somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডায়েরীর পাতা থেকে--------আমি এক বহুরূপী নারী

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি এক বহুরূপী নারী

ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলাম আমি। খুলনা শহরের যে এলাকায় আমরা থাকতাম, তার আশপাশ এলাকায়ও আমারা রূপের খ্যাতি ছিল। আমি তখন ক্লাস টেনের ছাত্রী। মুক্তিযুদ্ধ চলছে তখন। পাকবাহিনী আর রাজাকারদের ভয়ে আমাকে বাড়িতে রাখা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। তাই বাবা তড়িঘড়ি করে তার এক বন্ধুর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। আমার স্বামী আমাকে পেয়ে আত্মহারা।

যুদ্ধ শেষ হলে আমি পড়াশোনা শুরু করতে চাইলে আর পড়তে দেননি অফিসে ছুটির মাঝে মধ্যে আমাকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াতেন। সে সময় তার পছন্দের পোশাক শার্ট-প্যান্ট, স্কার্ট, স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে হতো আমাকে। আবার তার পরিবারের কারও বাড়িতে বেড়াতে গেলে বোরকা পরে যেতে হতো। এভাবে বহুরূপী হয়ে উঠি আমি। এক সময় আমার স্বামী চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। শুরু হয় আমার নতুন জীবন। ব্যবসায়িক পার্টিতে আমার স্বামী আমাকে শোপিস হিসেবে উপস্থাপন করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে আমার দু'দুটি সন্তান হয়ে গেছে। আটকা পড়ে গেলাম আমি। কারণ আমার নিজের কোনো যোগ্যতা নেই। নির্ভরশীলও হয়ে গেছি ততদিনে। চলতে থাকে আমার বহুরূপী এবং বিচিত্র জীবন। আমার দুটি সন্তানই জড়িয়ে পড়ে অন্ধ জগতে। টাকার জোরে ওদের পাঠিয়ে দেই দেশের বাইরে। একা আমি সব সময় ভাবি, কেন এমন হলো আমার জীবন! দায়ী করি আমার স্বামীকে। কোনোদিন মাফ করব না তাকে আমি।

শারমিন খান

সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ (চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত) ২৫.০১.২০১২
===========================

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শারমিন খান বুঝতে পারছেন দাম্পত্য জীবনে কত বড় ভূল করেছেন। স্বামীর কথামত চলতে গিয়ে নিজেই অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অনাদরে বেড়ে উঠা শারমিন খানের সন্তানরা ও ভাল মানুষ হতে পারেনি।

শারমিন খানকে বহুরূপী করার পেছনে তার স্বামীই দায়ী। স্বামী তাকে শোপিস হিসেবে উপস্থাপন করে অর্থ উপার্জন করেছে।

অনেক স্বামী তার স্ত্রীকে ব্যবসায়িক কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে । আজকাল বিভিন্ন পার্টিতে কি হচ্ছে সবারই জানা। উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোতে বাবা-মার উগ্র চালচলনের প্রভাব তাদের সন্তানদের উপর পড়ছে। একসময় সন্তানরাও অন্ধকার পথে পা বাড়ায়।

ধর্মীয় ও নৈতিকতা ভুলে গিয়ে দুনিয়ার চাকচিক্য যারা মগ্ন থাকে তাদের অবস্থা শারমিন খানের মতই হয়। সবকিছু হারিয়ে একসময় নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তখন কেউ পাশে থাকে না---------শধুই শূন্যতা--- নীরবতা---হাহাকার----



ঘরে বেহায়াপনা মেনে নেয়ার পরিণাম কি?

”তিন শ্রেণীর লোকের জন্য আল্লাহ তায়ালা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। অব্যাহতভাবে মদ পানকারী, পিতা-মাতার অবাধ্যজন এবং এমন বেহায়া যে তার পরিবারের অশ্নীলতাকে মেনে নেয়।”

(ইবনে উমার (রাঃ) থেকে মার্ফু সুত্রে বর্ণিত) আহমদ, সহীহুল জামে ৩০৪৭

আর বর্তমানে নির্লজ্জতার ও অশ্নীলতার স্বরূপ হল, পিতার দেখেও না দেখার ভান করা যখন কন্যা বা স্ত্রী টেলিফোনে পরপুরুষের সাথে কথোপকথনে রত থাকে । তার পরিবারের কোন মহিলার কোন অন্য পুরুষের সাথে একান্তে থাকাতে সে মেনে নেয়। অনুরূপ তার বাড়ীর কোন মহিলাকে গায়র মাহরাম ড্রাইভারের সাথে একা যেতে ছেড়ে দেয়। আর (তার বাড়ির) মহিলাদের বেপর্দা ঘুরা-ফেরা করতে অনুমতি দেয়। ফলে সকাল ও সন্ধ্যায় আগমন ও প্রত্যাগমনকারীরা তাদের খুব পরিদর্শন করে। অনুরূপ নোংরা সিনেমা, অথবা (অশ্নীলতায় ভরা) পত্র পত্রিকা ঘরে আনে, যা থেকে ফিৎনা ও ফ্যাসাদ এবং এমন নির্লজ্জকর জিনিষ সংঘটিত হয়, যা উল্লেখ যোগ্য নয়।

সুত্রঃ কতিপয় হারাম বস্তু যা অনেকে নগন্য ভাবে, পৃষ্টা -৬৫
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×