somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাউন্টি হান্টার: ছাগফারমার সাহেবের দুর্ধর্ষ অভিযান সিরিজ ২

২৫ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাউন্টি হান্টার: ছাগফারমার সাহেবের দুর্ধর্ষ অভিযান সিরিজ -১
৩ঃ

শেলির রুপের কথা কথা চিন্তা করে ছাগফারমার সাহেব আরো কিছুক্ষন ঝিম মেরে বসে থাকলেন। মনে করতে চাচ্ছিলেন না , কিন্তু যতবার এই আফ্রিকান আমেরিকান ওয়েট্রেস এর দিকে চোখ পরে, মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

উফ, এই শুকনা পাতলা হাড্ডিগুড্ডির দোকানের আফ্রিকান আমেরিকান ওয়েট্রেস এর দিকে তাকালে আরো বেশি করে বার বার শেলির আকর্ষনীয় শরীরের গাথুনির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এই কঙ্কালটাকে কোথা থেকে ধরে এনেছে ম্যানেজার হতচ্ছাড়া? আফ্রিকান আমেরিকান মেয়েদের কলংক হওয়া উচিত এই মেয়েটা।

এইযে, হাল আমলেও তো এখন কাল চামড়ার কত্ত কত্ত চোখ জুড়ানো আফ্রিকান আম্রিকান মেয়ে ব্রঙ্কস আর কুইন্স এর রাস্তাঘাটে দেখা যায়, সব কার্ডি বি বা মেগান স্ট্যালিওন এর কপি। তানপুরার জগতে কার্ডি বি এর তুলনা কি হয়? ৯০ এর দশকে চিন্তাই করা যেত না ছাগফারমার সাব আফ্রিকান আম্রিকান মেয়ে দেখে লোল টপকাবেন, বা বয়স হলে তানপুরা ভক্ত হবেন। সময় এক অদ্ভুত চিজ!

আজকে দিনটা মোটেও ভাল যাচ্ছেনা তার।

ছাগফারমার কিবরিয়া সাহেব আশা ছেড়ে দিলেন। এখন নিদেনপক্ষে চোখের আরামের জন্য হলেও কিছু করতে হবে, এই ব্রেস্টুরেন্তে বসে আর কিছু হবে না।
একটা উপায় অবশ্য আছে। "মাকু-পট্টি", অরফে মেক্সিকান পাড়া। নামে মেক্সিকান পাড়া হলেও আসলে সাউথ আমেরিকান/লাটিন আমেরিকান ইলিগাল ইমিগ্র্যান্ট দিয়ে জায়গাটা ভরা। ড্রাগ, অস্ত্র আর মাংসের রমরমা ব্যাবসা। সাবওয়েতে যেতে ২০ মিনিট লাগবে। জায়গাটা যদিও নিরাপদ না, তবে কাছাকাছি সাবওয়ে স্টেশনে নেমে দূরে দাড়ালেও কিছু উদ্ভবযৌবনা স্বল্পবসনা লাতিনা রমনী দেখে "চোখের আরাম" হতে পারে।
এই বয়সে ছাগফারমার সাহেব এর এটুকুই চাওয়া। মিনিমাম চোখের আরাম না হলে রাতে বাড়ি ফিরলেই মেজাজ আরো খারাপ থাকবে, দেশ জাতি উদ্ধারকরবেন কেমনে!

ভাবা মাত্রই উঠে পড়লেন। হাটা দিলেন সাবওয়ে স্টেশন বরাবর, হেটে স্টেশনে যেতে আরো ২ মিনিট।




৪ঃ
৩৫ আর ৭৩ স্ট্রিটের কোনা ঘেঁষে বাদামি টয়োটা ক্যামরিতে বসা কাইল নড়েচড়ে বসল। ইমানুয়েল এরও বুঝতে অসুবিধা হল না।

"ঐ যে, গ্রে কালার এর উইন্ডব্রেকার পরা , এই ব্যাটাই কি টার্গেট নাকি?" ইমানুয়েল এর জিজ্ঞাসা।

"মনে ত হচ্ছে এই ব্যাটাই"- কাইলের উত্তর। হাতের ফোনে জিমের কাছ থেকে আসা টেক্সট দেখছে সে। জিমের টেক্সটে লেখা টার্গেতের গায়ে থাকবে গ্রে কালার এর জ্যাকেট, পরনে ব্লু জিন্স, পিঠে ব্যাগ।

"এখন?"

কাইলের মাথা দ্রুতগতিতে চলছে। যেদিকে হাটা দিয়েছে টার্গেট, নির্ঘাত বাস স্টপে বা সাবওয়েতে ঊঠবে ব্যাটা। গাড়িতে করে তাড়া করার উপায় নেই।

"এক কাজ কর তুই" বলতে বলতে গ্লাভবক্স থেকে গ্লক-১৭ বের করে পকেটে পুরলো কাইল " জলদি ড্রাইভিং সিটে চলে আয়, ২ ব্লক পরে একটা পার্কিং আছে, ঐখানে পার্ক করা যাবে না, সিকিউরিটি ক্যামেরায় গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ধরা পড়বে। তুই গাড়ি নিয়ে রাস্তা ধরে চলতে থাক, আমি ফোনে তোকে বলে দিব কোথায় যেতে হবে।

"তুই কি করবি?" ইমানুয়েল বললো।

"টার্গেটের পিছু নিচ্ছি" বলেই গাড়ি থেকে নেমে গেল কাইল। গ্লক-১৭ পিস্তলটা অলরেডি চালান হয়ে গেছে পকেটে, দেখে বোঝার উপায় নেই জ্যাকেটের কারনে।

দ্রুত পিছু নিল কাইল তার কথিত টার্গেট তথা "ছাগফারমার সাহেবের।

কাইলের জানা ছিল না, ভুল লোককে টার্গেট ভাবছে সে। জিমের টেক্সটে লেখা টার্গেটের গায়ে থাকবে গ্রে কালার এর জ্যাকেট, পরনে ব্লু জিন্স, পিঠে ব্যাগ। ছাগফার্মার সাহেবের পরনে ছিল কেবল গ্রে কালারের উইন্ডব্রেকার।
ব্রেস্টুরেন্টটা হেঁটে পার করার সময় পিছে তাকালেই কাইল দেখতে পেত,ডানের ৪ নাম্বার টেবিলে একা বসে আছে এক লোক, পরনের গ্রে কালার এর জ্যাকেট চেয়ারে মেলা। পাশে রাখা ব্যাগ। পরনে ব্লু জিন্স।

সেসব কিছু খেয়াল করা হয়নি কাইলের। ছাগফারমার সাহেবের পিছনে পিছনে রওনা হয়ে শুরু হয়ে গেছে আরেক খেল!


৫ঃ

স্টেশনে পৌছে হটাত খুশিতে মনটা ভাল হয়ে গেল ছাগফারমার সাহেবের।

প্লাটফর্মে দাঁড়ানো এক লাতিনা সুন্দরী। পুরু ঠোঁটের অপরূপ রূপবতী।বাদামি উজ্জ্বল গায়ের ক্যামেরা চকচকে , মাথা খারাপ করার মত রূপ । কালো চুল মেয়েটার।

পরিচিত মনে হচ্ছে যে?

ডানে বামে তাকিয়ে আরেকটু কাছে গিয়ে দাড়ালেন ছাগফারমার সাহেব। মনে মনে হিসাব কষে নিলেন, কিভাবে নজর দিয়ে শিওর হওয়া যাবে।
নাহ, কোন ভুল নেই! মুনি ঋষি এর ধ্যান ভাঙানোর মত আকর্র্ষনীয় শরীরের গাঁথুনি। আওয়ারগ্লাস ফিগার যাকে বলে। উন্নতবক্ষা , গুরুনিতম্বের অধিকারী ।

এযে তার প্রিয় শেলি! সেই ওয়েট্রেস। যার জন্য বসে ছিলেন এতক্ষন সেই রেস্টুরেন্তে।

যদিও রেস্টুরেন্ট এর ইউনিফরর্ম সাদা শার্ট, আর স্কার্ট এখন তার পরনে নেই। বরং আছে সাদা ট্যাঙ্ক টপ, আর জংলী প্রিন্টের প্যান্ট। রুপ তাতে এতটুকু কমেনি, বরং যৌবনের ঢেউ মুনি ঋষি এর বুকে জলোচ্চাস এনে দেবে!

ছাগফারমার সাহেব হা করে শেলির রুপ গিলছেন। উন্মুখ গিরিখাদে কি তানপুরার লুকোচুরির সুরে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন।

ছাগফারমার সাহেবের ঠিক পিছনে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে কাইল।

(চলবে)




সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১:০২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×