সময়টা ১৯৯৮,
আমার বন্ধু এসে সংবাদ দিল গ্রামে নাকি এক দূধর্ষ শিবির ক্যডার এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয় থেকে।
দেখার খুব ইচ্ছা হল।
ছোটবেলা থেকেই ভিলেন চরিত্রের প্রতি আমার দূর্বলতা ছিল।
দেখার জন্য দ্রুত ঐ বাড়িতে হাজির হলাম। আমি খুবই ভীত ও সতর্ক ছিলাম, হাজার হোক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে দেখতে যাচ্ছি, না জানি কি হয়।
চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম লোকটি কোথায়, চাচার দেখানো ঘরের ভেতর ধীরে ধীরে প্রবেশ করলাম, আমার বুক ধুক ধুক করছিল, দরজার পর্দাটা সামান্র সরাতেই একজন নূরানী চেহারার হালকা দাড়ির এক লোককে চোখে পড়ল, আমি তাকে গুরুত্ব দিলাম না অন্য কেও আছে কি না তা খুজে দেখলাম,
আসলে আমিতো সন্ত্রাসীকে দেখতে গিয়েছিলাম।
না পেয়ে আবার চাচাকে বললাম লোকটি কোথায় তিনি আবার ঘরটি দেখিয়ে দিলেন।
আমি এবার সাহস করে ঘরে প্রবেশ করলাম, তিনি আমাকে সুন্দর মিষ্টি ভাষায় স্বাগত জানালেন ও সালাম দিলেন।
আমি তো হতবাক, ভার্সিটি পড়–য়া একজন এত বড় মানুষ আমাকে সালাম দিচ্ছে!
পরে ভাইয়ার সাথে অনেক কথা হল। তিনি আমাকে শিবির সম্পর্কে বললেন পাশাপাশি নামাজ পড়া, বাবা-মা, বন্ধুদের সাথে ভাল ব্যবহার করার কথা বললেন।
আস্বর্য, যাকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখতে গেলাম সেই আমাকে তার মধুর ব্যবহার দিয়ে আমারক বন্ধু বানিয়ে দিলেন।
আমি সেই দিনই শপথ নিলাম এই যদি হয় শিবির তাহলে হ্যা আমিও আজ থেকে শিবির.............