somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোটগল্প "অবহেলা"

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রচণ্ড খররোদ্রের মধ্যেও ধীরেন্দ্র কুঠার কাঁধে নিয়ে হাঁটছে। সূর্যের তেজস্বীতা তার কপালে যেন ঘাম দিয়ে তিলক এঁকে দিয়েছে। বায়ু সমুদ্রে ডুবেও আমরা যেমন ভুলে যাই বায়ুর অস্তিত্বের কথা তেমনি ধীরেন্দ্রও প্রতিনিয়ত রোদ্রের মধ্যে কাজ করতে করতে ভুলে যায় সূর্যের তেজস্বীতার কথা! রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, অনাহারে-অনিদ্রায়, হতাশার তীব্রতায় সে অনেকটা কৃষ্ণবর্ণের হয়েছে। ধীরেন্দ্র রং ফর্সাকারী কোন ক্রীম বা পারফিউম জাতীয় কোন বস্তুর সাথে পরিচিত নয়। জীবনের পরতে পরতে যার দুঃখ গাঁথা, নুন আনতেই যার পান্তা ফুরায় অবস্থা তার জীবনে আবার পারফিউম!

আঁকাবাঁকা পথ ধরে ধীরেন্দ্র হাঁটছে। সামনেই মোল্লা বাড়ি। বেঁচে থাকার তাগিদে তাকে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ভিন্ন ভিন্ন স্বভাবের লোকেদের দ্বারস্ত হতে হয়। ধীরেন্দ্র পুরুপুরি ধার্মিক নয়। পরিস্থিতির দৈবপাকে পড়ে সে কোন কোন মুসলিম বাড়িতে গো মাংসও খেয়েছে। যখন যে প্রজাতির খাদ্য তার ভাগ্যে জুটে তখন সে প্রজাতির খাদ্যকেই সে হালাল মনে করে খায়। ধীরেন্দ্রর মত সমাজের বেশির ভাগ মানুষই পুরোপুরি ধার্মিক নয়। গোপনে ধর্মের চেয়ে অধর্মের কাজই বেশি করে। তবুও সামাজিক অবস্থান দৃঢ় করতে, সামাজিক কিছু সুযোগ-সুবিধার জন্য ধর্মের লেবাস পড়ে। ধীরেন্দ্র ধীরে ধীরে মোল্লা বাড়িতে প্রবেশ করতেই আবুল মোল্লা রুম থেকে বেরিয়ে এসে বলে - এত দেরি করলে যে?
- রাছেদ বাবুর বাড়িতে সামান্য কাম কারিয়্যা আইছি।
- জীবন ভরা তো কাজই কইরা খাইবা, ত্বয় সময়রে একটু মূল্য দিয়ো।
এরপর আর কথা না বাড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে কিছু কাঠ দেখিয়ে বলে - ঐ যে ... ঐগুলা । তাড়াতাড়ি ফারবা।
- জ্বে, বাবু হুজুর।
- বাবু হুজুর! বাবু হুজুর আবার কি? ‘বাবু’ কথায় কেমন যেন হিন্দু হিন্দু গন্ধ পাই। আমার এখানে ওসব চলবে না। তুমি প্রয়োজন মনে করলে ‘হুজুর’ বইলাই ডাইকো।
- জ্বে আইচ্ছা।


ধীরেন্দ্র নিরলস গতিতে কাজ করে চলেছে। লজ্জা যেমন নারীর ভূষণ তেমনি পরিশ্রমকেও সে পুরুষের অলংকার হিসেবে দেখে। সে জীবনভরা কাজ দেওয়া প্রভুদের ‘বাবু’ কিংবা ‘হুজুর’ বলেই ডেকে আসেছে; যাতে প্রভুদের একটু অনুগ্রহ মিলে। এই প্রখর রোদ্রের মাঝে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক কুড়াল চালাবার পর সে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। বেশ জোরে জোরে হাঁপাচ্ছেও। আবুল মোল্লা বারান্দায় চেয়ারে বসে ধীরেন্দ্রর কাজ দেখছে। হাঁপানির ঈষৎ শব্দ শুনে শুধায়- “কি হে এখনই হাঁপাইতেছ?” বাকী কাজগুলা করবা ক্যামনে?
আবুল মোল্লার কথাতে সে একটু লজ্জাবোধ করে। কেননা সে বেশি কাজ করাকেই গর্ববোধের বিষয় বলে মনে করে। সে আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে। একটু পরে জাকারিয়া ক্লান্ত-শ্রান্ত ঘর্মাক্ত দেহে বাড়ি ফিরে। সে আবুল মোল্লার বড় ছেলে। দেখতে বেশ নাদুস-নুদুস। ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। চেহারায় ভাল হলেও পড়াশুনায় সে তেমন একটা ভাল নয়। তাছাড়া প্রায়শই সে স্কুল ফাঁকি দেয়। এসব ঘটনা তার পরিবারের কারও অজানা নয়। তাই আবুল মোল্লা ঈষৎ সন্দেহের স্বরে জিজ্ঞেস করল – “কিরে এত সকালেই তোর স্কুল ছুটি অইছে?”

-সকাল কই, দেখ না দেড়টা বাজে। আর আইজকা তো বিশুদবার, তাই দুপুর বেলাতেই ছুটি অইছে।
- ও... হ্যা, বিশুদবার! ... যা ঘরে যা; শার্ট খুইল্লা ফ্যানের নিচে গিয়া বিশ্রাম নে।

ঘরের দরজা খোলা ছিল। বাহিরের আলো বাতাস ঢুকার জন্য প্রবেশ পথের পর্দাটাও সংকোচন করে রাখা হয়েছে। পর্দা সংকোচিত থাকায় বাহির থেকে ভেতরের প্রায় অনেক কিছুই স্পষ্ট দেখা যায়। দ্বিতল বাড়ি। বেশ পরিপাটি। বাড়ির সামনে ও পিছনে ছোট পরিসরে ফুলের বাগান রয়েছে। বাগানে হাসনাহেনা, অর্কিড, জুই, চামেলি, শিউলি, গোলাপ প্রভৃতি বাহারি রঙের দেশি বিদেশি ফুলের গন্ধে বাড়িটি যেন সার্বক্ষণিক মৌ মৌ করে। আবুল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া বোন মারুফাই ফুলের বাগানের পরিচর্যা করে। ফুলের চাষ করা কিংবা পরিচর্যা করা তার পেশা না হলে অনেকটা নেশার মত হয়ে পড়েছে। অবশ্য তার এসব কর্মে আবুল হোসেনেরও প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। জাকারিয়া সুইচ টিপে ফ্যানের নিচে বসে। ফ্যানের পাওয়ার বাড়িয়ে দিতেই তা দ্বিগুণ গতিতে শাঁ শাঁ শব্দ করে ঘুরে। বাতাসের প্রাবল্যে দেয়ালে টাঙ্গানো দিনপঞ্জিকার পাতাগুলোও এলোপাথারি ওড়ছে।


একটু পর জাকারিয়ার মা গ্লাস ভর্তি শরবত নিয়ে আসে। স্নেহার্দ কণ্ঠে বলে- “খাও বাবা”। জাকারিয়া ঈষৎ মাথা তুলে বলে- “শরবতের মধ্যে চিনি বেশি দিছ তো !”
-হ্ দিছি।... খাইয়া কল থেইক্কা হাত-মুখ ধুয়ে আসো।

ডাইনিং টেবিলে জাকারিয়ার মা ভাত তরকারি রেখে নিজে আলনাতে রাখা এলোমেলো কাপড়গুলো ভাঁজ করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এরই ফাঁকে কী মনে করে যেন হন্তদন্ত হয়ে খেতে বসে জাকারিয়া। ক্ষুধার্ত জঙ্গিদের মত মাংস খেতে খেতে বলে – “মা মুরগির রান কই? রান দিলা না?”
- জাল দিয়া রাখছি; রাতরে খাইবা।

এরই মাঝে কে একজন বাড়ির পিছন দিক থেকে তাকে চুপি স্বরে দু’টি ডাকও দিয়ে যায়। ডাকের শব্দ সে বুঝতে পারে। আধুনিক প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেমন কিছু সাংকেতিক বুঝাপড়া থাকে তেমনটি দেখা যায় শিশুদের মধ্যেও। পূর্ব বুঝাপড়া না থাকলে সবার ইঙ্গিত সব সময় বুঝা যায় না। কেবল বুঝাপড়া করা ব্যক্তির পক্ষেই সে ঈঙ্গিতের ভাষ্য হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব। জাকারিয়া তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে তার রুমে আসে। খানিক পর বল নিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় তার মা জাহানারা বলে - অহন এত রোদ্রের মাঝে খেলার দরকার নাই। ফ্যানের নিচে শুইয়া বিশ্রাম নেও। জাহানার বেগমের অনুশাসনের ক্ষীণ কণ্ঠস্বরও আবুল মোল্লা শুনে ফেলল। বাড়ির কোন প্রকারের ত্রুটি-বিচ্যুতিও যেন তার চোখ এড়ায় না।

সে শুনামাত্রই বজ্রকণ্ঠের মত হুঙ্কার দিয়ে বলল - “এই রোদ্রের মধ্যে কোন খানে যাওন যাইবো না। যা ভিতরে যা”। জাকারিয়া অগ্যতা আর কোন উপায় অন্তর না দেখে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তারপর একবুক হতাশা নিয়ে নিজের রুমে ফিরে যায়। তার দেহটা নিজের রুমের মধ্যে থাকলেও মনটা যেন পড়ে রইলো বাহিরে! নীড়হারা পাখির মত প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তেই সে ছটফট করতে লাগলো। সে তার মাকে যতটা না ভয় পায় তার চেয়ে বেশি ভয় পায় তার বাবাকে।


ধীরেন্দ্র কাজের ফাঁকে ফাঁকে অতি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে কেউ যাতে বুঝতে না পারে এমনভাবে ওদের কার্যকলাপ দেখার চেষ্টা করে। ক্রমে রোদ্রের তেজস্বীতা আরও বাড়তে থাকে। দূর আকাশের গায়ে লেপ্টে রয়েছে সাদা মেঘের ভেলাগুলো। আশেপাশে কোথাও পাখপাখালির কিচিরমিচির শব্দের লেশও নেই। বৃক্ষগুল্মও রোদ্রের তেজস্বীতায় কেমন যেন টলে পড়েছে। সজীব প্রকৃতি কেমন যেন নির্জীব হয়ে ওঠছে। একজন মানুষ ছাড়া আশেপাশে আর মানব কোলাহলের লেশও নেই। প্রচণ্ড রোদ্রের মাঝে একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করায় সে এতটাই ঘেমেছে যে, তাকে দেখলে মনে হবে যেন এইমাত্র সে গোসল করে এসেছে; যে শরীর এখনো মুছা হয় নি! প্রচণ্ড রোদ্রের তাপে ধীরেন্দ্রর মুখ আরও কৃষ্ণবর্ণ হয়ে পড়েছে। কুড়াল চালাতে চালাতে তার হাতের তালু পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে। হাতের দিকে কখনো তাকিয়ে দেখার অবকাশ হয় নি তার; হয়তো হলেও সে তা দেখে না। হাতে ফোসকা পড়ে সেখানে কালো হওয়াতে তার মুখ থেকে কখনো আফসোসের শব্দ পর্যন্তও বের হয় নি। কেনানা ধীরেন্দ্র জানে, সোনার চামুচ মুখে নিয়ে তার জন্ম হয় নি।
পারিবারিক শত অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই তাকে বেড়ে উঠতে হয়েছে। যে বয়সে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেত সে বয়সেই তাকে সংসার চালানোর জন্য টুকটাক কাজ করতে হত। বয়স একটু বেড়ে কৈশোরে পদার্পণ করতেই তার হাতে তুলে দেওয়া হল কুড়াল!

ধীরেন্দ্র কৈশোরেই তার বাবাকে হারিয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর পর তাকেই সংসারের হাল ধরতে হল। কুড়ালই হয়ে উঠলো তার উপার্জনের একমাত্র হাতিয়ার। অনেকেই উত্তরাধিকার সূত্রে দামি দামি অনেক কিছুই পায়, কিন্তু ধীরেন্দ্র পেল কুড়াল! তার পিতাকে সে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছে। শিশুরা নাকি দেখে দেখেই শিখে। ছোটবেলা থেকেই সে তার বাবাকে কখনো কাজ করতে করতে ক্লান্ত হতে দেখে নি। এই কর্মস্পৃহা তার মধ্যেও রপ্ত হল। কৈশোর বয়স থেকেই সে যেমন পরিশ্রমী হয়ে উঠলো তেমনি হয়ে উঠলো আত্মপ্রত্যয়ী।
বর্তমানে ধীরেন্দ্রর বয়স প্রায় ষাট ছুঁই ছুঁই করছে। বড় একটি সংসারের ঘানি টানতে টানতে এতদিনেও সে তার ভাগ্যকে বদলাতে পারে নি। বয়স বেড়ে যাওযার কারণে পুষ্টিহীনতায় আর নানা রোগ-শোকে তার শরীর আগের থেকে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। শরীর তার দুর্বল হয়েছে বটে কিন্তু মন এখনো সবল! প্রকৃতির অদৃশ্য শাসন হতে কোন কালেই কেউ রেহায় পায় নি। রূঢ় বাস্তবতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কাজেই ধীরেন্দ্রও পারে নি। কষ্টের তীব্রতায় বের হয়ে যাওয়া হাঁপানির শব্দ সে নিরন্তর চেষ্টা করে থামাতে কিন্তু ইচ্ছে করলেই সব নিয়ন্ত্রন করা যায় না। ধীরেন্দ্র হাঁপানি শব্দকে দূরীভূত করার চেষ্টা করলেও হাঁপানি শব্দ কিন্তু ধীরেন্দ্রকে ছাড়ছে না! শেষটায় আর কুল রক্ষা হল না। এই প্রখর রৌদ্রের মাঝে একাধারে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা কাজ করার পর ধীরেন্দ্র উঠানের বড় কাঠের উপর বসে পড়ল। তবু নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টাচ্ছলে বলল – “হুজুর হামাক একটু পানি ...? কথাটি সে শেষ করতে পারলো না। কিছুটা লজ্জা, ভয়, জড়তা তাকে যেন থামিয়ে দিল তার অজান্তেই।


আবুল মোল্লা বারান্দায় বসে জমিদারী ঢঙ্গে হুক্কা টানাছিল। তার পূর্বপুরুষ অবশ্য কেউ জমিদার ছিল না। জমিদার না হলে কী হবে জমিদারদের কায়দা-কানুন সে বেশ ভালভাবেই রপ্ত করেছ। তামাক টানার হুক্কাটা বেশ পুরনো। হুক্কায় পুনঃপুন টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ধীরেন্দ্রকে বলল- “বারান্দায় আস”। তামাকের হুক্কা চেয়ারে রেখে কী যেন বিড়বিড় করতে লাগলো। এরপর সে কি মনে করে নিজে ভিতরে চলে গেল।

প্রায় মিনিট পাঁচেক পরে আবুল মোল্লার বউ ভাঙ্গা থালিতে পান্তা ভাত আর পানি নিয়ে এল। ভাত দেখে মনে হল কয়েক দিনের বাসী আর গ্লাস ছিল কুচকানো ময়লাযুক্ত। বারান্দার মেঝতে সেগুলো রেখে বলল – “খাও। খাইয়া শক্তি বানাও। তারপরে বাকী কামগুলা তাড়াতাড়ি শেষ কর”। আবাসিক এলাকা হলেও এ এলাকায় গ্যাসের সংযোগ এখনো হয় নি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকার ধনী, গরিব সকলেই কাঠকে প্রধান জ্বালানি হসেবে ব্যবহার করে রান্না-বান্নার যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করে। আবুল মোল্লার বউয়ের মাথায় কোন ঘোমটা ছিল না। অবশ্য অন্য মুসলিম পুরুষরা আসলে পর্দা মেনে চলে। ওদের হয়ত ধারণা, পরিচিত নিচু শ্রেণির কোন পুরুষ লোকের সামনে ঘোমটা বা পর্দা না থাকলেও গুনাহ নাই! কিংবা এই শেণির লোকদের মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না ওরা।

পেটে ক্ষুধা এত বেশি ছিল যে, ধীরেন্দ্র কোন কথা না বলে খাওয়া শুরু করে। ভাঙ্গা থালা আর কোচকানো গ্লাস দেখে সে খুব একটা অবাক হয় নি। কেননা, জীবনে এরূপ অসংখ্য ঘটনার বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। খাওয়া শেষ করে প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সে সব কাজ শেষ করে ফেলে। মুজুরি চুক্তি করা ছিলো ৫০ টাকার। কষ্ট বেশি হলেও তাই সে এর বেশি চাইতে পারে না। আবুল মোল্লার বউ ভাঙ্গা থালা আর কুচকানো গ্লাস নলকূপের কাছে নিয়ে কী যেন বিরবির করে তিনবার পানি ছিটা দিয়ে ধুয়ে ফেলল। একটু পর সে ভাঙ্গা থালাতেই মোরগ-মুরগির জন্য শুকনো ভাত খেতে দিল। ধীরেন্দ্র টাকা নিয়ে এক হাতে কুড়াল অন্য হাতে শরীর মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেল। চরম অবহেলায় পর্যবশিত হয়ে অজান্তেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে গেল- উহ্!
তপ্ত আকাশে চিলের ক্ষীণ ডাক মুহূর্তেই ম্লান হয়ে যায় মহাকাশের গভীর থেকে গভীরে।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×