কেউ যদি জুমুয়ার নামাজ শুক্রবারে না পড়ে বৃহস্পতিবারে পড়ে তাহলে তার জুমুয়ার নামাজ আদায় হবে কী? কস্মিনকালেও তা আদায় হবেনা। তদ্রুপ কেউ ফযরের নামাজ যদি ইশার ওয়াক্তে আদায় করে নেয় তারও ফযরের নামাজ আদায় হবেনা। কারণ ওয়াক্ত হলেই কেবল ঐ নামাজের ফরয আদায় হবে।
কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, সৌদি ওহাবী সরকার প্রতি বছরই তাদের ইচ্ছামতো হজ্জের তারিখ পরিবর্তন করছে। চাঁদ দেখে তারিখ ঘোষণার কথা হাদীস শরীফ-এ বলা হলেও ইহুদীদের বংশধর, ইহুদীদের মদদপুষ্ট হয়ে বর্তমান সৌদি সরকার কুরআন শরীফ-হাদীস শরীফ-এর কোন তোয়াক্কাই করেনা।
তারিখ পরিবর্তনের ফলে ৯ তারিখের ফরযগুলো ৮ তারিখ আদায় করতে হয়। ৯ তারিখে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরয। কিন্তু সেখানে ৮ তারিখ অবস্থান করায় হজ্জ বাতিল হচ্ছে। যা জুমুয়ার নামাজ শুক্রবারে না পড়ে বৃহস্পতিবারে পড়ার মতোই হচ্ছে। ফলে কারো হজ্জ হচ্ছে না। ওহাবী সরকার মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ফরয হজ্জকে নষ্ট করে দিচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ)
যেখানে এ ফরয হজ্জ আদায় করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজীগণ লাখ লাখ টাকা খরচ করে হজ্জ করতে আসেন সে ফরয হজ্জকে ১৯৬৫ সাল থেকে ইহুদীদের কথামতো ইহুদীদের বংশধর সৌদি ওহাবী সরকার প্রতি বছরই নষ্ট করে দেয় এবং আরো লক্ষ কোটি হারাম বেহায়াপনায় লিপ্ত করে দেয় মুসলমানদেরকে। (নাউযুবিল্লাহ)
সুতরাং এখনই এদেরকে প্রতিহত করতে সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিতে হবে।
দেখুন দৈনিক যুগান্তরের ২০০৯ সালের একটি প্রতিবেদন।
২৬ নভেম্বর পবিত্র হজ : পরদিন সৌদি আরবে ঈদ
হাজী জহির সৌদি আরব থেকে : ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালিত হবে। পরদিন শুক্রবার সৌদি আরবে পালিত হবে ঈদুল আজহা। আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, মঙ্গলবার ছিল জিলক্বদ মাসের ২৯ তারিখ। সে অনুযায়ী বুধবার হওয়ার কথা ছিল ৩০ জিলক্বদ। কিন্তু সৌদি সরকার আগের দিন সন্ধ্যায় বুধবারকে পয়লা জিলহজ্জ হিসেবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ ক্যালেন্ডারে ঘড়ির কাঁটা একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।[/sb
এর কারণ হল, গত ঈদুল ফিতর যেদিন পালিত হওয়ার কথা ছিল, তার একদিন আগে পালিত হয়। যে কারণে জিলক্বদ মাস থেকে একদিন এদিক-সেদিক করতে হয়েছে। এ হিসাবে ২৬ নভেম্বর এবং আরবি ৯ জিলহজ পবিত্র হজ্জ পালন করা হবে। ওইদিন থাকবে বৃহস্পতিবার। ২৭ নভেম্বর সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পালিত হবে। আকবরি হজ অর্থাৎ শুক্রবার হজ হলে সৌদি আরবে সামরিক বাহিনী পুলিশসহ সব সরকারি চাকরিজীবীরা বিশেষ বোনাস ও নতুন ড্রেস পেতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার হজ পালন হওয়ায় এ বছর কর্মচারীরা ওই সুবিধা পাচ্ছেন না। সৌদি নাগরিকরা প্রথম জিলহজ থেকে ৯ জিলহজ পর্যন্ত রোজা রাখেন। এ সময়টায় অবস্থাপন্ন সৌদি নাগরিকরা মক্কা শরীফ-মদীনা শরীফ-এর মসজিদগুলোতে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে খেজুর, খেজুরের হালুয়া, সুজির হালুয়া, চা বিতরণ এবং ইফতারির জন্য দাওয়াত করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজীরাও তাদের দাওয়াতে শরিক হন।
মঙ্গলবার ছিল মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফ যাওয়ার শেষ দিন। ৪০ ওয়াক্ত নামাজ শেষ করে হাজীরা মক্কা শরীফ-এ চলে গেছেন। এখনও যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা হজের নিয়তে এসেছেন, ক্যালেন্ডারে একদিন এগিয়ে নিয়ে আসায় তাদের মধ্যে অনেক ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারবেন না। তাদের মধ্যে অনেক বাঙালিও আছেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের বিষয়টি বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাঙ্গালীদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। হাজীরাও নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। সবার ভাবনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে কিনা। কলকারখানা থেকে শুরু করে বাজার, দোকানপাট সর্বত্র বাঙালিদের মনোযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে এখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের রায়ের বিষয়টি। মক্কা মদিনা দুই পবিত্র মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে মুসল্লিরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছেন।
দৈনিক যুগান্তর-১৯ নভেম্বর/২০০৯ (১ম পৃষ্ঠা)