somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনার স্বাস্থ্যঃ পাঁচমিশালী স্বাস্থ্য কথা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাঁচমিশালী স্বাস্থ্য কথাঃ

আদার রসের উপকারিতাঃ

১. আদার রস খেলে আহারে রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে।
২. আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি সারে।
৩. আদা মল পরিষ্কার করে।
৪. আদার রসে পেটব্যথা কমে।
৫. আদা পাকস'লী ও লিভারের শক্তি বাড়ায়।
৬. আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৭. আদার রস শরীর শীতল করে।
৮. আদা রক্তশূন্যতা দূর করে।

শীতকালে বেশি বেশি পানি পান করুনঃ

১. শীতকালে অনেকেই পানি পান কমিয়ে দেয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই বেশি পানি পান করুন।
২. মেটাবলিজম বাড়াতে বেশি পানি পান করুন।
৩. পানির অভাবে ডিপ্রেশন বা ক্রনিক ফেটিগ সিনড্রম দেখা দিতে পারে। তাই বেশি পানি পান করুন।
৪. মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতে বেশি পানি পান করুন।
৫. হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে পানি পান করুন।
৬. শীতকালে অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে। তাই অ্যাজমার আক্রমণের সময় পানি পান করলে আরাম পাওয়া যায়।

মহিলাদের রজঃনিবৃত্তির পূর্ব লক্ষণঃ

১. মাসিক রক্তক্ষরণ অনিয়মিত হয়ে যায়। রক্তক্ষরণ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা মাঝে মাঝে একটু একটু হতে পারে। আবার রক্তক্ষরণ প্রথমে বন্ধ হয়ে কয়েক মাস পর আবার চালু হতে পারে। বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে রজঃনিবৃত্তি ঘটে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে।
২. হটফ্লাশ (Hotflash) বা গরমের ঝলক লাগা।
৩. ঘুমের অসুবিধা। অনেক সময় সারা রাত ঘুম আসে না।
৪. মুড পরিবর্তন, সব সময় মেজাজ খারাপ থাকা, কোনো কিছু ভালো না লাগা এবং সমান্য কোনো কারণেই ডিপ্রেসড হয়ে পড়া।
৫. যৌন অভ্যাস পরিবর্তন- বেশির ভাগ মাহিলার ক্ষেত্রে যৌন চাহিদার পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
৬. যোনিপথ কম ভেজা ও ছোট হয়ে যেতে পারে।
৭. হাড় ক্ষয়ে যাওয়া- ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে হাড় সহজেই ক্ষয়ে যায়।
৮. কোলেস্টেরল লেভেলের পরিবর্তন- শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে রক্তে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে মহিলাদের হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৯. বুক ধড়ফড় করা।
- এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করুন।

ডায়াবেটিস চিনবেন কিভাবেঃ

১. গলা শুকিয়ে যাওয়া, বারবার পানি পিপাসা, পানি খেলেও পিপাসা না মেটা।
২. বারবার ক্ষুধা লাগা। কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া।
৩. চোখে দেখতে অসুবিধা।
৪. শরীরের কোথাও কেটে গেলে কিংবা আঘাত পেলে তা তাড়াতাড়ি সারে না।
৫. মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দেখা যায়।
৬. বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা।
৭. ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
৮. ৩৫ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত ডায়াবেটিসের চেকআপ করা জরুরি।
৯. ডায়াবেটিস আছে কি না তা জানার জন্য ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট জরুরি। এ ছাড়া ব্লাড সুগার পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা দ্বারাও জানা যাবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কি না।

শীতের সবজি মুলাঃ
১. শীতকালে কাঁচা মুলা খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
২. মুলাশাক বেশি খেলে প্রস্র্রাব ও মল ঠিকমতো পরিষ্কার হয়।
৩. কচি মুলার সালাদ খেলে ক্ষুধা বেড়ে যায়।
৪. অর্শ রোগে মুলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. কচি নরম মুলা শরীরের সব রকম দোষ দূর করে।

ডিপ্রেশন বুঝবেন বিভাবেঃ

১. শরীর-মন জুড়ে শুধুই ক্লান্তি। কোনো কাজে উৎসাহ না থাকা, ক্ষুধামন্দা ভাব অথবা অতি ক্ষুধা।
২. মন খারাপ। কোনো কিছু ভালো না লাগা।
৩. সব সময় ডিপ্রেসড মুড। প্রায়ই কান্না পায়। সব কিছু থেকেই আনন্দ হারিয়ে যাওয়া।
৪. অল্পতেই রেগে যাওয়া বা বিরক্ত হওয়া। খিটখিটে মেজাজ। আত্মবিশ্বাসের অভাব। অপরাধবোধে ভোগা।
৫. ঘন ঘন মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা।
৬. মনোযোগের অভাব। মাথা ধরা। হাতপায়ে জ্বালা-যন্ত্রণা হতে পারে। সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, কিন' কিছুতেই ঘুম আসে না।

টক দই কেন খাবেনঃ

১. দই পাকস'লীতে খাবারের পচন প্রতিরোধ করে।
২. দই পেটে গিয়ে ভিটামিন বি তৈরি করে।
৩. দই পেটের ঘা সারাতে সাহায্য করে।
৪. দই কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে।
৫। দই অকাল বার্ধক্য ও চুলপাকা বন্ধ করে।

মনে রাখবেন, টক দই পেটকে শক্তিশালী করে। মিষ্টি দই গ্যাস তৈরি করে।

ক্যান্সারমুক্ত জীবনের জন্য ১০টি অভ্যাসঃ

১. অধিক হারে টাটকা শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. অধিক আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
৩. ভিটামিন এ জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করুন।
৪. ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অধিক গ্রহণ করুন।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
৬. উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৭. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৮. পান, জর্দা, তামাক সেবন বন্ধ করুন।
৯. মদপানে বিরত থাকুন।
১০. আচার, কাসন্দ, শুঁটকি এবং লবণ দেয়া মাছ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

গলব্লাডারে পাথরঃ

লিভারের ঠিক নিচে পেটের ওপরের দিকে গলব্লাডার থাকে। গলব্লাডার আকারে ছোট থলির মতো। লিভার থেকে নিঃসৃত পিত্তরস গলব্লাডারে এসে জমা হয়। পিত্তরস, চর্বি এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার হজমে সাহায্য করে। পিত্তরসের উপাদানগত ভারসাম্যের তারতম্য হলেই গলব্লাডারে পাথর তৈরি হয়। পুরুষদের থেকে মেয়েদের মধ্যে গলব্লাডারের পাথরের প্রবণতা অনেক বেশি। বিভিন্ন ধরনের গলব্লাডারের মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল গলস্টোন, ব্লাকপিগমেন্ট গলস্টোন এবং ব্রাউন পিগমেন্ট গলস্টোন। সাধারণভাবে গলব্লাডার পাথরের প্রধান লক্ষণ ডান দিকের ওপরের পেটে ব্যথা। ব্যথা অ্যাকিউট এবং ক্রনিক হতে পারে। অ্যাকিউট ব্যথা- আচমকা ভয়ানক যন্ত্রণা এবং ক্রনিক ব্যথা অর্থাৎ অল্প করে ব্যথা হতেই থাকে। ব্যথা শুরুর আগে বেশ কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন- খাবারে রুচি না থাকা, গলা-বুক জ্বালা, গ্যাস, বদহজম, পেট খারাপ, বমি বমি ভাব বা বমি। এ ধরনের পূর্ব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার ব্যবস'া দেবেন। অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে হোমিওপ্যাথিতেও গলব্লাডার পাথরের জন্য ভালো চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন : আইএইচএমআর, মোবা : ০১৭১২৮১৭১৪৪।

চুলপড়ার নানা কারণঃ
১. অতিরিক্ত ধূমপান,
২. অধিক সময় সূর্যের আলোতে থাকা,
৩. সুষম খাবারের অভাব,
৪. ভিটামিন ই-এর অভাব,
৫. জিংকের অভাব,
৬. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা,
৭. বংশগত কারণ,
৮. খুশকি,
৯. মাথায় তেল না দেয়া,
১০. দুশ্চিন্তা,
১১. রাতজাগা এবং
১২. মেয়েদের সাদা স্রাব এবং মাসিকের গণ্ডগোল।

- চুলপড়া প্রতিরোধে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল এবং দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন।

-আইএইচএমআর ফিচার

সুত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত (১৮.১২.২০১১)
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×