somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখুন দেশ চালাচ্ছে কারা? আওয়ামী লীগের নয়, দেশে চলছে পরিমল বাবুদের শাসন

০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দেখুন দেশ চালাচ্ছে কারা? ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকরি পাওয়া সরকারের এই দুই অসভ্য-বর্বর পুলিশ অফিসারের পরিচয় কি?

বিপ্লব কুমার, কেশব রায় চৌধুরী, পরিমল, সমিরণ হাওলাদার, অশিত বরুণ গংদের নির্যাতন থেকে দেশবাসী মুক্তি চায় -

দেশে এখন অপরাধীদের জয়জয়কার চলছে - ক্ষমতার এখন দিল্লী!

১. বিরোধী দলের চীপ হুইপকে পিটালেন / থাপড়াতে চাইলেন পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার ও ছাত্রলীগের জগন্নাথ হল শাখার সাবেক সেক্রেটারী বিপ্লব কুমার সরকার

২. প্রবীন ও অসুস্থ সাবেক ৩ আইজিপিকে কারাগারে প্রেরণের রায় দেন মহানগর হাকিম "কেশব রায় চৌধুরী"!

৩. ভিকারুন্নেসার ছাত্রী ধর্ষণকারী পরিমল ২৯তম বিসিএসে পুলিশ ভেরিফিকেশনে সাধু সার্টিফিকেট পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন সপ্তাহখানেকের মধ্যেই। নির্ভরযোগ্যসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে প্রকাশিত হতে যাওয়া ২৯তম বিসিএসের গেজেটে তার নামও অন্তর্ভুক্ত আছে।

৪. এনএসআইতে গণহারে সংখ্যালঘু নিয়োগ - জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরে (এনএসআই) সম্প্রতি বিভিন্ন পদে ৯৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের


- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার বলয় কুমার জোয়ারদারের তত্ত্বাবধানে তার স্ত্রী এনএসআই’র সহকারী পরিচালক বিপ্লবী রানী এবং অপর দুই সহকারী পরিচালক সমিরণ হাওলাদার ও অশিত বরুণ সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়োগদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে।

৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিকাংশ শীর্ষ পদে দিল্লীর আশির্বাদপুষ্টরা

৬. বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ডিসি-এসপিরা হয় পরিমলবাবুরা অথবা বিশেষ দল বা এলাকার



সরকারের এই দুই অসভ্য-বর্বর পুলিশ অফিসারের পরিচয় কি?

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশের চাকরি নেয়া হারুন ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একসময় চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে চাকরি নেয়ার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখে ‘বেয়াদব’ হিসেবে পরিচিত হলেও নানা অপকর্ম করে অদৃশ্য কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান।

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বাড়ি হওয়ার সুবাদে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নাম ভাঙিয়ে তিনি নানা অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে তিনি স্পিকারের ভাতিজা বলেও পরিচয় দেন। আর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তিনি ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় দখলবাজির রাজত্ব কায়েম করেছেন বলেও অভিযোগ আছে।

গুলশানে এডিসি থাকাকালে একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ গুঁড়াদুধ ভেজাল বলে আটক করেন। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হওয়ার দাপটে তিনি সব সময়ই পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চান। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেন এডিসি হারুন। এ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই বিভাগের তত্কালীন ডিসি ঘটনার তদন্তে সত্যতা পেয়ে শাস্তি হিসেবে তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। সেখানে যোগদান না করে তদবিরের মাধ্যমে তিনি ওই আদেশ বাতিল করে তেজগাঁও জোনে পোস্টিং নেন।

১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ করে হলে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ ছিল। ওই সময় ঘটনাটি পত্রিকায় ছাপা হয়। হারুনের স্ত্রী আমেরিকা প্রবাসী হওয়ার কারণে তিনি অনেক সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। স্ত্রী আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুবাদে হারুনেরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব। মাঝে মাঝেই তিনি আমেরিকায় যান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা তার মধ্যে রয়েছে বলেও তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। তার ঘনিষ্ঠ অনেকেই বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আলোচনায় এসে ভবিষ্যতে মিঠামইন এলাকা থেকে এমপি নির্বাচনে অংশ নেয়ারও খায়েশ রয়েছে হারুনের।অন্যদিকে মোহাম্মদপুর জোনের এসি বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে চাকরি জীবনের শুরু থেকেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ২১তম বিসিএস ক্যাডারে চাকরি নেয়া বিপ্লব সরকার ছিলেন ছাত্রলীগ জগন্নাথ হল শাখার সেক্রেটারি। পুলিশ বিভাগে চাকরি হওয়ার পর নিজের অতীত কৃতকর্মের কথা ভেবে ২০০৩ সালের অক্টোবরে সারদায় ট্রেনিং করেই ডিভি ভিসা পেয়ে আমেরিকায় চলে যান। ৭ বছর আমেরিকায় থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসেন। পুলিশের ভাষায়, এসময় তিনি ছিলেন ফেরারি। কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন কর্মস্থলে না থাকায় তার বিরুদ্ধে জিডিও করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর অনুপস্থিত থেকে দেশে ফিরে রহস্যজনকভাবে পুনরায় চাকরি ফিরে পান তিনি। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিপ্লবের স্ত্রী ভারতে পড়াশোনা করছে। কিছুদিন পর পর তিনি ভারতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কাটিয়ে আসেন বলে জানা গেছে।সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ সদরের বাসিন্দা বিপ্লবকে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জোনে বদলি করা হয়। তিনি জয়নুল আবদিন ফারুককে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।তাদের অ্যাকশন দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন—পুলিশের পোশাকে এরা আসলে কারা? আওয়ামী লীগ এমপি-মন্ত্রীদের নজর কাড়তেই হরতালে অতিউত্সাহী সাবেক এই ছাত্রলীগ ক্যাডার হারুন অর রশিদ এবং বিপ্লব কুমার সরকার সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সফল হয়েছেন।এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদ জানান, তিনি জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধর করেননি। গাড়ি ভাংচুরে বাধা দিলে ধস্তাধস্তিতে হয়তো মাটিতে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিপ্লব সরকারও একই সুরে নিজের অপকর্মের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিরোধী দলের চিফ হুইপসহ কয়েকজন এমপিকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছে মাত্র। লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত করা এবং অকথ্য ভাষায় গালি দেয়ার দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করা হলেও এই দুই পুলিশ সদস্য সব কিছুই অস্বীকার করেন।
Click this link


পরিমল বাবুর পরিচয় নতুন করে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের আলোচনার পরিমল নামের মল-মুত্র নিয়েও নয়। হাল আমলের বাংলাদেশের শাসক মল বাবু শ্রেণীর কিছু পরিচয় তুলে ধরাই এই পোষ্টের লক্ষ্য।

বিস্তারিত বিশ্লেষণের আগে নিচের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেয়া যাক
ক। শুয়ারের বাচ্চা, থাপরাইয়া তোর দাঁত ফেলে দেবো


ছবিঃ ছাত্রলীগের জগ্ননাথ হল শাখার সাবেক সেক্রেটারী বর্তমানে মোহাম্মদ থানা এসি বিপ্লব কুমার সরকার

প্রত্যক্ষদর্শী মিডিয়াকর্মীরা জানান, শুরু থেকেই মারমুখী আচরণ করছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) বিপ্লব কুমার সরকার। বিএনপির ৩০ জন এমপিকে ঠেকাতে সেখানে পুলিশ সদস্য ছিলেন শতাধিক। ন্যাম ভবনের সামনে তারা সমবেত হওয়ার সাথে সাথে তাদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। ফারুকের গায়ে ছিল নীল-সাদা স্ট্রাইপের গেঞ্জি। পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে টিটকারি দিয়ে বলেন, হরতাল করবি, এই কারণে গেঞ্জি পড়ে বের হয়েছিস। দেখি, কিভাবে হরতাল করিস। এরপরই দু’পক্ষে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

এক পর্যায়ে এক কথা-দু’কথায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে গালিগালাজ শুরু করে পুলিশের দুই কর্মকর্তা। উত্তেজিত হয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘‘শুয়ারের বাচ্চা, থাপরাইয়া তোর দাঁত ফেলে দেবো’’। তখন ফারুক চিৎকার করে বলতে থাকেন, “পারলে ফেল দেখি।” তৎক্ষণাৎ এডিসি হারুন-অর-রশীদ পেছন দিক থেকে তেড়ে এসে অন্যান্য পুলিশ কনস্টেবলদের নিয়ে ফারুকের ওপর হামলা চালান। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার ও হারুন-অর-রশিদকে অনুসরণ করে তাদের অধীনস্থ পুলিশ সদস্যরা অমানবিকভাবে পেটাতে থাকেন জয়নুল আবদিন ফারুককে। কর্মকর্তারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, “মার”। কনস্টেবলরা মৌমাছির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ফারুকের ওপর। শুরু হয় কিল-ঘুষি-লাথি। মনে হয়, সাপ পেটাচ্ছে। এভাবেই বর্ণনা ‍দিলেন সেখানে দায়িত্বরত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান।
খ। দাপটের সাথে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাচ পরিমল বাবু

পরিমল জয়ধর ছাড়া ওই স্কুলের আরো পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন বরুণ চন্দ্র বর্মণ, বিষ্ণুপদ বড়াই, বাবুল ও অভিজিৎ। অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে বরুণ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে বাণিজ্য বিভাগের দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে গত ২৭ জুন। ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, 'বরুণ চন্দ্র বর্মণ ক্লাসে অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার ও বাজে ধরনের ইঙ্গিত দেন ছাত্রীদের।' তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বরুণ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

অভিভাবক ও স্কুলের ছাত্রীরা কালের কণ্ঠের কাছে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষক সম্পর্কে বলে, প্রকাশ্যেই ছাত্রীদের নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁরা। বিষয়টি প্রায় সব অভিভাবকই জানেন। অভিভাবকদের দাবি, গার্লস স্কুল থেকে পুরুষ শিক্ষক প্রত্যাহার করতে হবে। অভিযুক্ত ছয় শিক্ষকেরই বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় পুলিশ কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।

বসুন্ধরা শাখার এক শিক্ষার্থীর মা শাহনাজ রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অবিলম্বে অভিযুক্ত পরিমলসহ আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'পরিমলের ঘটনাটি সবাই জানত। ওই মেয়ের পরিবারকে সে অব্যাহত হুমকি প্রদান করছে।'অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে অভিভাবকরা আজ মঙ্গলবার স্কুল বর্জন করে সকালে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করবেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেমন এ সম্পর্কে বলেন, ৫ জুলাই গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আছে। এ ব্যাপারে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিভাবকদের আন্দোলনের প্রথম দিন গত রবিবার থেকেই পরিমল পলাতক রয়েছে। অভিভাবকরা জানান, পরিমলের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় পুলিশ তাকে নিরাপদে পালাতে সাহায্য করেছে। পরিমল এর আগে রাজউক মডেল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। ওই স্কুলেও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়।

উল্লেখ্য, পরিমল বাবুদের নির্যাতনে ছাত্রীটির বাবা এখন মৃত্যু শয়্যায়। কালের কন্ঠ লিখেছে,

যৌন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসাধীন।


গ। রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা (NSI) সংস্থায় পরিমল বাবু দিয়ে এখন ভরপুর

এনএসআইতে নবনিযুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২৬ সদস্য হলেন­ ফিল্ড অফিসার সুভংকর রায়, নরেশ কুমার বিশ্বাস, পীযূষ কান্তি গুহ, সুদীপ আইচ রায়, সুবল চন্দ্র বণিক, প্রদীপ কুমার অধিকারী, কৃষäচন্দ্র দাস, পলাশ কান্তি তালুকদার ও উত্তম চন্দ্র হাওলাদার, ওয়াচার কনস্টেবল রূপম চাকমা, বিক্রমাদিত্য দাস, জহরলাল রবিদাস, পঙ্কজ তালুকদার, নিরূপম কুমার রায়, রাজীব ভট্টাচার্য্য রজত ও রঞ্জিত পুরকায়স্খ, এমএলএসএস নীতিশ দাশ, খোকন চক্রবর্তী, প্রণয়চন্দ্র সরকার, খোকন বড়ুয়া, তপন কান্তি পাল, শংকর জোয়ারর্দার, শিল্পী রানী দাস, অপু হাজারী, বিনতী চাকমা ও গাড়িচালক নিতাইচন্দ্র দাস।
ঘ। চালক হেল্পার, জর্জ, উকিল, মোখতার সবেই পরিমল বাবুরাই


সিরাজগঞ্জ ট্র্যাজেডি : চালক রাজ গোবিন্দ কিছুদূর গিয়ে কেন ট্রেনটি থামিয়ে দিলেন

চালক আছিরউদ্দিনকে বসিয়ে রেখে ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন সহকারী চালক রাজ গোবিন্দ। গেটম্যান হীরামন দাস জনসভার মধ্যেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনটি সামনে যাওয়ার সঙ্কেত দিলেন। ট্রেনের গার্ড ছিলেন জ্যোতিন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ঘটনার পুলিশি তদন্ত করছেন জিআরপি থানার ওসি বিমল কুমার চাকী। তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রাজ গোবিন্দের সাক্ষ্য নিয়েছেন। মামলার বাদী হয়েছেন জেএন মুখার্জী। কমিটির প্রধান হিসেবে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক রঞ্জন অধিকারী ঘটনার তদন্ত করছেন। দুর্ঘটনার পর রাজশাহীর অতিরিক্ত কমিশনার স্বপন কুমার রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।

চালক আছিরউদ্দিনকে বসিয়ে রেখে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন সহকারী চালক রাজ গোবিন্দ। সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ মুলিবাড়ি রেলগেটের গেটম্যান ছিল হীরামন দাস। গার্ড ছিল জ্যোতিন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সামনেই বিএনপির জনসভা। লোকে লোকারণ্য। ওই জনসভার মধ্যেই হীরামন দাস সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনটি সামনে যাওয়ার সঙ্কেত দিলেন। রাজ গোবিন্দ হুইসেল না বাজিয়ে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি নিয়ে এগোতে থাকলেন সামনের দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জনসভা জেনেও হুইসেল না বাজিয়ে দ্রুতগতিতে ট্রেনটি নিয়ে সামনে এগুনোতেই দেখা দেয় বিপত্তি। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন ৭ জন। আহত অনেক। এরই মধ্যে চালক গোবিন্দ রাস্তা ফাঁকা পেয়েও ট্রেন চালিয়ে সামনে এগিয়ে নেননি। দুর্ঘটনাস্থলের কিছুদূর গিয়েই হঠাত্ থামিয়ে দেন ট্রেনটি। তিনি জানতেন ট্রেনটি থামালে পড়তে হবে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে। তবুও ট্রেনটি থামিয়ে দিলেন তিনি। যার ফলে সমাবেশে যোগ দেয়া হতাহতদের সঙ্গী-সাথীদের রোষানলে পড়ে ট্রেনটি। ধরিয়ে দেয়া হয় আগুন।

এই ঘটনায় মৃত্যুর দায় নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে। খালেদা জিয়ার সভাস্থলের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ার পর বিএনপির ৭ কর্মী নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। এতেও জন্ম দেয় নানা প্রশ্নের। দুর্ঘটনার পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দায়ী করে মামলা, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্য নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা রহস্যের।


ছবিঃ তিন আইজিপিকে এক সাথে জেলে দেয়ার বিশ্ব রেকড করলো পরিমল বাবুরা?
ঙ। কারাগারে সাবেক তিন আইজিপি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাবেক তিন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোঃ আশরাফুল হুদা, খোদা বখস্ চৌধুরী ও শহুদুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করেন।
চ। দেশের সিনেমা শিল্প পুরোপুরি ধবংস করার জন্য আমদানী করা হলো ভারতীয় ছবি, নেপথ্যে পরিমল বাবুরা?


দেশে ভারতীয় ছবি প্রবেশ করেছে। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রণালয় তিনটি ভারতীয় চলচ্চিত্রকে বিমানবন্দর থেকে দেশে প্রবেশের জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ছবিগুলো হলো জোর, বদলা ও সংগ্রাম। এরই মধ্যে ছবি তিনটির আমদানিকারকেরা সেন্সর বোর্ডের অনাপত্তিপত্র দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে তা ছাড়িয়ে এনেছেন।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ছবিগুলো ছাড়পত্রের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সুরথ কুমার সরকার বললেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তেই তিনটি ছবির ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।’
ছবিঃ সরকারের আজ্ঞাবহ চেম্বার জর্জ প্রধান বিচারপতি সুরেন্ত্র কুমার সিনহা

ছবিঃ সরকারের আজ্ঞাবহ চেম্বার জর্জ প্রধান বিচারপতি সুরেন্ত্র কুমার সিনহা
ছ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসাছাত্ররা ভর্তি হতে পারছে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ও 'ঘ' ইউনিটে মাদ্রাসাছাত্রদের অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শর্তারোপ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় গতকাল সোমবার ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এস কে (সুরেন্ত্র কুমার) সিনহা। ফলে আপাতত শর্তগুলো বহাল রইল।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের আবেদনে হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে ১০টি বিভাগে মাদ্রাসাছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগ হলো ইংরেজি, বাংলা, ভাষাবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও উন্নয়ন। এসব বিষয়ে মাদ্রাসাছাত্রদের ভর্তিতে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পৃথক ২০০ নম্বর থাকতে হবে এমন শর্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে মাদ্রাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা উলি্লখিত বিষয়ে ভর্তির যোগ্যতা হারান। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাসাছাত্ররা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শর্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই শর্তারোপ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৫ ডিসেম্বর রায় দেন।


দেশ আসলে কারা চালাচ্ছে? আওয়ামী লীগ নামের দলটি নাকি পরিমল বাবুরা?



বিঃদ্রঃ বিশেষ কোন সম্প্রদায়কে আঘাত করা এই পোষ্টের লক্ষ্য নয়, পরিমল বাবুদের কোন ধর্মীয় পরিচয় নেই, এরা সুবিধাভোগী শ্রেনী।

তথ্যসুত্র: http://sonarbangladesh.com/blog/actvisit/49793
প্রমান http://www.youtube.com/watch?v=hP5xIdwmKHA
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১১
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×