২০০৮ সালের একটা ঘটনা বিবিসির একটা খবরে দেখলাম, এক মহিলার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে আর দৌড়াচ্ছে। চোখে পানি ধরে রাখতে পারলাম না। মানুষ কত জঘন্য কত নিকৃষ্ট হতে পারে ভাবা যায়। ঘটনাটা ঘটেছিল ফিলিস্তিনে। ঘটনাটা প্রায়ই চোখে ভাসে। সেই মহিলার দৌড়ানোর দৃশ্য কখনো ভোলার নয়।
এরা আসলে মানুষ না এরা ছিল ইসরাইল। এরা হল সেই নফরমান জাতি যাদের জন্য আল্লাহ বেহস্ত থেকে খাবার দিল তারপরও তারা আল্লাহকে অস্বীকারকারী করত। এদের থেকে এরচেয়ে অন্য কি আশা করা যায়। আজও তারা নিরিহ ফিলিস্তিনীদের উপর হামলা করে যাচ্ছে। খবরে দেখলাম ফিলিস্তনীদের মোট ভূখন্ডের প্রায় ৮৫ ভাগ তারা দখল করে রেখেছে। আজ আবার আমার দেশে সেদৃশ্য দেখলাম। আহ কোথায় আছি আমরা। মেয়েটার ছবিই আমার বারবার চোখে ভেসে উঠছে। ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশ তবে কি একই পথের পথিক? কখনো কি ভেবেছিরাম আমরা এ দৃশ্য আমাদের দেশে দেখব? আমরা কি ফিলিস্তিনের বাসিন্দা, আমরা কি ভাবতে পারছি আমাদের ঘরে বসে থাকতে হবে। ঘর থেকে বের হলে আমাদের চোখে মুখে বোমা মারা হবে। আজ এরকম নানা প্রশ্ন আমাকে তাড়া করে বেড়াছে। মাঝে মাঝে নিজের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় আমর দেশ কি বাংলাদেশ নাকি ঢের ভালো অন্য কোন দেশে বাস্তুহারাদের দলে রিপুজি হিসাবে রোহিঙ্গাদের মত করে কাটিয়ে দেয়া। সেখানে অন্তত আমার চোখে কেউ বোমা মারবে না। আজ যে মেয়েটার উপর বোমা মারা হল তার কি দোষ এমন কথা বহুবার শোনার পর আর বলতে ইচ্ছে করে না। নিরিহ পথচারী, বাস ড্রাইবারের উপর আমরা বোমা হামলা করে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিচ্ছি। কোখায় যাবে মানুষ। ইসলামের দোহাই দিয়ে আপনারা যে হারে মানুষ মারছেন। এর নাম কি ইসলাম? বাংলাদেশের ইসলামের রক্ষক কারা? বাংলাদেশের ইসলামী দল দাবীদার জামাত শিবিরের কথা একটু বলি, জামাত ইসলাম মানে কি? জামাত ইসলাম মানে আমার তরর্জমায় ইসলামকে একত্রিত করা। এরা কি ইসলামকে একত্রিত করল নাকি জামায়াত নামধারন করে ইসলামের নামে বোমা হামলা করে সারা বিশ্বে ইসলামের শান্তির ইমেজ নষ্ট করার ফায়তারা করছে। এরা ইসলামের নামের আড়ালে দেশে বিদেশে সন্ত্রাস করে বেড়াছ্ছে আর দেশে বিদেশে নানা প্রতিকূলতায় প্রতিত হচ্ছি আমরা। একটু বলতে চাই, এক লাদেনকে নিয়ে আমরা মোসলমানরা বিদেশে কতভাবে আক্রান্ত হচ্ছি। লাদেন ঘটনা ঘটাক বা না ঘটাক এক লাদেনের কারনে বিদেশে আমরা বাসে ট্রেনে কথা বলার সময় ইসলাম শব্দটা পর্যন্ত ব্যবহার করতে আমাদের ভয়ে থাকতে হয়। নাজানি আমাদের কেউ পিছু নিবে। এরা নানা ফতোয়া দেয়। এরাই বলেছিল নারী নেতৃত্ব হারাম। আবার এদেরই দেখি নারীদের আচলে বসে রাজণীতি করে। এদের ভন্ডামীর নানা নমুনা আর এদের মাঝে যে ইসলাম নাই তার নতুন করে বলার দরকার নাই। ক্ষমতা লোভী এজিদের দোষর সেই ভন্ড মওদুদী থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলামের দোহাই দিয়ে এরা নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। মোওদুদীর ফাসির রায় ফেরাতে হয় সৌদির বিশেষ অনুরোধে। আর সেই অনুরোদের কারনেই আজও নানান দেশে চক্রান্তকারী মোওদুদীর দোষরদের হাতে মোসলমানদের মার খেতে হচ্ছে। এর যদি ফাসি হত তবে হয়তো আমাদের আজ চরম পর্যায়ে পড়তে হত না। আমার ভয় হয় যদি সৌদির আবার কোন কুটচালে পড়ে আমাদেরও দেখতে হয় মানবতার বিরোধী অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়। দেশে বিদেশে লবিংতো এরা কম করতেছেনা।
হেফাজতে ইসলাম নামে নতুন একটা সংগঠনের ইদানিং নানা কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে। এরা কারা আমাদের কি একটু দেখা দরকার নয়। জামাত যেমন ইসলামের একত্রীকরনের কথা বলে আমাদের নানা সর্বনাশ করল। এর ব্যতিক্রম এখানেও দেখছি না। এরা বলতেছে হেফাজতে ইসলাম। এরা বলছে ইসলামকে হেফাজতকারী। এরা কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক। বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় কি শিখানো হয়। একটু খোজ নিয়ে দেখেন। দুনিয়া আর আখিরাত বলেন এরা কি শিখায়। ধর্মীয় ঘোড়ামী ছাড়া আর কিছু আমি দেখতেছিনা। ইসলামেই আছে সর্বকালের সব বিজ্ঞানের মূল তথ্য। এরা বিজ্ঞান থেকে দূরে। এরা সব সময়ই ব্রিটিশ আমেরিকান শিক্ষা ব্যবস্থা বিরোধী। এরাই আবার বলে এদের শিক্ষাকে ডিগ্রি মান দিতে হবে। স্কুল মাদ্রাসায় পড়া একটা ছেলে আর কওমী মাদ্রাসায় পড়া একটা ছেরে কোন ভাবে কি এক হতে পারে? হাসান জাকির ভাই একটা লেখিছিলেন, শয়তানের বাক্রে চরমনাই পীর। তিনি টেলিভিষনকে বলতেন শয়তানের বাক্র। নির্বাচনের আগে তিনি টিভিতে তিনার নির্বাচনী ইসতেহার পড়ে শুনায়। এখন কোথায় যাব আমরা। আপনি বলেন একটা করেন আরেকটা।
অনেক কথা বলার আছে এত সময় করে কেউ হয়তো পড়বে না। তাই ছোট করে একটু বলতে চাই। এরা এতদিন কোখায় ছিল। এরা যাদের বিরুদ্ধে বলছে তারা কি এখনো ইসলামের বিরুদ্ধে লিখছে। যদি না লিখে তবে কেন তাদের বিরুদ্ধে এখন এত আন্দোলন। কারা লিখছে তাও আমাদের জানা দরকার। জামাতীরা নানা ছদ্ম নাম নিয়ে ইসলামের নামে কটু কথা লিখে সাধারন মানুষকে খেপানোর চেষ্টায় রত। তাই আমাদের তা খোজ নেয়া দরকার। দয়াল নবীকে নিয়ে, ইসলামকে নিয়ে কোন ধর্ম বিদ্বেশী কটুক্তি করলে এর তীব্র নিন্দা জানাই এর্ং এর পিছনে অন্য কি স্বার্থ আছে আমাদের তা জানা দরকার। সেদিন ফেসবুকে একজন লিখল ইনোসেন্স অব মুসলিম ইউটিউবে দেখানোর কারনে আমাদের দেশে ইউটিউব বন্ধ থাকে। এখন আমারদেশ যেহেতু সেইসব নাস্তিক লেখা প্রচার করেছে। তাই আমারদেশ কি আমাদের দেশে বন্ধ করা উচিত নয়? আমারও প্রশ্ন এটা কি বন্ধ করা উচিত নয়? অনেক প্রশ্ন অনেক প্রশ্ন আমরা কি সত্য পথের দিশা পেয়েছি। ইসলামের কথা বলে এরা নানাভাবে আমাদের প্রতারিত করছে। আজ পর্যন্ত যে ছেলে গুলো মারা গেল এবং যারা গায়ে সাইদীর মুক্তি লিখে মিছিল করল। খবর নিয়ে দেখেন একজনও পাওয়া যাবে না যার বাবা জামাত করে। এদের কারো বাবা সৌদিতে, কারো বাবা আরব আমিরাতে বা ইউরোপ আমেরিকায়। এরা সেই সুযোগ নিয়ে ছেলেগুলোর ব্রেন ওয়াসের কাজটা করে নেয়। খালেদা হাসিনার কথা একটু বলি, বেশীর ভাগ মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অথচ বারবার এরাই ক্ষমতায় আসে এবং ভিন্ন কেউ আসবে বলেও মনেহয় না। খালেদা জিয়া পুতুলকে দেখি ইসলাম নিয়ে অনেক সচেতন। তিনি ইসলামের রক্ষক হিসাবে নানা ব্যক্তব্য দিচ্ছেন। তিনার কাছ থেকে কি অবশেষে আমাদের ইসলাম শিখতে হবে? তিনি বললেন শাহবাগে যারা যায় তারা সবাই নাকি নাস্তিক। আমার জিজ্ঞাসা আপনি কোন আস্তিক্ আপনার পর্দা কই। আপনার জন্য ম্যাকাপ আসে চীন আর থাইল্যান্ড থেকে। আপনার দলে যারা বাম রাজণীতি করত তারা কারা, আপনার পাশে যারা তারা কারা? আপনার কর্যক্রম আর বলার ইচ্ছা হচ্ছে না। আপনার দলে গেলে সব আস্তিক আর আওয়ামীলীগে গেলে মুরতাদ।
আওয়ামীলীগ করলে মুক্তিযুদ্ধা আর বাকি সব রাজাকার। এমন হাজারো পক্ষ বিপক্ষ দেখে আমাদের কি করারা আছে?
জামায়াতে ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম এরা কারা?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন