সম্প্রতি তিস্তা বাঁধ দিয়ে সব জল খসে যাচ্ছে, তবেং তা বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে, পশ্চিম বংগের মূর্খ মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি বলেন, তিস্তা বাঁধ দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সব জল খসে যাচ্ছে। এই অবৈধ জল বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। আমরা বিজিবি, পুলিশ ও রেবকে সতর্ক করে দিয়েছি, তারা এই অবৈধ ভাবে গড়িয়ে পড়া রস কিংবা প্রত্যেকটি ফোঁটার অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
আবেগঘন কণ্ঠে দীপু মনি বলেন, আমরা খসে যাওয়া অবৈধ জল চাই না। আমরা ষোল কোটি মানুষ ঘটি, বাটি, জগ, মগ, বালতি দিয়ে মমতার এই খসে যাওয়া অবৈধ জল মমতাকে আবার ঢেলে দিয়ে আসব।
মমতার জন্য তার খসা জল সামলাতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ।
বর্তমানে মমতা ব্যানার্জি উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। সফরের এক কর্মসূচিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দার্জিলিয়ে এক সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বুঝতে পারছি তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে আমার সাধের জল খসে যাচ্ছে। ভিন রাষ্ট্রে সেই জল যাচ্ছে, সেই রাস্ট্রের আমাদের কিছু দালালরাই চেটেপুটে সেই জল খাচ্ছে, এতো লাম্পট্য ভালনা তাই এই ঘটনাও ভয়াবহ অপরাধ। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিশকে বলবো বিষয়টি দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে।’
পশ্চিম বংগের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র রাজ্যের বেপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। তিস্তা বাধ এবং ফারাক্কা বাধ দিয়ে প্রচুর জল খসেছে এবং খসছে, কিন্তু কেন্দ্র চেয়ে চেয়ে মজা নেয় কিন্তু কোন প্রতিকার করেনা। খসে যাওয়া বিপুল পরিমান জল চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এমন চলতে থাকলে তিনি দিন দিন আরো রোগা হয়ে যাওয়ার আগেই পশ্চিম বংগকে ভারত থেকে আলাদা করে পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয়ার হুমকি দেন।
এ বয়সেও এতো জল খসার ব্যাপারে মমতার অনুভূতি কি জানতে চাওয়া হলে তিনি তার অনুভূতি কিংবা মন্তব্য জানাতে অস্বীকার করেন।
মমতার এমন হুমকি শুনে তড়িঘড়ি করে রাজ্য পুলিশ তিস্তা ব্যারাজের পানি প্রবাহের উপর নজরদারি শুরু করেছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।
এমতাবস্থায় মমতার খসে যাওয়া জল আটকাতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ এবং তাদেরকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ সদস্যরা হলেন বিখ্যাত চিত্রাভিনেতা রজনীকান্ত, বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড় নভজাত সিং সিধু ও বিখ্যাত হকি খেলোয়াড় ধনরাজ পিল্লাই।
এ কমিশনকে ফেনটাসটিক ফোর নামে অভিহিত করেছে এবং একটি ৪ পাতার রঙ্গীন ফিচার ছেপেছে আনন্দবাজার পত্রিকা ।
কেন তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশনকে ফেনটাসটিক ফোর ডাকা হচ্ছে, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে মৃদু হেসে ধনরাজ পিল্লাই মতিবেদককে বলেন, বুঝেনইতো..... চতুর্থ জনের নাম উল্লেখ করা বারণ আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মমতা এই কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তদন্ত বিষয়ে রজনীকান্তকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আগামীকাল তারা দুপুরে ভাত খেয়ে তিস্তা অভিমুখে হেলিকপ্টারে যাত্রা করবেন।