পুরো শহরটা চষে বেড়ালাম,
চিবুক ছুঁয়ে খেলা করছিল রোঁয়া ওঠা রোদ,
পাখীদের ঠোঁটে ঠোঁটে তাম্বুরা অনুরাগ,
অথচ, তৃষ্ণায় কাঁপছিল অধর অঞ্চল;
তখনও থামেনি যাযাবর বেলা,
ধুলোমাখা আকাশ, হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো
পেঁজানো মেঘ'কে উষ্ণ অভিবাদন জানায়।
বিধ্বস্ত আত্মা বলে ওঠে সন্তর্পণে,
কামারশালায় তপ্ত হাপরের স্পন্দন দেখেছো?
চারপাশের ম্লান মুখগুলোতে তাকাও,
কংক্রিটের দেয়াল টপকে ছোট্ট সংসার দেখো,
দোহাই তোমার- মুখ ঢেকো না রুমালে;
তীক্ষ্ণ বোধের দহনে পুড়ে, থেমে গেলো
অকারণ উত্তেজিত আলোড়ন;
য্যানো খাঁখাঁ দুপুরে ধেয়ে এলো বরফকুচি,
মুহূর্তেই তীব্র এক হা-হুতাশ নিঃশব্দে মিলিয়ে গেল।
তামাটে ফেরিওয়ালা পাশ কাটিয়ে যেতেই,
এক ঠোঙা হাওয়া এসে আমায় কুর্নিশ জানালো;
আবারও ঋণী হলাম, সেইসব বেণিয়াদের কাছে,
যারা রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রমে,
তামাটে অবয়ব ভরে রাখে লাস্যময়ী রূপে।
ছবি- সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২