somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেনারেশন নেক্সট !

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আব্বার মোবাইল নোকিয়া। সাদা কালো ডিসপ্লে না, কালার ডিসপ্লে। ক্যামেরাও আছে পিছনে, ভিজিএ। তবে সেই ক্যামেরায় খুব বেশি ছবি তোলা হয় নাই। কারণ মোবাইলে মেমোরি কার্ড সিস্টেম নাই। আর মোবাইল মেমোরি কত সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যে ১০ মেগাবাইট বা এর চেয়ে কম কিনা।

তো সেই মোবাইলে ঈদের আগের দিন এসএমএস আসছে ১৭ টা ! ঈদ মোবারক জানিয়ে, আব্বা এসএমএস জিনিসটা ঠিক পড়ে না। ৪-৫টা পড়েছে, বাকিগুলো আসছে যখন ফোনটা চার্জে লাগানো ছিল। এসএমএস গুলো খুব মজার। খুব অফিশিয়ালি ইংরেজীতে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা। মেসেজের শেষে সেন্ডারের নাম এবং পদবী উল্লেখ করা ! এশার নামাজ পড়ে আব্বা বলল,'মেসেজগুলোর রিপ্লাই দেয়া দরকার, তুমি সুন্দর দেখে রিপ্লাই লিখে ড্রাফট করে নিয়ে আসো, আমি দেখব'। ড্রাফট মানে মোবাইল ড্রাফট না কিন্তু, কাগজে লিখে তাঁকে দেখাতে বলেছে ! উনি দেখে ঠিক করে দিবে।

এখন আমরা হইলাম এই যুগের ইয়ো ইয়ো কিডস! আমরা লিখি hw r u, f9,thnx, wlcm এমনে। তো লিখতে গিয়া বিপদে পড়সি। বার বার এম্নেই লিখা চলে আসে, আবার মুছে ঠিক করি। যাই হোক, মেসেজ লেখা হল। যেহেতু সারাক্ষণ ল্যাপটপ নিয়া বইসা থাকি, সেহেতু মাথা খাটায়া সব সেন্ডারের নাম পিসিতে টাইপ করলাম। তারপর সেন্ড করলাম। পাক্কা ২০ মিনিট লাগসে এই কাজ করতে। ভাবলাম বড় কাজ শেষ করসি। কিন্তু আব্বা বলে কথা, ওইটা ট্রেইলার ছিল। সিনেমা তখনো শুরু হয় নাই।

আব্বা ছোট প্যাডের তিনটা পাতা আমার দিকে এগিয়ে বলল, যাদের নাম লেখা আছে, তাদের সবাইকে ঈদ গ্রিটিংস জানিয়ে মেসেজ করে দাও। মেসেজটা আমাকে দেখায় নিও ! আমি কাগজ খুলে দেখি ৪০ টা নাম ! মেসেজ লেখা হল, সেন্ড করা হল, স্মার্ট আব্বার আনস্মার্ট ফোন দিয়েই।

ঈদের দিন, সকাল ১১ টার দিকে আব্বা গম্ভীর মুখে বলল, যাদের নাম দিসিলাম সবাইকে মেসেজ দিসিলা ? বললাম, হ্যাঁ, সবাইকে দিসি। আব্বা মুখ কালো করে বলল, ৪ জন রিপ্লাই দেয় নাই। বুঝলাম না !আমার মোবাইলে ঈদের মেসেজ আসছে সাকুল্যে ৫টা ! এর মধ্যে একটা ঈদ-উল-আযহার। যে পাঠাইসে সে এডিট করতে ভুলে গেসিলো! 

আর আমরা নাকি জেনারেশন নেক্সট!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:২৩
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×