somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন কোন ষ্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা হচ্ছে তার বিবরনী

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

০১।
এবার বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য যে স্টেডিয়ামগুলো তৈরি করা হয়েছে, তার পেছনে খরচ হয়েছে ব্রাজিলের প্রায় তিনশো কোটি ইউরো৷ এতে কিন্তু ব্রাজিলিয়ানরা মোটেও খুশি নন৷ এই ছবিঘরে স্টেডিয়ামের কিছু নমুনা দেখুন৷


এটা পুরনো মারাকানা – ১৯৭৩

এই স্টেডিয়ামটি দেখলেই ব্রাজিলিয়ানদের পুরনো মারাকনার কথা মনে পড়ে যায়, ৯০-এর দশকে যা কিনা সব সামাজিক কর্মকাণ্ডের মিলনস্থল ছিল৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের জন্য এটা নতুন করে নির্মাণ করা হয়৷ এতে খরচ হয় ৪০০ মিলিয়ন, যা অনেক ব্রাজিলিয়ানের কাছেই জনগণের সম্পদ নষ্ট করার প্রতীক৷

০২।


সাঁও পাওলো – অ্যারেনা দে সাঁও পাওলো ‘ইটাকুয়েরাও’

এটা ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম, যেখানে ২০তম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার উদ্বোধন হয়েছে ১২ই জুন৷ ইটাকুয়েরাও নামটি কিন্তু শ্রমিকদের বসবাস এলাকার নামেই নামকরণ হয়েছে৷ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজের সময় দু-দু’টি দুর্ঘটায় তিনজন শ্রমিক মারা গেছেন৷ স্টেডিয়ামটি নতুন করে নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩১০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে খেলা দেখতে পারেন মোট ৬৫,৮০৭ জন ফুটবলপ্রেমী৷

০৩।


সালভাদোর দা বাইয়া – অ্যারেনা ফন্টে নোভা

১৩ই জুনের প্রথম শীর্ষ খেলাটি হয়েছে এই স্টেডিয়ামে৷ বিশ্বকাপ ফুটবলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং রানার্স আপ হল্যান্ডের মধ্যে ৷ সোমবারে এখানেই খেলা হবে জার্মানির সাথে পর্তুগালের৷ বিশ্বকাপের পরেও এই স্টেডিয়ামে খেলা হবে প্রথম বিভাগের একটি স্থানীয় দলের, যারা আন্তর্জাতিক খেলাতেও অংশগ্রহণ করে৷ স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ২৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ স্টেডিয়ামটিতে মোট ৪৮,৭৪৭ জন ফুটবলভক্তের জন্য জায়গা রয়েছে৷

০৪।


ফর্টালেজা – এস্টাডিও কাস্তেলাঁও

২,৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই মেট্রোপলিটান শহরে দুটো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব রয়েছে৷ এই ক্লাবগুলো সেরকম সফল না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওদের খেলা দেখতে বিশাল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়৷ এবারের বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে জার্মানির গ্রুপ পর্যায়ের দ্বিতীয় খেলাটি হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে মোট খরচ পড়েছে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো৷ এর ধারণ ক্ষমতা ৬৪,৮৪৬৷

০৫।


কুইয়াবা – অ্যারেনা পান্টানাল

বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিযোগিতা যেসব শহরে হবে, সেগুলোর মধ্যে কুইয়াবাই হচ্ছে সবচেয়ে ছোট, যার জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ লাখ৷ এটা জলাভূমি পান্টাল এলাকার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত আর এ কারণেই এই নামকরণ৷ এখানে সেরকম কোনো শীর্ষস্থানীয় ক্লাব নেই৷ তবে ২০১৬ সালে রিও ডি জানেরোতে যে অলিম্পিকের আসর বসবে, তার কিছু অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে এখানে৷ স্টেডিয়ামটির জন্য খরচ পড়েছে মোট ১৯০ মিলিয়ন ইউরো আর এর ধারণ ক্ষমতা ৪২,৯৬৮৷

০৬।


রেসিফে – অ্যারেনা প্যারনামবুকো

এই স্টেডিয়ামের নামকরণ এ রাজ্যের নামের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে৷ শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ খরচ আনুমানিক ২৫০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৪২,৮৪৯ জন ফুটবলপ্রেমী এক সাথে খেলা উপভোগ করতে পারেন৷

০৭।


মানাউস – অ্যারেনা দা আমাজনিয়া

বিশ্বকাপের শুরুতেই ইংল্যান্ড ও ইটালি – এই দুটি শক্তিশালী দলের মধ্যে খেলা হবে এই স্টেডিয়ামে৷ এখানে অনেকদিন হয়ত আর কোনো খেলাই হবে না, কারণ মানাউস-এর কোনো ক্লাবই জাতীয় লীগে খেলে না৷ ক্লাবটির নির্মাণ কাজের সময় চারজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল৷ স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ৪২,৩৭৪৷

০৮।


ব্রাজিলিয়া – এস্টাডিও ন্যাশনাল

এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য সবচেয়ে ব্যায়বহুল ও মর্যাদাপূর্ণ স্টেডিয়াম, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়৷ তাছাড়া এখানে তেমন কোনো ফুটবল ক্লাবও নেই৷ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়ার এই স্টেডিয়ামটি শহর থেকে বেশ দূরে অবস্থিত, যার নির্মাণ কাজে খরচ পড়েছে মোট ৬৩০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে মোট ৬৮,০০৯ জন মানুষ এক সাথে খেলা দেখতে পারেন৷

০৯।


রিও ডি জানেরো – এস্টাডিও ডো মারাকানা

সাবেক জাতীয় মনুমেন্টটি এখন অনেক ভক্তের চোখে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়৷ ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা হয়েছিল এখানে, যে খেলায় দর্শকের সংখ্যা ছিল ১৭০,০০০৷ তবে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে হয়ত এর অর্ধেক দর্শকও হবে না৷ তা সত্ত্বেও এটাই বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, যার নির্মাণ কাজে খরচ হয়েছে ৪,০০০ মিলিয়ন ইউরো৷ এখানে ৭৩,৫৩১ দর্শকের এক সঙ্গে খেলা উপভোগ করার জন্য জায়গা রয়েছে৷


......................................................
সুত্র: এখানে ক্লিক করুন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×