somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চোরাবালি-
পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

পাখি পালন বিষয়ক বিধিমালা-২০২০

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লেখাটি নিয়ম/নীতিমালা বর্হিরভূত হলে ক্ষমা প্রার্থী-



গত ১৮ই জানুয়ারীএস. আর. ও নং ১৫-আইন/২০২০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন এর ৫৪ ধারার সহিত পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২০ নামে নতুন একটি বিধিমালা জারি করেন। একজন সৌখিন পাখি পালক হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এ বিধিমালা সৌখিন পালক ও খামারি সম্পর্কে যাদের নূন্যতম জ্ঞান তো দুরে থাক ধারনাও নেই তাদের দ্বারাই এমন একটি বিধিমালা জারি করা সম্ভব। এদেশে নতুন করে যখনই কোন সেক্টর গড়ে ওঠে সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী কিছু মাথামোটা নীতি নির্ধারকেরা সে সেক্টরটাকে কিভাবে ধ্বংশ করা যায় তার পেছনে উঠে পড়ে লাগে। এ সেক্টর সবে মাত্র হাটিহাটি পা পা করে এগিয়ে চলেছে এবং বেকারত্বের দেশে নূন্যতম হলেও কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করে চলেছে। বাংলাদেশে একসময় চিনা কাউন ১০/১৫ টাকায় পাওয়া যেত যা বর্তমানে পাখি পালক তথা পাখালদের কারনে ৪০ থেকে ৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে যার ফলে এদেশের কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছে। আজ প্রতিটি শহরেই ১/২টি পেট শপ চোখে পরে এবং সেখানে সর্বদা খরিদ্দারে উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। পাখালদের কারনে চাহিদা বাড়ছে ভেটিনারী চিকিৎসকদের, গড়ে উঠেছে খাঁচা তৈরীর কারখানা সহ অসংখ্য ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। ঠিক তখনই এ নীতিটি প্রকাশ করে সেটাকে বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এ সেক্টরটি যখন ক্ষুদ্রপরিসরে হলেও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে চলেছে ঠিক তখনই কি উদ্দেশ্যে এ বিধিমালা প্রকাশ করা হল সেটা মোটেও বোধগম্য নয়।
দেশে সৌখিন পাখি পালক বৃদ্ধির সাথে সাথে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি একজন মানুষ শিশুকাল থেকেই তার পরিবারের মাধ্যমে পশুদের প্রতি ভালোবাসায় আকৃষ্ট হচ্ছে, সেই সাথে কিশোর/তরুন/যুবকদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাচিয়ে রাখছে। তারা তাদের সময়কে পাখি লালন পালনের মধ্য দিয়ে ভালো কাজে ব্যয় করছে, এই পাখি পালনের মধ্য দিয়ে একে অপরের সাথে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। আমার মনে হয় মাননীয় প্রথামন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকাকে সমালোচনার মধ্যে ফেলার জন্য বা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা একটা চক্রান্ত তাই যারা এ বিধিমালা প্রকাশ করেছেন তারে আসল পরিচয় খুজে দেখা দরকার।



বিধিমালায় বলা হয়েছে একইপ্রজাতির ১০টি পাখি রাখা যাবে তার থেকে বেশি রাখলে সে খামারি হসেবে বিবেচিত হবেন। যারা বিধিমালা প্রনয়ন করেছেন তাদের পাখি সম্পর্কে নূণ্যতম জ্ঞান থাকলে সৌখিন পাখাল হিসেবে একই প্রজাতির ১০টি পাখির কথা বলতেন না কেননা একই প্রজাতির নূণ্যতম ১০টির অধিক মিউটেশন বা রংয়ের বৈচিত্রতা থাকে। এখানে যদি কোন সৌখিন পালক মনে করে যে সে সবগুলি মিউটেশনের পাখি সংগ্রহ করবেন সেখানেও তার ৩০-৫০টি পাখি হবে, সেখানে কিভাবে ১০টির মধ্যে সীমাবন্ধ রাখা হল সেটি মোটেও বোধগম্য নয়। একজন সাধারণ সৌখিন পালকেরও নূণ্যতম ১০০জোড়া পাখি থাকে যা কিনা ছোট্টএকটা রুমেই সু্ন্দরভাবে লালন/পালন ও পরিচালনা করা সম্ভব। আবার বলা হচ্ছে সৌখিন পালকদের পাখির বাচ্চা হলে পায়ে রিং পড়াতে হবে। আমার প্রশ্ন একটা রিং এর দাম কত আর রিং এদেশে সহজেই পাওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে কি নূণ্যতম ধারণা আছে এদের?


এবার আসি লাইসেন্সিং এর ব্যপারে। খামারিকে ১০,০০০/= (দশ হাজার টাকা) দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে, তার সাথে প্রসেস ফি ২হাজার, পজেশন ফি ২হাজার বাৎসরিক, প্রতিলিপি ফি ১হাজার, পজেশন সার্টিফিকেট ১হাজার। প্রতিবৎসর লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্র নবায়ন ফি পরিশোধ করতে হবে লাইসেন্স ফি'র ২৫% বা ৪হাজার, পজেশন ফি'র ২৫% অর্থাৎ ৫শত টাকা। একজন খামারিকে বাৎসরিক ফি প্রধান করতে হবে প্রথম বৎসর ১০+২+২+১+১=১৬ হাজা টাকা অফিসিয়ালি, আর আন্ডার টেবিল মানি বা বকশিস কত টাকা দিতে হবে সেটার হিসেব নাই। যদি ২৫হাজার টাকাও ধরি আর সে যদি বাজরিগার খামারি হয় তা হলে তার সেই টাকা তুলতে নূণ্যতম ১২৫টি পাখি বিক্রয় করতে হবে। আর যদি ফিন্স পাখি হয় তা হলে তো নূণ্যতম ১৫০টি পাখি। বর্তমান খাদ্যের যে দাম সেখানে লাভবার্ড বা প্যারোট জাতীয় খামার এমনিতেই বন্ধের উপরক্রম তার উপর যদি আইনের খর্গ চলে তাহলে অচিরেই তাদের বন্ধ করতে হবে। তাই আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, আহবার করি সকল পাখাল সমাজকে এ নীতি প্রতিবাদ করতে অন্যথায় অচিরেই হারিয়ে যাবে পাখাল এদেশ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×