু বিতাড়িত করেই তারা শুরু করে ভাঙচুর ও লুটপাটের বিপ্লব। শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলো থেকে প্রায় ৫০টি ল্যাপটপ, কয়েক লক্ষ টাকা লুট ও ২০টি ডেস্কটপ কম্পিউটার ভাঙচুর ও কক্ষে অগ্নি সংযোগ করে। শুধু তাই নয় একনাগাড়ে এক সপ্তাহব্যাপী চলে নজীরবিহীন লুটপাট। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে টাকা পয়সা গহনা নিয়ে গেলেও ছাত্রলীগ শুধু এসব নিয়েও থেমে থাকেনি। শিবিরের নেতাকর্মীদের বিছানার চাদর, আচার, চানাচুর, সাবান, তেল, শ্যাম্পু, সেন্ট, লেপ, তোষক থেকে শুরু করে কিছুই লুটপাট থেকে বাদ যায় নি। শিবিরের সাথে ছাত্রলীগের আদর্শের দ্বন্দ্ব থাকলেও ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবিরের কক্ষ থেকে লুটকৃত শার্ট পড়ে শ্লোগান দেয়- একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর। শিবিরের কক্ষ লুটপাটের ২মাস পর গত ১১ এপ্রিল নগরীর সুরমা ও নেহাড়ীপাড়াস্থ মেসে ছাত্রদলের কর্মীদের উপর রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে আবারো স্বরুপে আবির্ভুত হয়েছে ছাত্রলীগ। আধিপত্য বিস্তারের মনোভাব দেখিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের দিকেই এগিয়েছে তারা। সেখানেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ৬টি মোবাইল ফোন, ৩টি মানিব্যাগ লুট এবং ৪টি কম্পিউটার ভাঙচুর করে তারা। যে দলটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসছে, তার ছাত্র সংগঠনই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার ভাঙার মহোৎসবে নেমেছে। ডাকাত অশিক্ষিত বলে তাদের বিধ্বংসী কার্যক্রম হয়তো অনেকে মেনে নেন। কিন্তু শাবি শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষিত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এহেন বিধ্বংসী কার্যক্রম মেনে নেন না এদেশের সচেতন মানুষ। এজন্যই সচেতন মহল মনে করেন, এসব ডাকাতদের দিয়ে অন্তত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি যারা যুদ্ধাপরাধীদের দোসর শিবিরের নেতাকর্মীদের টাকা লুট করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের মুখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিও মানায় না।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।