আজকে সেন্ট্রাল প্লাজা গেলাম মাউস কিনতে শেষ বিকেলে ।মেজাজ একটু চড়া ই ছিল সেই সাথে এক বালক বিক্রেতা কে দেখা গেল নাবালক সুলুভ কথা বার্তা বলতে। ব্যাস মাথায় চাপল শয়তানি বুদ্ধি। তার সাথে মজা নেয়া শুরু করে দিলাম।

বিক্রেতাঃ এই র‍্যাম টা নেন, ভালো হবে গ্যারান্টি ।
ক্রেতাঃ কোন ব্র্যান্ড ?
বিক্রেতাঃ কুক - কে ইউ কে । (ভাবছিলাম কানে ভুল শুনছি, ক্যাশ মেমোতে লিখার পর দেখেনিলাম)
ক্রেতাঃ আচ্ছা একটা প্যাকেট দেন ।প্যাকেট ছাড়া ক্যামনে নিমু?
বিক্রেতাঃ প্যাকেট নাই ।

এই সুযোগ আমি বললাম- " র‍্যাম টা ভাজ করে মানিব্যাগে নেন" !!
হালকা মজা বুঝে সবাই তুমুল হাসিতে যোগ দিল।

সন্ধ্যায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম, এক পাগল এসে দরোজায় এসে নানা ভন্গি করতে লাগল। আচমাকা গালি দিল ছুদা..**র ফোয়া। আমি একটা শোপিস নিয়ে তাকে মারের ভন্গী করলাম। ওটা দেখতে কিছুটা হাতুড়ির মত ছিল।
পাগলটা দুরে গিয়ে শাসাতে লাগল- "ছুদা..**র ফোয়া, মাস্তুল হডে " (আঞ্চলিক ভাষা- হাতুড়ি কৈ রাখছস)
আবার পালিয়ে গিয়ে ফিরে এসে বলল-ছুদা..**র ফোয়া। মাস্তুল দিয়েরে অর্ডার অর্ডার গইজ্জুম।(আঞ্চলিক ভাষা- হাতুড়ি দিয়ে জাজের মত অর্ডার বলব )

অবাক ও তাজ্জব ব্যাপার পাগল টা এতক্ষণ যা যা করল তা হল নিখাদ স্থুল মজা


বাসায় তিন টা টিভি থাকার পরেও ডিশ নাই তাই অনলাইন পত্রিকাই ভরসা । পড়ছিলাম ভর্তি পরীক্ষা আবার জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হুয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরমধ্যে বিএনপির রিপন বললেন -"এটি একটি জাল পরীক্ষা ছিল।তাই ভর্তি পরীক্ষা অবশ্যই বাতিল করতে হবে।"

ভাবছি প্রথম কথা টা ছিল সুক্ষ মজা আর পরেরটা স্থুল মজা । ইংরেজীতে একটা কথা আছে- You can't be too serious মানে ইংগীত দেয়া হচ্ছে এটা একটা মজা ছিল।এখানেতো এর দরকার নাই বলেই মনে হয়।

রিপন একথায় বোঝালেন যে ১ম বার মজা করছি এখন আবার মজা করলাম। যেখানে জাল পরীক্ষা হলে এর বাতিল করার জন্য কোন কথা খরচের দরকার আছে কিনা তা আমি সিরিয়াস হয়ে বলতে চাইছিনা। এরপরের মজা হল যে বিএন পি নিজের লোকদের টাকা দিয়েও মাঠে নামাতে পারেনা, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনা তারা আবার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে too serious হয়ে গেল।

ছোট ছোট - শিশু লীগের পোলাপান বলে বিএনপি = বাংলাদেশ নিউজ-কনফারেন্স পার্টি। আসলে এটা একটা হালকা মজা, না বুঝলে কেমনে হয় ?

২০০৯ সালে বিএনপি কোন নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো দিতে ব্যার্থ হয় কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দীরা সেদিকে কিন্তু ভালই নজর দেয়।তারা নিয়োগ দেয় দলীয় ভাবমুর্তি দোষমুক্ত নুহ উল আলম কে। যদিও ৫/১৫ তে তাদের কোন দলই ম্যানিফেস্টো দেয়নি। যাক গা একটা স্থুল মজা ও বুঝেন না ? বিএনপি এখন ও একটা ম্যানিফেস্টো বানাতে ইচ্ছুক নয়।কি দিয়ে যে ক্ষমতায় যাবে ঐ পাগলটা ও বলে দিতে পারে।

ভ্যাট বাতীলের দাবীতে আন্দোলন কে বাকা চোখে দেখে কটুক্তি করে ছাত্রদল । সমর্থন দুরে থাক নির্লজ হামলা চালায় তাদের জাত ভাই ছাত্রলীগ। এরপর হালকা মজা নেয় ছাত্রলীগ ভ্যাট বাতীলের পর ইহা তাদের অবদান বলে।

পরিশেষে বলব মজা যা নেয়ার নিয়া ফেলেন। কদিন পরই বুঝবেন আসল মজা !!