৯৬ সালে আওয়ামী লিগ সরকার গঠনের পর আমরা দেখেছি হঠাত করে কিছু চাঁদাবাজ এমপির আবির্ভাব।জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান প্রমুখ চাঁদাবাজরা দেশের মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলে। আসার কথা হল- জনগন তাদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। এখনো মাঝে মাঝে যে, তাদের হুংকার পত্রিকায় আসে না তা নয়।কিন্তু তারা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।
তাদের সেই শুন্যস্থান পুরন করেছে নয়া চাঁদাবাজরা। আসুন তাদের পরিচয় জেনে নেই।
১।শাহজাহান খান, মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়
২।মজিবর রহমান, চেয়ারম্যান যোগাযোগ মন্ত্রানালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সমর্থক ও গডফাদার-মাদার
১।আবুল হোসেন,মন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রনালয়
২।বেগম মুন্নজান সুফিয়ান ,প্রতিমন্ত্রী শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল- শাহজাহান খান নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও নৌ পথে চাঁদাবাজি না করে চাঁদাবাজি করছেন সড়ক পথে। একেই বলে দাপট।
সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!
যেহেতু কে কোথায় কোন খাতে কত চাঁদা দিবে সেই হার ঠিক হয়ে গেছে, তাই এখন একটা অধ্যাদেশ জারি করলেই তো হয়।বোঝাই যাচ্ছে আমাদের মত, ভোদাই জনগনের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই।
সামুর একটি স্টিকি পোস্টের শিরোনাম হল-এ্যানথ্রাক্সঃ সতর্ক হওয়ার এখনি সময়। এ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য সরকার ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।এবং একসময় আমরা এরোগের বিরুদ্ধে জয়ী হবোই।
সেই হিসেবে আমার পোস্টেরও শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল-চাঁদাবাজিঃসতর্ক হওয়ার এখনি সময়। কিন্তু আমার এই পোস্টের পর সরকারের কেউ দৌড়ঝাপ দিবে না। আমরা কখনোই এই রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হবো না।কারন,দুয়েকটা বাসের মালিক আমার এক বন্ধু বলেছে, মন্ত্রী,সচিব থেকে শুরু করে আইজি, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সবার মাঝে এই চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়। তাই প্রশাসনের এই“লাভজনক” খাত নিয়ে কারো মাথাব্যথা থাকবে বলে মনে হয় না।
তাই বলে কি আমাদের বাচার পথ নেই? আছে।
আমাদের শেষ আশা একটাই, স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে কোন বিচারপতি যদি এই চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের প্রতি রুল জারি করে জনগনকে এর হাত থেকে রক্ষা করেন। দেখা যাক কি হয়?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




